আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বিকেল-সন্ধ্যায় হালকা নাস্তায় রুটি-পরোটা, চাপাতি বা রুমালি কিংবা নান রুটির প্রচলন বহু পুরোনো। বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকায় এবং মিরপুরের বিহারী ক্যাম্প এলাকায় এর চল বেশি। অনেকেই নৈশভোজও সেরে নেন এই রুটি দিয়ে। ক্রেতার চাহিদা মেটাতে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো নিয়ে আসে এসব রুটির পাশাপাশি নিত্যনতুন মেনু। হোটেলের সাজসজ্জা, আকর্ষণীয় ডেকোরেশনের পাশাপাশি এসব রুটি তৈরির দৃশ্যও মন কাড়ে ভোজনবিলাসীদের।

এমন এক নিপুণ হাতে চাপাতি বা রুমালি রুটি তৈরির দৃশ্য মন কাড়ছে রাজধানীবাসীর। বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকার মোজাদ্দেদী হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় এলে এই দৃশ্যের দেখা মিলবে। এই হোটেলের কর্মচারী আসানের রুমালি রুটি তৈরির দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজনবিলাসীরা ভিড় জমান। শুধু দেখা নয়, তারা স্বাদও নেন তার হাতের এই রুটির।

আসানের রুটি তৈরির বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। তিনি রুটি তৈরি করে আকাশে উড়িয়ে দেন। আর বাতাসে ভাসতে থাকা অবস্থায় রুটি প্রসারিত ও চওড়া হয়। তার কাজ চলে দুই হাতে। এক হাতে রুটি প্রস্তুতের জন্য আটা গোলা করা, বেলুনের সাহায্যে তা চওড়া করা। এরপর পরই তিনি এ রুটি আকাশে উড়িয়ে দেন, ছোট আকৃতির রুটি মুহূর্তেই বড় হয়ে যায়। এরপর সেটা আগুনে সেঁক দিয়ে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করেন।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে ঢাকায় পাড়ি জমান আসান। কাজ নেন খাবার হোটেলে। হোটেলে রান্নার শুরুতে লুচি-পরোটা তৈরির কাজ করলেও তার দক্ষতা আসে রুমালি বা চাপাতি রুটি তৈরিতে। এটা তৈরিতে সময়ক্ষেপণ হয় না মোটেও। মুহূর্তেই একের পর এক রুটি তৈরি করেন আসান। ক্রেতার চাহিদা মতো নির্দিষ্ট সময়ে তা সরবরাহ করেন তিনি।

হোটেল মালিক মো. রাসেল জানান, আসান পাঁচ বছর ধরে এ হোটেলে কাজ করছেন। এর আগে দিনব্যাপী কাজ করলেও এখন একবেলা কাজ করেন তিনি। প্রতিদিন একবেলা, অর্থাৎ বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তার কাজের সময়। অনেক সময় ক্রেতা বেশি হলে বা অনুরোধ করা হলে রাত ১০টার পরও কিছুটা সময় দেন। কাজের বিনিময়ে তাকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় আসান নেন ১০০ টাকা করে। সময় বাড়ার সাথে আসানের মজুরির পরিমাণও বাড়ে।

তিনি আরও বলেন, আসানের কাজ আর হোটেলে ভালো মানের রান্না হওয়ায় প্রতিদিনই হোটেলে ক্রেতা আসে বিভিন্ন এলাকা থেকে। সন্ধ্যার পর হোটেলে ভিড় বাড়ে। এ হোটেলে চাপাতি বা রুমালি রুটির সাথে পাওয়া যায় ১০০ টাকায় মাসালা চিকেন, চিকেন টিক্কা, বিফ শিক, ৮০ টাকায় চিকেন গ্রিল, ১০ টাকায় মিলছে সবজি।

  • আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি

    আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি

  • আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি

    আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি

  • বেড়েছে চাল-মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-ডিমের

    বেড়েছে চাল-মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-ডিমের

  • আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি
  • আসানের হাতের নৈপুণ্যে বাতাসে ভাসে চাপাতি রুটি
  • বেড়েছে চাল-মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-ডিমের
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com