আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

উভলিঙ্গদের কাহিনি: ‘আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন’ মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

ইরিনা কুযেমকো, লিয়া আর অলগা অনিপকো- এরা জন্মেছিলেন উভলিঙ্গ শিশু হিসাবে। তাদের প্রত্যেকের সমস্যা ছিল আলাদা।

“আমার যখন ২২বছর বয়স, তখন জানতে পারি আমি উভলিঙ্গ। জানার পর কিন্তু আমার দারুণ স্বস্তিবোধ হয়েছিল, মন থেকে একটা বিশাল ভার নেমে গিয়েছিল,” বলছেন ইরিনা কুযেমকো।

বিশ্বে ইরিনার মত অনেক শিশু জন্ম নেয়, যারা প্রাকৃতিক নিয়মে ছেলে বা মেয়ে হয়ে জন্মায় না। শিশু অবস্থায় তাদের লিঙ্গ ঠিক করে দেয়া হয় বিতর্কিত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।

এই ইন্টারসেক্স বা উভলিঙ্গ মানুষ একইসাথে নারী ও পুরুষের শারীরিক বিশেষত্ব বা অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এদের মধ্যে চল্লিশটিরও বেশি ধরনের মিশ্র বিশেষত্বের খোঁজ পেয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।

কারো হরমোনের মাত্রায় তারতম্য থাকে, ফলে হরমোনের মাত্রা ভেদে সে পুরুষ না নারী সেটা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে না। কারো আবার শরীরের ভেতরে হয়ত নারীর প্রজনন অঙ্গগুলো থাকে, কিন্তু শরীরের বাইরে থাকে পুরুষের যৌনাঙ্গ।

এধরনের উভলিঙ্গ মানুষ মানসিকভাবে খুবই বিপর্যয়ের মধ্যে থাকেন, কারণ তারা প্রাকৃতিক নিয়মে তাদের আসল পরিচয় কী, সেটা খোঁজা তাদের জন্য খুবই কষ্টের একটা প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে। দেখা গেছে শিশু বয়সে অস্ত্রোপচার করে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেবার পর প্রাপ্ত বয়সে এসে সে হয়ত বিশাল দোটানায় ভুগছে যে আসলে তার লিঙ্গ সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়েছিল কীনা।

চিকিৎসকরা বলছেন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কারো লিঙ্গ নির্ধারণ করার বিষয়টাকে তারা কখনই হালকাভাবে নেন না। তারা শিশুর জেনেটিক পরীক্ষা করেন। তারপর একাধিক চিকিৎসক ও জেনেটিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বাপমায়ের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই এসব অপরাশেন করা হয়ে থাকে।

তবে উভলিঙ্গদের নিয়ে যারা কাজ করেন তারা মনে করেন, শিশু বয়সে শারীরিক কারণে প্রয়োজন না হলে এধরনের অস্ত্রোপচার না করানোই উচিত। কারণ ঐ শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর সে নিজে কী হতে চায় সে সম্পর্কে সে যদি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে তার মানসিক বিপর্যয় হয়ত কিছুটা কম হতে পারে।

উভলিঙ্গ শিশু হয়ে জন্মানো ও পরে নারী হিসাবে বড় হয়ে ওঠা তিনজন বিবিসিকে বলেছেন তাদের কঠিন মানসিক লড়াই আর কীভাবে তারা বিষয়টা মানিয়ে নিয়েছিলেন তার কাহিনি।

line

ইরিনা কুযেমকো, ২৭, ইন্টারসেক্স অধিকার কর্মী

বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনর আগে পর্যন্ত আমি মেয়ে হিসাবেই বড় হয়েছি। আমার বান্ধবীদের সবার মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হলেও আমার হয়নি। ক্লাসের সব মেয়ে যেভাবে বেড়ে উঠেছে, আমি উঠিনি। ক্লাসে আমিই ছিলাম একমাত্র মেয়ে যার স্তন গড়ে ওঠেনি।

একদিন শিক্ষিকা আমাদের ক্লাসে মেয়েদের বেড়ে ওঠা নিয়ে একটা ভিডিও দেখাচ্ছিলেন। আমার জন্য সেটা খুবই কষ্টের অভিজ্ঞতা ছিল। ছবিতে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল সবাই সেভাবে বেড়ে উঠেছে। আমি ছাড়া।

ইরিনা যখন বড় হয়ে উঠছেন তিনি জানতেন না তিনি উভলিঙ্গ। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে।

কিন্তু আমি যে আর পাঁচটা মেয়ের মত নই তা নিয়ে আমার মা এবং নানীর কোন মাথাব্যথা ছিল না। তারা বলতেন: “ওটা কোন সমস্যা নয়- সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আমার বয়স যখন ১৪ হল, আমি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আমাকে নিয়ে যাবার জন্য তাদের জোর করতে লাগলাম।

ডাক্তার বললেন আমার ডিম্বাশয়গুলো কাজ করছে না। তিনি কিছু চিকিৎসা দিলেন। বেশ কয়েকমাস গেল- চিকিৎসায় কাজ হল না। আমার মনের ওপর চাপ বাড়তে লাগল।

আমার ১৫ বছর হলে বাবা আমাকে ডাক্তার দেখাতে মস্কোয় নিয়ে গেলেন। ডাক্তাররা আমাকে কিছুই বললেন না। শুধু বাবা বললেন আমাকে একটা কি দুটো ছোট অপারেশন করাতে হবে। স্কুলে বান্ধবীরা অনেক প্রশ্ন করেছিল। আমিও কিছুই জানতাম না- কিছুই বলতে পারিনি।

পরে আরও বড় হয়ে বাবাকে একবার যখন কথা প্রসঙ্গে বললাম, ডাক্তারের উচিত ছিল আমার শরীরের ভেতর থেকে অকেজো অঙ্গগুলো বাদ দেয়া, বাবা উত্তর দিলেন: “তোমার শরীর থেকে সবই তো কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে।” আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

আমার নিজের ওপর প্রচণ্ড রাগ আর ঘৃণা তৈরি হল। ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে জানলাম আমার মত কাহিনি আরও মানুষের আছে। আমরা উভলিঙ্গ- ইন্টারসেক্স। আমি আমার চিকিৎসার কাগজপত্র খুঁজে বের করে মস্কোর এক ডাক্তারকে ফোন করলাম। আমার মা পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। আমার ভয় করছিল – কী শুনব!

সেই ২২ বছর বয়সে এসে আমি প্রথম জানতে পারলাম, সাত বছর আগে আমার কী ঘটেছিল। আমার শরীরে অণ্ডকোষ ছিল, সেটা কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। ডিম্বাশয়ের অংশও ফেলে দেয়া হয়েছে। আমি তখন থেকে হরমোন খাচ্ছি।

ইরিনার মনে হয়, তার চিকিৎসক এবং তার বাবা বিষয়টা তাকে খুলে বললে ভাল হতো

আরও জানলাম আমার শরীরে একই সাথে পুরুষ ও নারীর বৈশিষ্ট্যবাহী ক্রোমোজোম ছিল। আমার জরায়ু ছিল।

আমি বাবাকে গিয়ে সোজাসুজি বললাম আমাকে কিছু বলোনি কেন? বাবা বললেন দুজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে তিনি কথা বলেছিলেন। তারা আমাকে কিছু না জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বাবার ধারণা তিনি কোন ভুল করেননি। আমি তারপর থেকে বাবার সাথে আর কথা বলিনি।

আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে বেঁচে থাকব সেকথা ভাবতাম। কিন্তু পরে খুব দ্রুত ব্যাপারটা মেনে নিতে পেরেছিলাম, যখন জানলাম আমার মত উভলিঙ্গ মানুষ আরও আছে।

আগে মনে হতো সমস্যাটা আমার একার। পরে জানলাম একই শরীরে নারী ও পুরুষ অঙ্গ নিয়ে অনেক মানুষ শান্তিতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তখন থেকে আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেল।

তখন থেকে আমি ঠিক করলাম আমি আমার মত শিশু কিশোরদের পাশে দাঁড়াব। আমার যেভাবে দু:সহ শৈশব ও কৈশোর কেটেছে, অন্যদের যাতে একই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয় সেটা আমি করব।

line

চিকিৎসকের মতামত: জুলিয়া সিদোরোভা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

“আমার মতে শিশুর অস্ত্রোপচার তখনই করা উচিত যখন এটা তার জীবন সংশয়ের কারণ হয়। বাইরে থেকে কী দেখা যাচ্ছে সেটা নিয়েই মানুষের মধ্যে বেশি উদ্বেগ দেখা যায়, ফলে শিশু বয়সে যৌনাঙ্গে অস্ত্রেপচারের একটা প্রবণতা থাকে।

এধরনের একটা মেয়ে বাচ্চার যৌনাঙ্গ পুরুষের মত হলেই অপারেশনের একটা তাগিদ অনুভব করেন শিশুর বাবামা। এটা সামাজিকভাবে উদ্বেগের বা লজ্জার বিষয় হতে পারে, কিন্তু শিশুর প্রাণ সংশয়ের কোন কারণ এতে থাকে না।

কিন্তু যদি এর ফলে শিশুর প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই অপারেশন করানো যুক্তিসঙ্গত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা জরুরি হবে।”

line

অস্ত্রোপচারের বিষয়টার জন্য অপেক্ষা করা অনেকসময়ই ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুর সাথে লুকোচুরি না করে তাকে খোলামেলা সবকিছু জানিয়ে তার মতামত নিয়ে অপারেশন করালে সেটা তাকে ভবিষ্যতে মানসিক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারে।

অপারেশনের পর অনেক সময়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। স্পর্শের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, বন্ধ্যাত্ব তৈরি হতে পারে, সবসময় ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘদিন হরমোন চিকিৎসায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।

একটা জিনিস মনে রাখা কিন্তু জরুরি। উভলিঙ্গদের সাথে যৌন অভিরুচির বিষয়টা গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তারা সাধারণ মানুষের মতই। তাদের নির্দিষ্ট কোন যৌন পরিচয় নেই। তারা প্রত্যেকে আলাদা।

এদের অনেকেরই পরিবার আছে, সংসার আছে, সন্তান আছে। তবে অনেকের হয়ত ক্রোমোজোমের তারতম্যের কারণে সন্তান হতে পারে না।

এদের প্রত্যেকের সমস্যা আলাদা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে জন্মের সময় দেখা যায় তার শরীরে নারী ও পুরুষের অঙ্গ বা বৈশিষ্ট্য মেশানো আছে।

আবার অনেকে পুরো স্বাভাবিকভাবে জন্মানোর পর সে যে উভলিঙ্গের সেটা বয়ঃসন্ধির সময় প্রকাশ পায়।

ইরিনা মনে করেন উভলিঙ্গ মানুষদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ হওয়া উচিত।

এখন আমার সহপাঠী, শিক্ষক ও বন্ধুরা কিন্তু আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। মানুষও আমাকে ভিন্ন চোখে দেখে না। ভালবাসে।

আমিও বিষয়টা বোঝার এবং মেনে নেবার পর থেকে মানসিকভাবে অনেক স্বস্তি ও সুখী বোধ করেছি।

line

লিয়া (নাম বদলে দেয়া হয়েছে)

আমার কাহিনির শুরু মেটারনিটি হাসপাতালে। ডাক্তাররা আমার মাকে বলেছিলেন আমার যৌনাঙ্গ অপরিণত। নারী বা পুরুষ কোনটার মতই দেখতে নয়।

“আপনি ছেলের না মেয়ের জন্ম দিয়েছেন- কী মনে হচ্ছে আপনার?” আমার মাকে ওরা জিজ্ঞেস করেছিল।

মা ঠিক করলেন আমাকে মেয়ে সন্তান হিসাবে রেজিস্ট্রিভুক্ত করবেন। ডাক্তারদের এটা ছিল প্রথম ভুল। তাদের উচিত হয়নি পুরো দায়িত্বটা আমার মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া।

ফলে আমি বড় হচ্ছিলাম মেয়ে হিসাবে।

স্কুলে ভর্তি হবার আগে মা আমাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলেন। শিশু ক্লিনিকের ডাক্তার মাকে বললেন: “আপনি কি পাগল? এতো আপনার ছেলে শিশু!”

অন্য ডাক্তাররাও নিশ্চিত করলেন আমি ছেলে। নথিপত্রে আমার নাম বদলানো হল।

আমি ছেলে হিসাবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। কিন্তু আমাদের কিন্ডারগার্টেনের বেশ কিছু বাচ্চা ওই ক্লাসে ছিল যারা জানতো আমি মেয়ে। ফলে মা স্কুল বদলে আমাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করলেন।

তখনও পর্যন্ত আমার কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু দেখলাম বড়রা আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। তখন থেকে আমার কিছুটা মানসিক সমস্যা শুরু হলো।

নিজের পরিচয় নিয়ে লিসাকে বছরের পর বছর লড়াই করতে হয়েছে

আমি আমার লম্বা চুল কাটতে চাইতাম না। কিন্তু প্যান্ট আর ঢোলা জামা পরতাম হুডিদের মত। আমি এখন বুঝতে পারি কেন তারা আমার লিঙ্গ বেছে নেয়ার দায়িত্ব আমাকে দেননি। আমি বেশ নিশ্চিন্তেই ছিলাম।

কিন্তু আমি যখন ১৩, আমার একটা দুর্ঘটনা ঘটল। আমি একটা ঘোড়ার ধাক্কায় পড়ে গেলাম। হাসপাতালে যখন জ্ঞান এল, জানলাম আমার শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে।

কৃত্রিমভাবে প্রস্রাব করানোর জন্য নার্স আমার মূত্রনালীতে ক্যাথেটার পরানোর সময় আমার যৌনাঙ্গ দেখে মস্করা শুরু করলেন আমি কি ছেলে না মেয়ে তা নিয়ে।

ভাবুন ভাঙা মেরুদণ্ড নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এধরনের ব্যঙ্গবিদ্রূপ শুনছি!

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর এক বছর বাসায় আমাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছে। আমার মা, আমার নানী ও বোন সারাদিন কাজ করতো, বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমাকে দেখাশোনা করার কেউ ছিল না।

একদিন প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আমি একটা কাঁচি নিয়ে নিজেকে আহত করলাম- এর পর থেকেই যন্ত্রণার উপশম পেতে আমি নিজেকে আঘাত করতে শুরু করলাম। মা কখনও টের পাননি।

ডাক্তাররা আমার আবার সুস্থ হয়ে উঠে দাঁড়ানোর আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু একদিন আমি সেরে উঠলাম।

লিয়া বলছেন শিশুকালে তার লিঙ্গ ঠিক করে দেবার কারণে একটা অপরাধ বোধে ভুগছেন তার মা

সেরে উঠে আমি প্রথমেই স্কুল যেতে চাইলাম। স্কুল আমার বাসা থেকে মাত্র বিশ মিনিটের পথ, কিন্তু আমার হেঁটে স্কুলে যেতে লাগল দুঘন্টা।

আমার অক্ষমতা দেখে স্কুলে অন্য শিক্ষার্থীরা আমাকে হয়রানি শুরু করল। তারা আমার ব্যাগ টয়লেটে ছুঁড়ে ফেলে দিত। তারা জানত আমি ছুটে সেখানে যেতে পারব না।

এরপর আমি যখন ১৬, তখন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বিছানায় রক্ত।

আমাকে হাসপাতালে নেয়া হল, পরীক্ষা করা হল, ডাক্তার আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার ফল দেখে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন: “আরে ওর তো জরায়ু রয়েছে!” আমি যে শুনতে পাচ্ছি সে দিকে ওনার ভ্রূক্ষেপ ছিল না।

এভাবেই আমি জেনেছিলাম আমার শরীরে নারীর অঙ্গ আছে। তাই আমি ছেলে হয়েও আমার পিরিয়ড হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম আমার শরীরের ভেতর যে অঙ্গ আমি দেখতে পাচ্ছি না- তা ফেলে দেয়া হোক।

কিন্তু ডাক্তার আমাদের বোঝালেন আমার শরীরের ভেতরের নারী অঙ্গগুলো পুরো কাজ করছে, সেগুলো ফেলে দেয়া ঠিক হবে না।

ফলে দুবছরে আমাকে চারবার অপারেশন করানো হল, আমি নারী হলাম।

line

চিকিৎসকের মতামত: জুলিয়া সিদোরোভা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

“ভাবুন ১৪ বছরের একজনকে এরকম নিষ্ঠুরভাবে জানানো হচ্ছে তার যৌনাঙ্গের সমস্যার কথা। তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে!

এধরনের শিশুদের বাবামাকে প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকতে হয়। অনেকে মাকে এমন প্রশ্নও করে অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় কি ধূমপান করতে? মদ খেতে?

কিন্তু একটা শিশু এধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মাবে কিনা সেটা কেউ বলতে পারে না। এটা ঠেকানোর কোন জানা কারণও নেই। আপনার পরিচিত মহলেও এরকম উভলিঙ্গ শিশু হয়ত আছে- আপনি জানেন না।”

(জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৭%এর মধ্যে উভলিঙ্গের যে চল্লিশটিরও বেশি লক্ষণের কথা জানা যায়, তা কমবেশি থেকে থাকতে পারে। ডাক্তাররা অবশ্য বলেন এই হার ১.৭%এর অনেক কম।)

line

এখন আমার দুটি সন্তান – একটি ছেলে একটি মেয়ে।

আমার ছেলে যখন জন্মায় আমার বয়স ছিল ২০। আমার মধ্যে কোনরকম মাতৃত্বের অনুভূতি তৈরি হয়নি। তবে আমার ছেলে আর আমি ভাল বন্ধু।

আমার মেয়ে আমার সাথে থাকে না। ওর বাবা আর আমি আলাদা হয়ে গিয়েছি। মেয়ে যখন বাচ্চা ওকে নিয়ে একদিন স্কুলে গিয়েছি, সেখান থেকে ওর বাবা ওকে তুলে নিয়ে অন্য শহরে চলে গিয়েছে। আমার মেয়েটাকে এক অর্থে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

জীবনে অনেক পুরুষ ও নারীর সঙ্গে আমার ভাব হয়েছে। আমি মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। পুরুষকে দেখে আমার কোন আবেগ হয় না।

আমার চারবার বিয়ে হয়েছে। আমি কিছুদিনের মধ্যে পঞ্চমবার বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমি যাকে ভালবাসি সে ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ।

একেক সময় মনে হয় ডাক্তারের পরামর্শ আমার জন্য সঠিক ছিল কিনা। কেন আমি এখনও আমার সঠিক পরিচিতি খুঁজে বেড়াচ্ছি, কেন চারবার বিয়ে করেছি, কেন সন্তানদের নিয়ে সমস্যা…

আমার মা পাশে থেকেছেন সবসময়। মনে হয় তার ভেতরে একটা অপরাধ বোধ আছে- এত বছর ধরে তিনি সেই অপরাধ বোধ বয়ে বেড়াচ্ছেন।

তার তো কোন দোষ নেই। এই অপরাধ বোধ তার ঝেড়ে ফেলা উচিত।

line

অলগা অনিপকো, ৩৫, ইন্টারসেক্স অধিকার কর্মী

আমাকে সবসময় মেয়েদের মত দেখতে ছিল, আমার শরীরের ভেতরেও ছিল সবরকম নারী অঙ্গ।

কিন্তু আমি যখন কিশোরী, আমার হঠাৎ ওজন বাড়তে শুরু করল। আমাকে অন্যরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করত, হেনস্থা করত। আমি দিনে রাতে জগিং করতাম, ডায়েট করতাম, খেতাম কম। কিন্তু ওজন বাড়তেই লাগল।

আমার বয়স যখন ২৪, আমি হরমোন পরীক্ষা করলাম। দেখা গেল আমার হরমোনের নানা সমস্যা। কিন্তু আমি জানতেই পারিনি আমি উভলিঙ্গ।

বহু বছর ধরে পরীক্ষা ও ডাক্তারদের কাছে ধর্না দেবার পর অলগা জেনেছিলেন তার শরীরে ক্রোমোজোমের সংখ্যাই তার সমস্যার করণ।

হরমোন বিশেষজ্ঞ আমার হরমোনে ভারসাম্য আনার জন্য চিকিৎসা দিলেন। কিন্তু কিছুদিন ওপর আমার ঠোঁটের ওপর এবং ঘাড়ে চুল গজাতে শুরু করল। ভাবুন ২৫বছরের একটা মেয়ের জন্য এটা কতটা বিব্রতকর।

আমি হরমোন খাওয়া বন্ধ করে দিলাম। আমার হাতে অর্থ থাকলে এবং উৎসাহ পেলে আরও ডাক্তার দেখাতাম।

একজন ডাক্তার বললেন তিনি আমার ক্রোমোজোম পরীক্ষা করাবেন। ভাগ্যিস করলেন। চার বছর আগে আমি জানতে পারলাম আমার শরীরে পুরুষের ক্রোমোজোম রয়েছে, যার অর্থ আমি উভলিঙ্গ অর্থাৎ আমার শরীরে একইসঙ্গে নারী ও পুরুষ দুটো বৈশিষ্ট্যই রয়েছে।

২৪ বছর বয়সে আমি বুঝতে পারি আমি সমকামী।

আমার তরুণ বয়সে আমি যথেষ্ট তন্বী নই বলে দুর্ভাবনায় থাকতাম। এরপর বুঝলাম আমি সমকামী। আর তারপরে জানলাম আমি পুরোপুরি নারী নই। তাহলে আমি কী?

আমার ভাই বিষয়টা নিয়ে জানতে আগ্রহ দেখাল। আমার বড় বোনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। আমার বাবামা আমাকে মেনে নিলেন। তাদের ভালবাসা একইরকম রইল। কিন্তু তারা এটা নিয়ে কথা বলতে চাইতেন না।

আমার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সমাজে আমাদের মত যারা সাধারণের বাইরে তাদের ব্যাপারে অসহিষ্ণু মনোভাব।

অনেকের মত হল উভলিঙ্গ শিশুদের বাচ্চা বয়সে অপারেশন করিয়ে তার লিঙ্গ ঠিক করে দেয়াটা পরবর্তীকালে তাদের মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা যখন সেটা জানতে পারে, ডাক্তার বা বাবামায়ের প্রতি বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

কিন্তু কেউ আলাদা হলে সমাজও তাদের অমানবিক দৃষ্টিতে দেখে।

স্বাভাবিকভাবে তাদের যখন জন্ম হচ্ছে, তখন প্রকৃতি যেভাবে তাদের পৃথিবীতে নিয়ে আসছে, সেভাবেই তাদের মেনে নেয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠা দরকার।

line

সেরহি কিরিলিউক, মনস্তত্ব ও মনোরোগ বিষয়ে সহাকারী অধ্যাপক

“মনোরোগ চিকিৎসক হিসাবে আমি এরকম অনেক রোগীকে দেখেছি।

আমি শুনেছি উভলিঙ্গ মানুষ যখন জানতে পারে, শিশুকালে তাকে অস্ত্রোপচার করে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, তারা খুব রেগে যায়।

মূল কথা হল, মনের গভীরে সেই রাগটা পুষে না রাখা। আপনাকে তো বাঁচতে হবে। জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।

ইন্টারসেক্স বা উভলিঙ্গরা যখন ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে, যখন নিজেকে বোঝাতে পারে তারা একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ, তার মত আরও অনেকে একই সমস্যা নিয়ে জন্মেছে, তখন তারা জীবনে সুখ খুঁজে পায়। এই উপলব্ধি যাদের হয়েছে তাদের মুখ আমি উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে দেখেছি।”

line

এই প্রতিবেদনে সহায়তা করেছেন বিবিসির গ্লোবাল আইডেনটিটি বিষয়ক সংবাদদাতা মেঘা মোহান

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

    উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের

  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
  • উভলিঙ্গদের কাহিনি: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন' মানসিক যন্ত্রণা ও পরিচয় খোঁজার লড়াই যাদের
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com