আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

ড. ম্যাথিউ বুওরগারেল মাঝেমধ্যেই গ্রামের প্রবীণদের অনুমতি নিয়ে পবিত্র গুহার ভেতরে ঢোকেন। সেখানে যেসব জিন বা প্রেতাত্মা থাকেন, তাদের তুষ্ট করতে উপহার নিয়ে যান।

মাস্কে মুখ ঢেকে, সারা গা ঢাকা পোশাক ও তিন পরতের দস্তানা পরে তিনি গুহার অন্ধকারে দড়ির মই বেয়ে নামেন। গুহার এক কুঠুরি থেকে আরেক কুঠুরিতে ঢুকতে তাকে রীতিমত কসরৎ করতে হয়।

আফ্রিকার জিম্বাবোয়েতে এই গুহার ভেতরে সর্বত্র বাদুড়ের দুর্গন্ধ, মেঝেতে তাদের বিষ্ঠা জমে আছে পরতে পরতে। সেখান দিয়ে তাকে সন্তর্পণে হাঁটতে হয়। তাজা বরফের ওপর দিয়ে হাঁটলে পায়ের নিচে যেমন বরফ ভাঙে, তেমনি তার পায়ের চাপে বিষ্ঠার পরত ভাঙে গুহার মধ্যে।

হঠাৎ হঠাৎ বাদুড়গুলো আচমকা ঘুম ভেঙে ডানা ঝাপটায়। ভেতরে উড়ে বেড়ায়।

জিম্বাবোয়ের মানুষ বাদুড়কে ডাকেন ”ডানাওয়ালা ড্রাগন”, ”উড়ন্ত ইঁদুর” বা শুধু ”শয়তান” নামে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্তন্যপায়ী জীবটিকে বহু রোগের উৎস হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু এর ভিত্তি কতটা সঠিক?

ড. বুওরগারেল ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিরাড-এর জন্য ভাইরাস অনুসন্ধানীর কাজ করেন। তিনি কাজ করেন জিম্বাবোয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি এবং তার সহকর্মীরা জিম্বাবোয়েতে বাদুড়ের গুহা থেকে বাদুড়ের বিষ্ঠা এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

এরপর গবেষণাগারে, বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের ভাইরাস থেকে জিন আলাদা করেন এবং সেই জিনের গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেন। তারা ইতোমধ্যেই বাদুড়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সার্স এবং সার্স-কোভ-২ ভাইরাসও।

বাদুড় যেসব ভাইরাসের বাহক সেগুলোর জিনগত গঠন এবং তার বৈচিত্র বোঝার জন্য বিশ্ব ব্যাপী যেসব গবেষণা চলছে তার অংশ হিসাবে কাজ করছেন ড. বুওরগারেল ও তার সহকর্মীরা। তাদের গবেষণার একটা লক্ষ্য হলো বাদুড়বাহী ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত বা অসুস্থ হলে কীভাবে তার মোকাবেলা করতে হবে সে বিষয়ে প্রস্তুত থাকা।

“স্থানীয় মানুষ প্রায়শই বাদুড়দের বাসস্থান এই গুহাগুলোতে যায় বাদুড়ের বিষ্ঠা সংগ্রহ করতে। স্থানীয়রা ফসল ক্ষেতে সার হিসাবে এই বিষ্ঠা ব্যবহার করে। কাজেই এই বাদুড় কীধরনের জীবাণু বহন করে তা জানা একান্তই জরুরি। কারণ খাদ্যের মাধ্যমে এসব ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে কিনা তা জানার প্রয়োজন রয়েছে,” বলছেন জিম্বাবোয়ে ইউনিভার্সিটির ড. এলিজাবেথ গোরি।

আরও পড়তে পারেন:

বাদুড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিত্তিহীন ভয় আর পৌরাণিক ধারণা থেকে কোনরকম ভাইরাস সংক্রমণ হলেই বাদুড়কে তার জন্য দায়ী করার একটা প্রবণতা রয়েছে। তারা বলছেন বাদুড় সম্পর্কে মানুষের সবচেয়ে বেশি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে এবং পৃথিবীতে বাদুড়ের মূল্যায়ন হয়েছে সবচেয়ে কম। তাদের মতে এই ভ্রান্ত ধারণার কারণে বাদুড় একটা বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে।

পুরাকাহিনি, গল্পগাঁথা ও নানা সংস্কারের কারণে বাদুড়কে দেখা হয় মানুষের জন্য একটা অভিশাপ বয়ে আনা প্রাণী হিসাবে। আর সংস্কৃতির শিকড়ে গেঁথে যাওয়া এসব ভয়ভীতি ও পৌরাণিক সংস্কার কোভিডের পর আরও তীব্র হয়েছে।

Presentational white space

বাদুড় সম্পর্কে কিছু তথ্য

  • বাদুড় একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা সত্যিকার অর্থে উড়তে সক্ষম
  • পোকামাকড় খাওয়া বাদুড় আমেরিকান কৃষকদের জন্য বছরে ৩৭০ কোটি ডলারের ফসলের ক্ষতি রোধ করতে পারে
  • শত শত প্রজাতির উদ্ভিদ পরাগায়নের জন্য বাদুড়ের ওপর নির্ভরশীল
  • বাদুড়ের বাসস্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, শিকার এবং অন্যান্য নানা কারণে যার ফলে বাদুড় বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে হুমকিতে

তথ্য সূত্র: ব্যাট কনজারভেশন ইন্টারন্যাশানাল

Presentational white space

যে করোনা ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে সেই কোভিড-১৯এর সঠিক উৎস এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের একটা ব্যাপক অংশ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, এই ভাইরাস কোন প্রাণী প্রজাতি থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এবং সেই প্রাণী খুব সম্ভবত বাদুড়।

তবে এর মানে এই নয় যে এর জন্য বাদুড়রা দায়ী। বাদুড় বিশেষজ্ঞ এবং বাদুড় সংরক্ষণকে জরুরি বলে মনে করেন যেসব বিশেষজ্ঞ তারা বলছেন এর জন্য দায়ী মানুষের আচরণ। বাদুড় মানুষকে এই ভাইরাস দেয়নি, তারা বলছেন মানুষ যেভাবে বন্য প্রাণীর স্বাভাবিক জীবন যাপনে হস্তক্ষেপ করছে সেটাই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকার মূলে।

মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করছে, বন্য প্রাণীর আবাসস্থলে হানা দিচ্ছে নানা কারণে এবং নতুন নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে সে কারণেই – বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা। নেচার সাময়িকীর এক নিবন্ধ বলছে, যখন বনাঞ্চল কেটে বা জমির ঘাস তুলে গরুর খাবার বানানো হয়, বা সয়াবীন চাষের জন্য অথবা রাস্তা ও বসতি নির্মাণের জন্য জমি ও জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়, তখন বন্য প্রাণীদের স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস হয়, তারা মানুষ ও গবাদি পশুর কাছাকাছি এসে বাসা বাঁধতে বাধ্য হয় এবং এর ফলে এসব প্রাণীদেহ থেকে ভাইরাস মানুষের শরীরে সহজে ঢোকার সুযোগ তৈরি হয়।

“এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সম্ভাব্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলোর বাহক হিসাবে অন্যান্য অনেক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বাদুড় অবশ্যই একটি,” বলছেন পর্তুগালের পোর্তো বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকার্ডো রোশা।

তবে তিনি বলছেন ১,৪০০ বা তার বেশি প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পোষা জন্তু এবং ইঁদুর প্রজাতির বড় সংখ্যক পশুর শরীরের ভাইরাস থেকে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশংকাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। কারণ এসব পশুপাখি মানুষের বাসস্থানের খুব কাছাকাছি থাকে।

আরও পড়তে পারেন:

ব্রিটেনে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডেভিড রবার্টসনও বলছেন, প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের জন্য শুধু বাদুড়কে দায়ী করে তাদের নিধনের কথা ভাবলে সেটা “নিতান্তই দু:খজনক পরিণতি” ডেকে আনবে। তিনি বলছেন পশুপাখির বাসভূমি মানুষ যাতে ধ্বংস না করে, তাদের কাছাকাছি আসার পথগুলো যদি মানুষ বন্ধ করে তবেই এধরনের সংক্রমণের পথ বন্ধ করা সম্ভব হবে।

বাদুড় তার শরীরে এধরনের ভাইরাস বহন করছে বহু যুগ ধরে। তিনি বলছেন সার্স-কোভ-টু-র ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে রয়েছে অনেক দশক ধরে, এবং সবসময়ই এই ভাইরাসের অন্য প্রাণীকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু সম্প্রতি মানুষ যেহেতু প্রাণীর কাছাকাছি আসছে বেশি বা তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট করে দিচ্ছে তাই মানুষের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর পর পেরু, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাদুড় নিধন অভিযান হয়েছে। কোথাও কোথাও বাদুড় মারার চেষ্টা হয়েছে, কোথাও কোথাও অনেক বাদুড় মেরে ফেলা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মহামারির মধ্যে বাদুড় মারার অভিযানে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং বাদুড়ের মধ্যে ভাইরাস থাকলে এসব অভিযানের মাধ্যমে তা পরিস্থিতি আরও বিপদজনক করে তুলতে পারে।

”সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক প্রজাতির বাদুড় এখন বিপন্ন এবং নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবার ঝুঁকিতে রয়েছে। কাজেই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ এখন তাদের মারতে শুরু করলে পরিবেশের বন্ধু হিসাবে তারা যে কাজগুলো করে সেগুলো পুরো হারিয়ে যাবে, যেটা মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হবে না,” বলছেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাগলাস ম্যাকফারলেন।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাদুড় আর মানুষ সহাবস্থান করেছে। পর্তুগালের কয়ম্ব্রা শহরের ১৮শ শতাব্দীতে তৈরি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে বাদুড় বাস করছে। তারা লাইব্রেরির পোকামাকড় খেয়ে বাঁচে। তারা যদি ওসব পোকা না খেত, লাইব্রেরির বহু প্রাচীন পুঁথি ও পাণ্ডুলিপি পোকায় খেয়ে শেষ করে দিতো। সন্ধ্যাবেলা যদি সেখানে যান, দেখবেন লাইব্রেরির জানালা দিয়ে বাদুড় বাইরে বেরিয়ে আসছে এবং পাথুরে রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নেমে আসছে।

রিকার্ডো রোশা বলছেন আমাদের মনে রাখতে হবে জটিল প্রাণী চক্রের সঙ্গে বাদুড়ও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তাদেরও ভূমিকা আছে। “আমরা যদি সেই প্রাকৃতিক নিয়মকে উপেক্ষা করে তাকে অসুস্থ করে তুলি, তার মূল্য দিতে আমাদের অসুস্থ হতে হবে,” তিনি বলছেন ইতিহাসের এই কঠিন সময়ে মহামারির এই বিপর্যয় থেকে আমাদের এখন এটা ভাবার সময় এসেছে।

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

    করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

    করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

    করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

    করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

    করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়

  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়
  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়
  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়
  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়
  • করোনা ভাইরাস: বিজ্ঞানীরা এখন কেন মনে করছেন কোভিডের জন্য বাদুড় দায়ী নয়
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com