আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনাকালীন পিরিয়ডের খাওয়াদাওয়া

করোনার সময়ে পিরিয়ডে বা পরবর্তী সময়েও সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দীর্ঘদিন এর দুর্বলতা থেকে যায় শরীরে। এমনকি দুর্বলতার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সমস্যাও দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানে আয়রনজাতীয় খাবারকে গুরুত্ব দিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের সাবেক প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার। তিনি বলেন, করোনা হলে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়ামজাতীয় খাবার খুব বেশি খেতে হবে। পিরিয়ডে শরীরে রক্ত কমে যায় বলে আয়রন আছে, এমন খাবারের কোনো বিকল্প নেই। করোনার এই সময়ে কীভাবে নিতে হবে বাড়তি খাদ্যযত্ন, তা নিয়েই এই পুষ্টিবিদ দিয়েছে কিছু পরামর্শ। বিজ্ঞাপন

সুস্থ থাকতে আয়রন

পিরিয়ড মানেই শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যাওয়া। তাই শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করা যাবে না এবং খেতে হবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। দিনে দুটি ডিম, গরু ও মুরগির কলিজা, কচুশাক, লালশাক, ছোট মাছ, শাপলা, চিংড়ি মাছ, অ্যালার্জি না হলে গরুর মাংস এ সময়ে শরীরে আয়রনের পরিমাণ ঠিক রাখে।

ছবি: পেকজেলসডটকম
ছবি: পেকজেলসডটকম

ভিটামিন সি

করোনা হলে এবং সেরে যাওয়ার পর বেশি বেশি ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। আবার পিরিয়ড হলেও ভিটামিন সি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে বললেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, একসময় ভাবা হতো পিরিয়ডে টকজাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু পুষ্টিবিজ্ঞানে বলা হয়, এ সময়ে ভিটামিন সি খুব দরকার। লেবু বা লেবুর শরবত ভিটামিন সি পাওয়ার সহজ উপায়। এখন বাজারেও পাওয়া যায় নানা ধরনের টক ফল। যেমন কাঁচা আম, তেঁতুল, আমলকী, পেয়ারা, ডেউয়া, জাম্বুরা ইত্যাদি। এগুলোও ভিটামিন সির ঘাটতি কমায়। এ ছাড়া ধনেপাতা ও পুদিনাপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বিজ্ঞাপন

প্রতি বেলায় মাছ, মাংস, দুধ

করোনা হলে শারীরিক দুর্বলতা থাকে অনেক দিন। তাই প্রয়োজনমতো খাওয়াদাওয়া না করলে তার প্রভাব পড়ে পিরিয়ডে। শরীরে শক্তি রাখতে প্রতি বেলাতেই মাছ, মাংস, দুধ থাকতে হবে। অনেকেই কিছুদিন পর প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। কিন্তু এতে দুর্বলতা বেড়ে পিরিয়ড বন্ধ বা পেটব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধরে রাখতে হলে প্রোটিন সব থেকে কার্যকরী।

ছবি: পেকজেলসডটকম
ছবি: পেকজেলসডটকম

হলুদ

আমরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের খাবারে হলুদ ব্যবহার করি। হলুদে পাওয়া যায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক, যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ কমাতে পারে। এ ছাড়া আয়রন, মিনারেল, পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ হলুদ। এক কাপ হালকা গরম পানিতে সামান্য হলুদ ও আধা চামচ মধু মিলিয়ে খাওয়া বেশ উপকারী। চাইলে হলুদের ক্যাপসুলও খাওয়া যেতে পারে। পিরিয়ডে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যায়। এমনকি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে ত্বকে সংক্রমণ, যেমন ঘা, চুলকানি হয়। হলুদ এ ক্ষেত্রে ভালো উপকার দেবে। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে।

মৌসুমি ফল

পিরিয়ডে শরীর সুস্থ রাখতে খেতে হবে মৌসুমি ফল। সে ক্ষেত্রে আপেল বা আঙুর না খেয়ে যেকোনো দেশি বা মৌসুমি ফল খাওয়া যাবে, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দেয়। এখন তরমুজের মৌসুম আর তরমুজ রক্তস্বল্পতা কমায়। আবার পিরিয়ডের সময় অনেকের ইউরিন ইনফেকশন হয়, যা তরমুজ কমাতে সাহায্য করে।

ছবি: পেকজেলসডটকম
ছবি: পেকজেলসডটকম

চা খাওয়া যাবে না

পিরিয়ডের সময় চা বা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে থাকা ক্যাফেইন পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি বাড়ায়।

ওজন ঠিক রাখতে খাওয়া

করোনার সময়ে বা পরে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বা অনিয়মিত হলে তার একটি কারণ ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া। ওজন বেড়ে গেলে তেল বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। আর ওজন কমলে হিমোগ্লোবিনও কমে যায়। তখন পিরিয়ড হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com