আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

কিশোর–কিশোরীদের খাবারদাবার কেমন হবে

কিশোর বয়স ছেলে–মেয়ে উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এ পরিবর্তনকে সুষ্ঠুভাবে হতে দেওয়ার জন্য খাবারদাবারের গুরুত্ব অপরিসীম।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কারণ, এই বয়সে শারীরিক বিকাশ ও বৃদ্ধি, পড়ালেখায় মনোনিবেশ, খেলাধুলা ও শরীরচর্চামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে হয় বলে কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে হয়।

এ ছাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অত্যন্ত জরুরি।

যা খেতে হবে, যে কারণে খেতে হবে

ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধি

এ জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত ক্যালরি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণত প্রতিদিন কিশোরীদের ১ হাজার ৬০০–২ হাজার ২০০ ক্যালরি এবং কিশোরদের ১ হাজার ৮০০-২ হাজার ৬০০ ক্যালরি প্রয়োজন হয়। এ পরিমাণ ক্যালরি তাদের শক্তি সরবরাহের পাশাপাশি উচ্চতা বৃদ্ধি ও শরীরে ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। তবে এটি নির্ভর করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের হারের ওপর।

 গাজর হালুয়া
গাজর হালুয়া

বর্তমানে কিশোরীরা নিজেকে ফিট রাখতে পর্যাপ্ত খাবার খায় না বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে, যাকে বলে ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’। এ জন্য তাদের রক্তস্বল্পতা, হাড় দুর্বলতা ও অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এসব থেকে মুক্ত থাকতে মূল খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত হালকা খাবার বা নাশতা খেতে হবে। এগুলোর মধ্যে থাকতে পারে গাজর বা ডালের হালুয়া, ডিমের পুডিং, মুড়ির মোয়া, চিনাবাদামের মুড়কি, ডালপুরি, নারকেল বরফি, খিচুড়ি ইত্যাদি। এসব খাবার ক্যালরি বৃদ্ধির পাশাপাশি থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন ও নায়াসিনের চাহিদাও পূরণ করবে এবং খাওয়ার অরুচি দূর করবে। তবে আগে থেকে ওজন বেশি থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাবার খেতে হবে।

মিষ্টিকুমড়ার বীজে  ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিড থাকে যা কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
মিষ্টিকুমড়ার বীজে ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিড থাকে যা কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

ত্বক ও চুল গঠনে

কিশোর–কিশোরীদের ত্বক ও চুল গঠনে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এ খাবারগুলো ফ্যাট হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে থাকে। এ জন্য খাবারে অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিতে হবে, যা প্রতিদিনের মোট ক্যালরির ২৫-৩৫ শতাংশ হবে। এর ভালো উত্স হলো বিভিন্ন প্রকার বাদাম ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়াবীজ, তিল ও তিসিবীজ, জলপাই তেল, অ্যাভোকাডো। এগুলোতে ভালো ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিডও থাকে, যা কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।বিজ্ঞাপন

পেশি বৃদ্ধি

প্রোটিন শরীরের পেশি বৃদ্ধি ও অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে, যা সাধারণত ১১–১৮ বছর বয়সের মধ্যে দ্বিগুণ হয়। উভয় লিঙ্গের জন্য ১ দশমিক শূন্য থেকে ১ দশমিক ২ গ্রাম প্রোটিন যথেষ্ট। এ জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে চার দিন মাছ, মাংস, দুধ, কলিজা, ডিম খেতে হবে। যারা নিরামিষভোজী, তারা বিভিন্ন প্রকার ডাল, শিমের বিচি, ছোলা, মটরশুঁটি, মাশরুম, সয়াবিন খেতে পারে।

পেশি বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে চার দিন মাছ খাওয়া উচিত
পেশি বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে চার দিন মাছ খাওয়া উচিত 

হাড় ও দাঁত গঠন এবং অস্টিওপোরাসিসের ঝুঁকি রোধে

কিশোর-কিশোরীদের হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। এ জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন দুধ ও দুধজাতীয় খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া কিশোর-কিশোরীরা খেতে পারে ডিমের কুসুম, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, সবুজ শাকসবজি। যারা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু বা দুধে অ্যালার্জি আছে যাদের, তারা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবে এসব খাওয়ার জন্য। এ ছাড়া ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকতে হবে।

রক্তস্বল্পতা

১০-১৭ বছর বয়সে কিশোর–কিশোরীদের শরীরে নানা রকমের হরমোনজনিত পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন মেয়েদের পিরিয়ড হওয়া আর ছেলেদের মুখে লোম গজানো, কণ্ঠ গম্ভীর হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিশোরীদের পিরিয়ডের সময় প্রায় ২০ শতাংশ রক্ত হারিয়ে যায়। এ সময় সঠিক পুষ্টি না পেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেবে। এ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে রক্ত তৈরির জন্য পর্যাপ্ত আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড দরকার। তাই মেয়েদের নিয়মিত ডিম, কলিজা, মাংস, খেজুর, কিশমিশ, বেদানা, আনার, সফেদা বিভিন্ন রকমের ফল, সবুজ শাকসবজি, কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, পাতাযুক্ত সবজি, ডাল খেতে হবে। এসব আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার ভালোভাবে শরীরে শোষিত হওয়ার জন্য খেতে হবে ভিটামিন সি। ভিটামিন সির মধ্যে খেতে হবে লেবু, আমলকী, কাঁচা মরিচ, কমলালেবু ইত্যাদি যেকোনো টক ফল।

রূপচাঁদা সামুদ্রিক মাছ। আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন
রূপচাঁদা সামুদ্রিক মাছ। আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন 

মস্তিষ্ক বিকাশে

কিশোর-কিশোরীদের এ সময় শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশে সরাসরি প্রভাবিত করে আয়োডিন। এ আয়োডিনের ঘাটতিতে কিশোর-কিশোরীদের বুদ্ধিহীনতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিনের ঘাটতি হলে হতে পারে গলগণ্ড ও সন্তান ধারণে জটিলতা। তাই আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে অন্তত ২ দিন, খাবারে আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার, সমুদ্রের কাছাকাছি মাটিতে জন্মানো শাকসবজি বা ফল খেতে হবে।

রোগ প্রতিরোধে

কিশোর-কিশোরীরা পর্যাপ্ত শাকসবজি খেতে চায় না। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণে ভোগে। বিভিন্ন রঙের শাকসবজি খেলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের পাশাপাশি ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শাকসবজি খেলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতাও কম হবে।

পানির চাহিদা পূরণের জন্য পানি ছাড়াও ফলের রসসহ বিভিন্ন তরল খাবার খেতে হবে
পানির চাহিদা পূরণের জন্য পানি ছাড়াও ফলের রসসহ বিভিন্ন তরল খাবার খেতে হবে

তরল খাবার

কিশোর-কিশোরীদের পর্যাপ্ত পানির চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, এ সময় তারা খেলাধুলা করে, পড়াশোনার চাপে থাকে। তবে সবার পানির চাহিদা আলাদা। ৯-১৩ বছর বয়সে কিশোরীদের জন্য ২ দশমিক ১ লিটার ও কিশোরদের জন্য ২ দশমিক ৪ লিটার পানি প্রয়োজন। ১৪-১৮ বছর বয়সে মেয়েদের ২ দশমিক ৩ লিটার ও ছেলেদের ৩ দশমিক ৩ লিটার পানির চাহিদা থাকে। এই পানির চাহিদা পূরণের জন্য পানি ছাড়াও তারা ফলের রস, দুধ, স্যুপ ইত্যাদি তরল খাবার খেতে পারে। আর বাইরের অস্বাস্থ্যকর কার্বোনেটেড ড্রিংকস, জুস, অ্যালকোহল গ্রহণ করা চলবে না।

মাইন্ডফুল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে

মাইন্ডফুল খাওয়ার অর্থ খাবারটি টেবিলে বসে আস্তে আস্তে চিবিয়ে পুরোপুরি মনোযোগের সঙ্গে খাওয়া। আজকাল কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে বা টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাবার খায়। ফলে খাবারে খুব মনোযোগ থাকে না। পেট ভরলেও তাই খাবার শরীরের জন্য খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না। এ জন্য পিতা–মাতাদের ও পরিবারের সবাইকে মাইন্ডফুল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।বিজ্ঞাপন

কিশোর-কিশোরীদের কিছু করণীয়

  • সকালের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। সকালের খাবার না খেলে সারা দিনের পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সকালে নিজের খাবার বানাতে পিতা–মাতাকে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি স্কুলের টিফিনে স্বাস্থ্যকর খাবার বহন করা শিখতে হবে। সহজ উপায়ে পাওয়া যায়, তেমন মৌসুমি তাজা ফল খেতে হবে নিয়মিত। এ ছাড়া কলা, শুকনা ফল, খেজুর, কিশমিশ, একটি সেদ্ধ ডিম, শসা রাখতে হবে স্কুল বা কলেজের ব্যাগে।
  • ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করা যাবে না। আজকাল কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে প্রচুর তথ্য পায়, যা দেখে তারা অনেক কিছু অনুকরণ করে। এটি ভবিষ্যতে তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
  • নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা থাকে কিশোর-কিশোরীদের। বিশেষ করে কিশোরীদের এ প্রবণতা থাকে বেশি। তারা নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট দেখতে চায়। এ জন্য খাবারদাবারের প্রতি তাদের একধরনের উদাসীনতা তৈরি হয়। এভাবে দীর্ঘদিন চললে শরীরে বিভিন্ন ভিটমিন ও মিনারেলের অভাব হয়।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com