আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনকে সবচেয়ে খারাপভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এটি কেবল আবেগগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অনেকের জীবনকে ব্যাহত করেছে।

যদিও আমরা মারাত্মক করোনভাইরাস আমাদের জীবনে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে অবহিত রয়েছি, তার পাশাপাশি সংক্রমণের সময় এটি যে ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ সাধারণত জ্বর হয়, তবে বাড়তে পারে বা সময়ের সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ:
করোনাভাইরাস একটি শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং তাই এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তবে লক্ষণগুলো অনেকটা সাধারণ সর্দি বা ফ্লু সংক্রমণের মতোই। সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে কয়েকটি হলো:

– শুষ্ক কাশি

– জ্বর

– গলা ব্যথা

– নাক দিয়ে পানি পড়া

– বুকের ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট

– ক্লান্তি

– গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ

– গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস

করোনাভাইরাস কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে:
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোংনান হাসপাতালের গবেষকদের দ্বারা চালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ১৪০ জন রোগীর মধ্যে একই ধরণের লক্ষণ দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রায় ৯৯% রোগীর উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশির ক্ষেত্রে ক্লান্তি এবং শুকনো কাশি রয়েছে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ পেশী ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করেছেন। করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে কীভাবে বাড়তে থাকে, তা জেনে নিন-

প্রথম দিন: করোনাভাইরাসের প্রথম লক্ষণ সাধারণত জ্বর আকারে প্রকাশ পায়। কারও কারও ক্লান্তি, পেশীর ব্যথা এবং শুকনো কাশি হতে পারে, কম সংখ্যকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

পঞ্চম দিন: রোগীরা বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষত যদি তারা বয়স্ক হয় বা আগে থেকেই কোনো রোগে আক্রান্ত থাকে।

ষষ্ঠ দিন: উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন অনুসারে, সপ্তম দিনটি নির্ধারণ করে যে কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না-কি হবে না।

অষ্টম দিন: এই দিন, গুরুতর করোনায় আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সঙ্কট সিন্ড্রোম (এআরডিএস) প্রকাশ পেতে পারে।

দশম দিন: যদি দশ দিনের দিন লক্ষণগুলো আরও বাড়তে থাকে তবে এই সময়ে রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

সতেরতম দিন: এরকম সময়ে লক্ষণগুলো সেরে উঠতে শুরু করে। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুই থেকে আড়াই সপ্তাহ পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আমরা কী করতে পারি?
বিজ্ঞানীরা এবং চিকিৎসা গবেষকরা এখনও ক্লিনিকালি অনুমোদিত ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছেন, তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও যদি আপনি মনে করেন যে আপনি সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন, তাহলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে এবং কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য বা করোনা নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত নিজেকে সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে।

  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

    করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

    করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

    করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

    করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে

  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে
  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে
  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে
  • করোনাভাইরাস যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com