আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

উষ্ণতায় সারাদিন

শীত এলেই যেন ত্বকের এক ভিন্ন রূপ দেখা দেয়। শীত মানেই ত্বকে রুক্ষ মলিন ভাব, ত্বক ফেটে যাওয়া, সেই সঙ্গে শুষ্কতা। তাই এই সময়ে নিতে হবে ত্বকের বাড়তি যত্ন।সাধারণত আবহাওয়ার কারণেই ত্বকের এই অবস্থা হয়, তাই শীতে একটু সতর্ক তো হতেই হবে।

মুখের যত্ন

যাদের মুখের ত্বক বেশি রুক্ষ তারা অয়েলবেইজড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন, আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফোম অথবা জেলবেইজড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে, যার যার ত্বকের ধরন অনুযায়ী। বেশি রুক্ষ শুষ্ক ত্বকে তেলও ব্যবহার করা যাবে। যেমন অর্গান অয়েল, অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অথবা আলমন্ড (বাদামের তেল)। রুক্ষ ত্বকের জন্য মধুর কোনো জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক হিসেবে খাঁটি মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। শীত এলে সানস্ক্রিনের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। অবশ্যই প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট আগে একটা ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

হাত-পায়ের যত্ন

গোসলের সময় ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে এমন ক্ষারযুক্ত সাবান না ব্যবহার করাই ভালো। এক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলে ক্ষারবিহীন সাবান বা বডিওয়াশ ব্যবহার করুন। গোসলের পর এবং ঘুমানোর আগে অবশ্যই একটা ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত বডিলোশন ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া অলিভ অয়েলও কিন্তু বডিঅয়েল হিসেবে খুবই উপকারী। এখন কিন্তু বাজারে অয়েলমিস্টও পাওয়া যায়। চাইলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁটের যত্ন

শীতে ঠোঁট ফাটবে না তা কি হয়? সব কিছুর মধ্যে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। ঠোঁটের চামড়া উঠলে হাত দিয়ে না টেনে, জিভ দিয়ে না ভিজিয়ে স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। এখন বাজারে ঠোঁটের জন্য ভালো স্ক্র্যাব আছে। যদি না পান তাহলে বাসায় চিনি অথবা চালের গুঁড়া থাকলেও কাজ হয়ে যাবে। এক চামচ চিনি বা চালের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য নারিকেল তেল বা অলিভঅয়েল মিক্স করে ১-২ মিনিট ঠোঁটে স্ক্র্যাব করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন। ঠোঁটে ভালো পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপ ব্লাম ব্যবহার করুন। ২-৩ ঘণ্টা পর পর যখনই ঠোঁট রুক্ষ লাগবে ব্যবহার করতে পারবেন সুইট আলমন্ড অয়েল বা নারিকেল তেল। এগুলোও কিন্তু ঠোঁটের জন্য ভালো কাজ করে।

খাদ্যাভ্যাস

এতকিছু করে কী হবে যদি খাবারের রুটিন ঠিক না থাকে। আমরা যাই ব্যবহার করি না কেন ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর না হলে লাভ কি? শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকলে ত্বকও থাকবে সুন্দর, উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত। তাই সেই একই কথা- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সুপ, ফলের জুস, গরম দুধ, গ্রিন টি মেনুতে রাখুন। ফল আর শাকসবজি তো খেতেই হবে, সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবারও। ফল ও সবজি দিয়ে সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন। শীতে ত্বকের রুক্ষতা বেড়ে যায়, তাই খাবারে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এমন জাতীয় খাবারও খেতে হবে যেমন বাদাম, মাছ। একটা ব্যালান্স ডায়েট মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com