আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

কাঁচা খাওয়া ঠিক নয় যেসব খাবার

কাঁচা মাংস, মাছ বা ডিম খাওয়া ঠিক নয় এটা সবারই জানা। তবে দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক খাবার আছে যেগুলি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। যেমন-

আলু : আলু সবারই পছন্দের একটা সবজি। বিভিন্নভাবে এটা রান্না করা যায়। কিন্তু এ খাবারটি মোটেও কাঁচা খাওয়া ঠিক নয়। কাঁচা আলু খেলে পেট ফাঁপা এমনকি পেট খারাপ হতে পারে। কারণ এতে এমন কিছু স্টার্চ থাকে যা হজম হয় না। আবার আলু বেশি সময় ভেজা বা গরম জায়গায় রাখলে এর ভেতরে কিছু অংশ সবুজ হয়ে যেতে পারে। ওই জায়গায় সোলানিন নামের একটি টক্সিন থাকে যা ফুড পয়জনিং তৈরি করে। আলুতে এমন সবুজ অংশ থাকলে সে আলুটা না খাওয়াই নিরাপদ। আলুর মতো সবজি রান্না করে খেলে বিটা ক্যারোটিনের উপাদান বেড়ে যায়। কারণ কাঁচা আলুতে ক্ষতিকর বিষাক্ত কিছু উপাদান থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ায় মারাত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে।

সসেজ : চিকেন সসেজ শিশুদের কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি ভেজে খাওয়া যায়। আবার সসেজ দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু হটডগও । অনেকেরই ধারণা, সসেজ যেহেতু প্রক্রিয়াজাত করা একটি খাবার, তাই এটা প্যাকেজ থেকে বের করে সরাসরি খাওয়া যাবে। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল! সসেজে থাকা লিস্টেরিয়া নামের ব্যাকটেরিয়া শরীর অসুস্থ করে ফেলতে পারে। তাই এটি ভালোভাবে রান্না না করে খাওয়া উচিত নয়।

দুধ : শিশু থেকে বয়স্ক-সবার জন্য দুধ প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যসিড, এনজাইম শরীরের জন্য উপকারী। তবে, কাঁচা দুধ পান করাটা খুবই বিপজ্জনক। এতে ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর জন্য দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করা উচিত।

তিতা কাঠবাদাম : সাধারণত যেসব কাঠবাদাম খাওয়া হয় তা মিষ্টি ধরনের। কিন্তু তেতো স্বাদের কাঠবাদামও পাওয়া যায়, যা কাঁচা খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক এসিড থাকে। তবে রান্না করলে এগুলো আর বিষাক্ত থাকে না।

ময়দা : গম থেকে ময়দা হয়ে তা বাজার পর্যন্ত আসতে আসতে অনেকভাবেই এতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। শুধুমাত্র রান্নার মাধ্যমেই এই জীবাণু ধ্বংস হতে পারে। এ কারণে কাঁচা খামির, কুকি ডো  খাওয়া উচিত নয়।

বেগুন : বেগুন অনেকেরই প্রিয় একটি সবজি। এটি ভর্তা, ভাজি ও রান্না করে খাওয়া যায়। বেগুনের মধ্যে সোলানিন উপাদান থাকায় এটি কাঁচা খেলে শরীরের নানা সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে, কাঁচা বেগুনে অনেকের প্রবল অ্যালার্জি থাকে। এজন্য এটি রান্না করে খাওয়াই ভালো।

ফলের বীজ : আপেল, আম, পীচ, নাশপাতি বা অ্যাপ্রিকটের বীজ কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। এগুলোতে এমন একটি রাসায়নিক থাকে যা সায়ানাইডে রূপান্তরিত হয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে।

মাশরুম : গরম স্যুপ অথবা সালাদের সঙ্গে মাশরুম খেতে অনেকে পছন্দ করেন। খেতে সুস্বাদু মাশরুম শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। নিয়মিত মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ দূরে থাকে। কাঁচা মাশরুমে ক্ষতিকর কিছু উপাদান থাকে। এ অবস্থায় এটি হজম করাও কঠিন। এ কারণে মাশরুম রান্না করেই খাওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com