আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে, যদিও বিশ্বের কোথাও কোথাও কমেছে সংক্রমণ, এসেছে ভ্যাকসিন। কিন্তু একইসাথে আসছে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। আলফা (যুক্তরাজ্য), বেটা (সাউথ আফ্রিকা), গামা (ব্রাজিল), ডেল্টা (ভারত) নামের বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট একের পর এক এসে নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে। ভাইরাসের রূপান্তর কোন নতুন বিষয় নয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের রূপান্তর ভাইরাসের বিস্তার অব্যাহত রাখছে এবং কখনো কখনো অবস্থাকে আরও খারাপ করছে। করোনাভাইরাস এর একটি রূপান্তরিত রূপ হচ্ছে ডেল্টা। আমরা সবাই জানি যে করোনাভাইরাসের রূপান্তরটা ঘটে তার বাইরের সুচালো স্পাইক প্রোটিনে, এক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নোভেল করোনা ভাইরাসের তুলনায় খুবই ছোঁয়াচে, তাই খুব দ্রুত এটি একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে।

এটি প্রথম ধরা পড়ে ভারতে, তারপর তা খুব দ্রুতই বিশ্বের প্রায় ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সিডিসি’র এক বংশগতির গবেষণায় বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অন্তত শতকরা ২০ ভাগ হচ্ছে ডেল্টা ভাইরাসজনিত, যার মধ্যে কমপক্ষে ৯ শতাংশের সংক্রমণ ঘটেছে গত ২ সপ্তাহে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কেন এত দ্রুত ছড়াচ্ছে এ প্রসঙ্গে একজন গবেষকের বিশ্লেষণ হচ্ছে- ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যখন কাউকে আক্রান্ত করে তখন তার শরীরে সেই ভাইরাসটি সংখ্যায় অনেক বেশি থাকে, তার মানে হচ্ছে ভাইরাসটি হয়তো খুব দ্রুত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশি থেকে অধিক সংখ্যক ভাইরাস বেরিয়ে আসে, যা সহজেই অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।

ঝুঁকির বিবেচনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিগুণ। সিডিসি এই মাসে জানিয়েছে যে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক; এটি এখন দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবশালী স্ট্রেইন; যা, অল্পবয়স্ক এবং ভ্যাকসিন নেয়নি এমন ব্যক্তিদের জন্য উদ্বেগের কারণ। তিন সপ্তাহ ধরে এই দুই গ্রুপের মানুষ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনক হারে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।করোনাভাইরাসের সর্বশেষ রূপান্তরিত রূপ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সবাই কেন চিন্তিত? তার সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে এখনো করোনাভাইরাসের সর্বাধিক সংক্রমণযোগ্য রূপ বলে মনে করা হয়। তাছাড়া এটি একবার করোনভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বা টিকা দেওয়ার পর, শরীরে যে প্রতিরক্ষা সৈন্য অর্থাৎ এন্টিবডি তৈরি হয়, তাকে আংশিকভাবে এড়াতে সক্ষম হতে পারে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আরও গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে, যদিও সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনগুলো করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর কি না, সে নিয়ে গবেষণা চলছে। যুক্তরাজ্যে দুটি সাম্প্রতিক গবেষণা নির্ধারণ করেছে যে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা তৈরি ভ্যাকসিনগুলো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টজনিত সংক্রমণে সৃষ্ট গুরুতর অসুস্থতা রোধে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে সামগ্রিক সুরক্ষা সৃষ্টিতেও এটি সহায়ক।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত এক প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ কোর্স নেওয়ার পর এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে শতকরা ৬৪ ভাগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং শতকরা ৬৪ ভাগ ক্ষেত্রে এটি কভিড-১৯ এর উপসর্গ প্রতিরোধী। অন্যদিকে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টজনিত উপসর্গ-লক্ষণ রোধে শতকরা ৮৮ ভাগ কার্যকর এবং হাসপাতালে ভর্তির মতো অবস্থা রোধের বিরুদ্ধে শতকরা ৯৬ ভাগ কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (যেটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন নয়) ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কোভিড-১৯ এর উপসর্গ-লক্ষণারোগের বিরুদ্ধে শতকরা ৬০ ভাগ কার্যকর এবং হাসপাতালে ভর্তি রোধে শতকরা ৯৩ ভাগ কার্যকর ছিল।

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com