আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

আমের জাতপাত

লখনা
লখনা

এখন ফলের বাজারে গেলে যেন আমের ঘ্রাণ পাগল করে। বাজারে থরে থরে সাজানো পাকা আম। কিন্তু কিনতে গেলেই অনেকের মনে খটকা লাগে, এত আমের মধ্যে আসলে কিনব কোন আম? কোনটা বেশি স্বাদের হবে—মিষ্টি রসের গোলায় মুখ ভরে যাবে?

সিন্দুরি
সিন্দুরি

আবার সন্দেহ জাগে, এগুলো খাঁটি আম তো? মানে কোনো রাসায়নিক দিয়ে আম দূষিত করা হয়েছে কি না? ফল খেলে বল বাড়ে সত্য, কিন্তু কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো এসব আম খেলে মনে হয়, এই বুঝি রসাতলে যেতে হবে।

হাঁড়িভাঙা
হাঁড়িভাঙা

আমের আসল স্বাদটাই যেন কেমিক্যালে পাকা আমে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষ ক‌রে যদি আম পাকানোর জন্য কোনো রাসায়নিক বা রাইপেনিং হরমোন ব্যবহার করা হয়। এত সব চিন্তা করতে করতে কারও কারও হয়তো আর আম কেনার সাহসই হয় না। কিংবা সাহস করে কিনলেও সেই পাকা আম খেয়ে রসনার তৃপ্তি মেটে না। তাই বলে কি আমের মৌসুমে আম খাব না? দরদাম যা–ই হোক, খেতে চাই নিরাপদ আম। কীভাবে মিলবে তা? আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে না যে আম কিনছি, তা সম্পূর্ণ রাসায়নিকমুক্ত কি না। তবে কেনার আগে বা কেনার সময় কিছু বিষয় জানা থাকলে ও আম চিনলে ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ আম কেনায় তা কিছুটা সাহায্য করতে পারে।

হাজার জাতের আম

সূর্যপুরি
সূর্যপুরি

বাংলাদেশে যত রকমের আম হয়, কারও প‌ক্ষেই তার সব চেনা সম্ভব নয়। এ দেশে একসময় দেশি জাতের প্রচুর আম ছিল। একসময় গবেষকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে আমের প্রায় ১ হাজার ৬৫০টি জাতের একটা তালিকা তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। এ দেশে আমের সেই বৈচিত্র্যভরা ভুবনে এখনো রয়েছে হাজারখানেক জাতের আম। ঢাকায় কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছিল আমের ৭৫টি জাত। প্রতিটি জাতের আমের চেহারা, রং, রূপ, ঘ্রাণ, স্বাদ, মিষ্টতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য আলাদা। এখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় গেলে অনেক স্থানীয় জাতের আমের দেখা পাওয়া যায়। ভোলাহাট ও গোমস্তাপুরেও আছে অনেক জাতের দেশি আম। ক্ষীরভোগ, মোহনভোগ, রাজভোগ, রানিভোগ, রানিপছন্দ, সিন্দুরা, সুবর্ণরেখা, কুয়াপাহাড়ি, নাক ফজলি, ফজলি, চিনি ফজলি, সুরমাই ফজলি, চিনি মিছরি, জগৎমোহিনী, রাখালভোগ, রাঙ্গাগুড়ি, গোবিন্দভোগ, তোতাপুরি, মিশ্রিকান্ত, জালিবান্ধা, বোম্বাই, ভুতো বোম্বাই, পাহাড়িয়া, গোলাপখাস, কাকাতুয়া, দাদভোগ, চম্পা, সূর্যপুরি, কাঁচামিঠা, কলামোচা, শীতলপাটি, লক্ষ্মণভোগ, গোলাপবাস, কিষাণভোগ, বান্দিগুড়ি, কুয়াপাহারী, রাংগোয়াই, আশ্বিনা, ভাদুরিগুটি, বনখাসা বউ ফুসলানি, ক্ষীরমন, দুধসর, রঙভিলা, পারিজা, আনোয়ারা, দিলশাদ, আম্রপালি, মল্লিকা, বেগমবাহার, পূজারিভোগ, পলকপুরি, রাজলক্ষ্মী, দুধকুমারী, শ্যামলতা, খাট্টাশে, জাওনা, দমমিছরি, মিছরি মালা, মিছরিবসন্ত, মেসোভুলানী, আনোয়ারা, ফুনিয়া, গোলাপবাস, বাতাসাভোগ, ইটাকালি, গোল্লাছুট, পোল্লাদাগী, মোহনবাঁশি, পরানভোগ, বিড়া, ভারতী, বাদশাপছন্দ, বেগমপছন্দ, রাজাপছন্দ, বনখাসা, বাগানপল্লি, কালিগুটি, পাকচারা, কালিয়াভোগ, দুধসর, কোহিতুর, কালিগুলি, হাঁড়িভাঙা, বালিশা ইত্যাদি জাতের আম এখনো দেখা যায়।

আধুনিক ও বিদেশি জাতের আম

দেশি জাতের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে অনেক আধুনিক ও বিদেশি জাতের আম। কিন্তু সত্যি বলতে কি, দেশি বা স্থানীয় সেসব জাতের স্বাদই ছিল অন্য রকম। আজকাল তো টক বা চুকা আম খুঁজেই পাওয়া যায় না—সবই প্রায় মিষ্টি আর আঁশবিহীন। আগে যে দেশি ল্যাংড়া আম ছিল, তা দিয়ে দুধভাত খেলে অনেকক্ষণ সেই আমের ঘ্রাণ হাতে লেগে থাকত। এখন বড় বড় আধুনিক ল্যাংড়া জাতের আম থেকে আর সেরূপ সুমিষ্ট ঘ্রাণ তীব্রভাবে পাওয়া যায় না। তেমনি খুদি ক্ষীরশা ও ক্ষীরশা বা ক্ষীরশাপাতি আমের বেলায়ও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলে এ আম ক্ষীরশাপাতি নামে পরিচিত হলেও আসলে তা হিমসাগর জাতেরই একটি প্রকার। মিষ্টতা ও স্বাদে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি জাতের মতো জনপ্রিয়তা আর কোনো আমের নেই।

ব্রুনাই কিং
ব্রুনাই কিং

কোন আম কখন আসে

মৌসুমে সবার আগে দেখা যায় গোপালভোগ জাতের আম। গোপালভোগ আম মাঝারি আকারের, পাকা আমের রং হলুদাভ সবুজ, পাকলে খোসা পুরোপুরি হলুদ হয় না, আঁটি পাতলা, আঁশ নেই ও মিষ্টি। তারপর ওঠে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি আম। এ জাতের আমও পাকলে হলুদাভ সবুজ হয়, কখনো কখনো ময়লা হলুদ হয়, মাঝারি আকারের, কমলা শাঁস, খুব মিষ্টি, সুঘ্রাণযুক্ত ও সুস্বাদু। এটাই মনে হয় সেরা আম। ক্ষীরশাপাতি আমের আসল জায়গা হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এরপর ল্যাংড়া। ল্যাংড়া আম অনেকটা আয়তাকার গোল, হালকা সবুজ রঙের খোসা, পাকলেও হলুদ হয় না, খোসা পাতলা, হলুদ শাঁস, ভালোভাবে না পাকলে আম খেলে মুখ চুলকাতে পারে। সুঘ্রাণের সুখ্যাতি রয়েছে ল্যাংড়া আমের। এ সময় লক্ষ্মণভোগ বা লখনা আমও পাওয়া যায়। পাকলে এ জাতের আম উজ্জ্বল হলুদ হয়ে যায়, বোঁটার কাছে লালাভ রং ধরে। এ জন্য একে রঙিন আমও বলে। ঘ্রাণ ভালো। রাজশাহীতে পাওয়া যায় লখনা আম।

কাটিমন
কাটিমন

এরপর ওঠে হাঁড়িভাঙা আম—রংপুর অঞ্চলে এ জাতের আম পাওয়া যায়। ভরা মৌসুম শেষ হলেও গাছে ও বাজারে আরও কিছু জাতের আম থাকে। কিছুটা নাবি জাত হিসেবে ইতিমধ্যে আম্রপালি যেন আমের রানি হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ বলে রুপালি আম, আসলে আম্রপালি। আম্রপালি ছিল প্রাচীন ভারতের সেরা নর্তকী। তাই তাঁর সম্মানে সেরা জাতের এই আমের নাম রাখা হয়েছে আম্রপালি। আম্রপালি আমের খোসা মসৃণ বা তেলতেলে, ছোট থেকে মাঝারি আকারের আম, পাকা আম হলুদাভ সবুজ, অগ্রভাগ কিছুটা সরু, শাঁস কমলা ও অনেক মিষ্টি, পাকা আম্রপালি আম বেশ কয়েক দিন ঘরে রাখা যায়। সারা দেশেই আম্রপালি আম পাওয়া যায়। এখন পাহাড়ি অঞ্চলেও আম্রপালি ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। নাবি জাত হিসেবে ফজলি ও আশ্বিনা এখনো জনপ্রিয়। বলতে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যত আম হয়, তার অর্ধেকই আশ্বিনা। নাবি জাত আশ্বিনা কালচে সবুজ রঙের, ফজলি আম সবুজ রঙের। আশ্বিনা আমের স্বাদ টক-মিষ্টি, ফজলি টকগন্ধযুক্ত মিষ্টি স্বাদের বড় আম। এখন নাবি জাতের আম হিসেবে অনেকের কাছে প্রিয়। মাঝারি-বড় আকারের বারি আম-৪ জাত ও গৌরমতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ দুটি জাতের আমই সুমিষ্ট ও সুন্দর চেহারার। বছরে তিনবার ধরে, এমন জাত হিসেবে বারি আম–১১ ও থাইল্যান্ডের কাটিমন জাত চাষের প্রতি অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আশা করা যায়, কয়েক বছরের মধ্যে আমরা এ জাতের আমও বাজার থেকে কিনতে পারব। ছোট-বড় নানা আকার-আকৃতির আম রয়েছে এ দেশে। পাকা কাটিমন হলুদ সুঘ্রাণযুক্ত মিষ্টি। এ দেশের সবচেয়ে বড় জাতের আমগুলো হলো ব্রুনাই কিং, বালিশা, আরাজান, বোম্বাই ফজলি ইত্যাদি। ব্রুনাই কিং আম লম্বাটে, মুখের দিকটা সরু, একটা আমের ওজন তিন-চার কেজি। ফজলি আমও বড়, একটা আমের ওজন এক থেকে দেড় কেজি হয়।

বালিশা
বালিশা

আমের দিনপঞ্জি

আম তো আম-ই, অতশত জাতপাত চেনার দরকার কী? দরকার এ জন্য যে সব জাতের আম একই সময়ে পাকে না। তাই জাতগুলো চেনা থাকলে ও কোন অঞ্চলে কোন জাতের আম কখন পাকে, তা জানা থাকলে জোর করে পাকানো আবাত্তি আম কিনে আমের আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। গোপালভোগ আম পাকা শুরু হয় ২০ মে থেকে। বিশেষ করে নাটোর ও রাজশাহীতে এ সময় থেকে ভালো পাকা গোপালভোগ পাওয়া যায়। লক্ষ্মণভোগ ২৫ মে ও ক্ষীরশাপাতি আম পাকা শুরু হয় ২৮ মে থেকে। ৬ জুন থেকে পাকতে শুরু করে ল্যাংড়া। ফজলি, সুরমা ফজলি, চিনি ফজলি, নাক ফজলি ইত্যাদি জাত পাকা শুরু হয় ১৬ জুন থেকে। এরপর পাকে আম্রপালি, ২০ জুনের পর থেকে ভালো পাকা আম্রপালি আম পাওয়া যায়। আশ্বিনা আম পাকে ১ জুলাই থেকে। বিভিন্ন জাতের আম কেনার সময় পরিপক্বতার এই সময়গুলো খেয়াল রাখলে ভালো পাকা আম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার পাহাড়ের আমবাগানে প্রধানত আম্রপালি ও রাংগোয়াই জাতের আম হয়। পাহাড়ে এসব জাতের আম একটু আগে পাকে। স্থান ও আবহাওয়ার কারণে কোনো কোনো জাতের আম পাকার সময় কিছুটা হেরফের হতে পারে।

বোম্বাই ফজলি
বোম্বাই ফজলি

যেসব আম রাসায়নিক বা কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়, সেসব আমের রং বদলে যায়, হরমোনের প্রভাবে খোসায় চমৎকার আকর্ষণীয় রং তৈরি হয়। সেসব টসটসে রং দেখে সহজে মন ভোলে, কিন্তু সেসব আমের প্রকৃত স্বাদ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই যে জাতের পাকা আমের স্বাভাবিক যে রং হওয়া উচিত, তা দেখে আম কেনা উচিত। এ জন্য কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। ওটা না থাকলে পরিচিত লোকজনের সাহায্যে আমের বাগান থেকে সরাসরি আম সংগ্রহ করে কুরিয়ারে বাসায় নিয়ে আসা যায়।

সূর্য ডিম
সূর্য ডিম

কিনতে পারেন বাগান থেকেও

এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আমবাগান থেকে অনেকেই আম কিনছেন। কিছুটা খোঁজখবর নিয়ে বিশ্বস্ত কোনো বাগান থেকে আম কিনতে পারলে দূষণের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্তমানে ল্যাংড়া ও ক্ষীরশাপাতি আম বাগানে এবং বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। ২০ কেজি আম ঝুড়িতে প্যাকিং করতে খরচ ৬০ টাকা, কুরিয়ারে ঢাকায় আনতে খরচ কেজি প্রতি ১০ টাকা। অন্যান্য জেলাতেও আছে কুরিয়ার সার্ভিস। নিজেদের গাড়িতে এবং বিভিন্ন পরিবহনের বাসে করেও আম আনা যায়। নিজেরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমসফর দিয়ে সেখান থেকে দেখেশুনেও আম কিনে আনা যায়। তাহলে একসঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা—দুটোই হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে আমের বা ফলের মেলা হয়, সেসব জায়গা থেকেও আম কেনা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com