কর্মক্ষেত্রে ভাবমূর্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে তা যখন হয় বসদের কাছে। কর্মক্ষেত্রে সফল হতে এবং বসদের সন্তুষ্ট করতে কার্যকর দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। এটি শুধু কাজের মানের ওপর নির্ভর করে না। অন্যান্য বিষয়ও এখানে কাজ করে, যা কর্মক্ষত্রে বসের কাছে একজনের অবস্থান নির্ধারণ করে দেয়। বসের কাছে নিজের উজ্জল ভাবমূর্তি তৈরি, অফিসে পদোন্নতির জন্য কিছু কৌশলের কথা তুলে ধরেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
সাবলীল পোশাক পোশাকের বিষয়টি বসসহ সকলের কাছে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি পরিষ্কার শার্ট-প্যান্ট বা সাবলীল আনুষ্ঠানিক (ফরমাল) পোশাক হলো কর্মক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত। তবে পোশাক নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না, তাহলে এক পর্যায়ে তা চাটুকারিতার পর্যায়ে পড়ে যাবে।
সময়মতো অফিসে আসা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কখনই দেরি করে অফিসে আসা যাবে না। নিয়মানুবর্তি মানুষ যারা ঠিক সময়ে অফিসে আসেন, সময়মতো কাজ শুরু করেন, সবাই তাদের প্রশংসা করেন। আপনি যে অফিসের নিয়মের যথেষ্ট সচেতন এর মধ্য দিয়েই সেই ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়।
প্রযুক্তি জ্ঞান-সম্পন্ন হোন বর্তমান যুগে প্রযুক্তিতে অদক্ষ লোকদের কেউ চাকরি দিতে চায় না। অফিসের মূল কাজগুলো করার জন্য কম্পিউটার-ল্যাপটপ চালানোয় দক্ষ কর্মীদের বড্ড দরকার পড়ে। আর আপনার কাজের ক্ষেত্র যদি প্রযুক্তি নির্ভর হয় থাকে, তাহলে তো প্রযুক্তিতে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
সব কাজে আগে থাকুন অফিসের যেকোনো কাজে আগে থাকুন এবং সবার আগে কাজ করার উদ্যোগ নিন। অফিস হলো প্রতিযোগিতার জায়গা। যারা এখানে কঠোর পরিশ্রম করে, তারাই টিকে থাকে। কাজের প্রতি আপনার দৃঢ়তা বসের কাছে আপনার ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে।
বসের লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করুন বসের লক্ষ্য অর্জনে পেশাদারিভাবে বিশ্বস্ত এবং নিষ্ঠাবান সহযোগী হোন। যখন বসের লক্ষ্য অর্জন জরুরি হয়ে পড়ে, তখন আপনি সঠিক কাজটি করছেন কিনা এবং বস আপনার কাছ থেকে যা চান, তা করতে পারছেন কিনা সেটি জরুরি। আপনি যখন বসের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন, তখনই আপনার প্রতি বস খুশী হবেন।
শেখার প্রতি আগ্রহ কর্মক্ষেত্রে নতুন কিছু শেখা এবং জানার সুযোগ তৈরি হলেই নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করুন। কম জানা বিষয়ও একসময় দীর্ঘমেয়াদে আপনার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এর ফলে আপনার বস বুঝতে পারবে যে আপনি শিখতে আগ্রহী এবং দ্রুত শিখতে পারেন।
সৎ থাকুন কর্মক্ষেত্রে সৎ থাকা খুব কাজে দেয়। বসের কাছে কখনই মিথ্যা বলার মতো ভুল করবেন না। কারণ, বেসর কাছে আপনার ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য এটিই যথেষ্ট। নিজের কাজে সৎ থাকুন এবং সবসময় নিজের ধারণার কথা জানান, যেন কোনো ভুল বা ভুলবোঝাবুঝির সুযোগ তৈরি না হয়।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন