আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

কোমরব্যথা, পিঠব্যথা প্রতিরোধে

একটানা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করলে মানুষের মেরুদণ্ডের সামনের দিকের মাংসপেশি সংকুচিত হয়ে থাকে, একই সঙ্গে পেছনের দিকের মাংসপেশি প্রসারিত হয়ে থাকে। এর ফলে দেহে পেশির ভারসাম্যহীনতা (মাস্কুলার ইমব্যালেন্স) তৈরি হয়। তখন মেরুদণ্ডের মাঝখানে অবস্থিত চাকতি বা ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপ থেকে ধীরে ধীরে ব্যথা শুরু হয়। এ ছাড়া সব সময় বসে কাজ করার কারণে অনেকের ঘাড়ে এবং পিঠেও ব্যথা হতে পারে।

যাঁরা লম্বা সময় ধরে টেবিলে বসে কাজ করেন, তাঁদের শারীরিক ব্যায়াম বা সক্রিয়তাও কম। এতে দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক (হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের মতো) রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বসে বসে কাজ করার ফলে যে কেবল ডিস্কের সমস্যা হয়, তা নয়। কোমরের মেরুদণ্ডের দুই পাশে থাকা স্যাক্রো-অ্যাইলিয়াক জয়েন্টেও প্রদাহ হতে পারে। এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্যাক্রালাইটিস নামে সুপরিচিত। আবার কোমর বা লাম্বারের কশেরুকার সঙ্গে নিচে থাকা স্যাক্রাম অংশের কশেরুকার সঙ্গে জোড়া লেগে যায়। এ ঘটনাকে বলা হয় স্যাক্রালাইজেশন।বিজ্ঞাপন

অফিসে বসার চেয়ারের কিছু পরিবর্তন আনলে এসব কারণে হওয়া কোমরব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন: যেসব চেয়ারের ব্যাকরেস্ট মানুষের মেরুদণ্ডের বিন্যাসের মতো গঠিত, সেসব চেয়ারে বসে কাজ করা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য চেয়ারে ব্যাক সাপোর্ট বা লাম্বার রোল ব্যবহার করে কোমরের অংশ সোজা রেখে বসা যায়। কোমরব্যথা প্রতিরোধে ‘ব্যালেন্স টুল’ নামে একধরনের বিশেষ চেয়ার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) পাওয়া যায়। এই চেয়ার ব্যবহার করলে কোমরের বক্রতা ঠিক রেখে দীর্ঘ সময় কাজ করা যায়।

ব্যালেন্স টুল

কোমর ব্যথা এড়ানোর জন্য অবশ্যই সবাইকে সঠিক ভঙ্গিতে বসতে হবে। সামনের দিকে ঝুঁকে কোনো কাজ করা বা ভারী জিনিস তোলা যাবে না। আবার দীর্ঘক্ষণ এক অবস্থায় বসে কোনো কাজ করা যাবে না। এক ঘণ্টা পরপর অবস্থান পরিবর্তন করা উচিত। অফিসের পরিবেশে আরগোনমিক পরিবর্তন আনতে পারলে কোমরব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যাঁরা লম্বা সময় বসে কাজ করেন এবং যাঁদের কোমরে ব্যথা আছে, তাঁরা পিঠের নিজের অংশ সম্প্রসারণের ব্যায়াম বা লাম্বার এক্সটেনশন এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতে ডিস্কের ওপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমে আসে। এর সঙ্গে সঙ্গে কোমরে আশপাশের মাংসপেশি স্ট্রেচিং এবং পেটের মাংসপেশির স্ট্রেন্দেনিং ব্যায়াম করতে পারেন।বিজ্ঞাপন

পিঠের নিচের অংশ সম্প্রসারণ

কোমর ব্যথার জন্য মেরুদণ্ড, পিঠ এবং কোমরসংলগ্ন মাংসপেশিগুলো শক্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে কোমরের শক্তি কমে গিয়ে পিঠের নিচের অংশ স্থিতিহীন (লাম্বার ইনস্ট্যাবিলিটি) হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে লাম্বো-পেলিভক স্ট্যাবিলাইজেশন, হিপ ফ্লেক্সর ও হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হিসেবে সমাদৃত। বিভিন্ন মাংসপেশির অস্বাভাবিক সংকোচন বিবেচনা করে স্ট্রেচিং ও স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ করানো হয়ে থাকে। এই অস্বাভাবিক সংকোচন কমানো এবং ব্যথা সাময়িকভাবে কমানোর জন্য রোগীকে থার্মাল থেরাপি হিসেবে হিট এবং কোল্ড থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে।

রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তার পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট করে রোগের কারণ, রোগীর অবস্থা, বয়স, প্রতিক্রিয়ার ওপর বিবেচনা করে রোগীকে ডিরেকশনাল এক্সারসাইজের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

লেখক: সফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান এবং এহসানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক,
বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট (বিএইচপিআই), সিআরপি, সাভার, ঢাকা

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com