আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে ভিকটিম ব্লেমিং কতটা প্রভাব ফেলে?

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর এই অপরাধটি নিয়ে নানা ধরণের তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

একদিকে যেমন ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি উঠেছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে আবার ধর্ষণের পেছনে ভুক্তভোগীদের ভূমিকা বা পরোক্ষ ইন্ধন থাকার মতো বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলছেন অনেকে।

এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তারকা অনন্ত জলিলের একটি ভিডিও। যেখানে তিনি নারীদেরকে টি-শার্টের মতো পোশাক পরা নিয়ে কটাক্ষ করেন।

তার মতে, নারীদের এ ধরণের পোশাক ধর্ষণের মতো অপরাধকে উস্কানি দেয়।

তার এই পোস্ট নিয়ে নানা ধরণের ট্রলসহ এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন অনেকে।

অনেকে বলছেন যে, পোশাক নিয়ে মন্তব্য করে মি. জলিল ধর্ষণের মতো অপরাধের শিকার ব্যক্তিদেরকেই আসলে দোষারোপ করছেন।

তিনি ভিকটিম ব্লেমিং করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।

ভিকটিম ব্লেমিং কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিকটিম ব্লেমিং হচ্ছে এক ধরণের চর্চা। এটা সাধারণত যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি শুনতে পাওয়া যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, “পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং এতো বছর ধরে চলে আসা নারী বিদ্বেষ, আমাদের সংস্কৃতিতে অনেক শক্তিশালী।”

তিনি বলেন, যখনই কোন ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তখন সমাজের বেশিরভাগ মানুষের নজর চলে যায় যে এটা কেন হল, কনটেক্সটা কোথায়। “প্রশ্ন আসে যে, শাড়ি কিভাবে পড়েছে, শাড়িটা কেমন ছিল, ওড়না ছিল না, এতো রাতের বেলা বের হয়েছে কেন-এগুলো সবই ভিকটিম ব্লেমিং। এর ফলে অ্যাটেনশনটা আর অপরাধীর উপর থাকে না। ভিকটিমের স্বভাব চরিত্রের উপর গিয়ে পড়ে।”

এ বিষয়ে মানবাধিকার আইনজীবী এলিনা খান বলেন, ভিকটিম ব্লেমিং দুই ধরণের হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন:

প্রথম ক্ষেত্রে বলা হয় ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে যে, ভিকটিম চরিত্রহীন, লম্পট, খারাপ- যার কারণে সে মিথ্যা কথা বলছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে সেটা মিথ্যা। সে হয়তো নিজের ইচ্ছায় গেছে। ব্ল্যাক মেইলিং করতে না পেরে অভিযোগ এনেছে।

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, জমি-জমা কিংবা পূর্ব শত্রুতার জেরে কোন নারীর স্বজন কিংবা স্বামী কোন কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা দায়ের করে ওই নারীকে জড়িয়ে। আর সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর ওই নারীকেই দোষারোপ করা হয় যে, সে মিথ্যা বলেছে। অথচ এক্ষেত্রে সে নিজেও স্বজনদের ষড়যন্ত্রের কারণে ভিকটিম।

আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমীন মনে করেন, ভিকটিম ব্লেমিংয়ের চর্চা সামাজিক অবস্থার সাথে সাথে বিচার ব্যবস্থা বা বিচার প্রক্রিয়াতেও প্রতিফলিত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমাজের যে পিতৃতান্ত্রিক মন-মানসিকতা তার অংশ সমাজের সব মানুষ। আর সেই সাথে বিচার ব্যবস্থা ও এর বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা রয়েছে তারাও এটার অংশ।

অভিযোগকারীকে সন্দেহ করার এবং অপরাধীকে নিরপরাধ ভাবার যে প্রবণতা, বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে একজন ভুক্তভোগীকে তার মুখোমুখি হতে হয়।

মিজ ইয়াসমিন বলেন, সাধারণ কোন অপরাধের মামলায় একজন অভিযোগকারীকে যত না প্রমাণ দিতে হয়, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মামলায় তাকে আরো অনেক বেশি প্রমাণ হাজির করে তারপর অভিযোগ প্রমাণ করতে হয়।

“তখন তাকেও অপরাধীর মতোই তাকে গণ্য করা হয়।”

ভিকটিম ব্লেমিং কেন হয়?

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম বলেন, আমরা এখনো নারীদের সমাজে অধস্তন হিসেবে ভাবি।

এক ধরণের মনোভাব আছে যে, নারীরা নিজেরা নিজেদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে চলাফেরা করবে। কী ধরণের পোশাক পড়বে, কেমন আচরণ করবে, কেমন করে চলাফেরা করবে-তার সবকিছুর দায় দায়িত্ব তাকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, এ ধরণের বিষয়গুলোর সাথে ধর্ষণের ঘটনাকে এক করে ফেলা হয়। সেটাকেও তার দায় বলে ধরে নেয়া হয়।

অনন্ত জলিলের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে সাদেকা হালিম বলেন, “অনন্ত জলিল যেসব মন্তব্য করেছে, সে তো ভিকটিম ব্লেমিংকে রি-ইনফোর্স করেছে তার কমেন্ট দিয়ে।”

তিনি বলেন, ধর্ষণ যেমনই হোক না কেন তার বিচার হতে হবে। এক্ষেত্রে সন্ধ্যা সাতটার সময় একজন নারী কোথায় ছিল, সেকি বন্ধুর সাথে ছিল কিনা, সে সিনেমা দেখতে গেছে কিনা-এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ এগুলো তার সাংবিধানিক অধিকার।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, এক সময় নারীরা ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করতে চাইতো না লুকিয়ে রাখতো। যার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যেতো।

কিন্তু এখন নারীরা আওয়াজ তুলছে এবং ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ করছে। যার কারণে অপরাধীর অপরাধ ভিন্ন পথে ঘুড়িয়ে দেয়ার জন্য ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করা হয়।

বলা হয় যে, তার পোশাক ভাল ছিল না, ও রাতের বেলা গিয়েছিল, ছেলে বন্ধুর সাথে ছিল ইত্যাদি নানা ধরণের পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়।

“যাতে করে অপরাধটাকে অপরাধীর কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে ভিকটিমের দিকে দিয়ে অপরাধীকে আড়াল করা যায় বা অপরাধীর অপরাধকে লঘু করা যায়। আর এই ক্যাচালের মধ্য থেকে অপরাধী পার পেয়ে যায়,” তিনি বলেন।

তিনি মনে করেন, এই ধরণের চর্চা চলতে থাকলে, ভুক্তভোগী আরো বেশি করে শিকার হওয়ার ভয়ে অভিযোগ বা প্রতিবাদ করবে না, পাশাপাশি যে অপরাধী সে নিশ্চিন্ত মনে অপরাধ চালাতে থাকবে।

“ফলে অপরাধের যে অভয়ারণ্য সেটি মুক্ত হয়ে যাবে। আর এর ফলাফল হবে মারাত্মক।”

এটা বিচার ব্যবস্থায় কতটা প্রভাব ফেলে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমীন বলেন, বাংলাদেশের আইনে বলা আছে যে যদি কোন বিচারক মনে করেন যে কোন ভিকটিমের জবানবন্দীই বিচারের জন্য যথেষ্ট, তাহলে তিনি সেই জবানবন্দী অনুযায়ী রায় দিতে পারেন। এটা নিয়ে আইনে কোন বাধা নেই।

কিন্তু বাংলাদেশে এমন কোন কিছু তো হয়ই না, বরং উল্টো জবানবন্দী ছাড়াও তাকে নানা ধরণের প্রমাণাদি দিয়ে সেটা প্রমাণ করতে হয়। যার কারণে ধর্ষণ মামলার বিচারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশে।

জবানবন্দীতে যখন সন্দেহ এতো বেশি, এটা হয়ে থাকে ভিকটিম ব্লেমিংয়ের বিষয়টি থেকে। এটা শুধু সামাজিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে তা নয় বরং বিচার ব্যবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, সামাজিক প্রভাবটা বিচার ব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করে। এটা যখন বিচারে ঢুকে যায় তখন তার প্রভাব ন্যায়বিচার পাওয়ার উপরও থাকে। যখন জবানবন্দীর উপর সন্দেহ থাকে তখন প্রমাণাদির গুরুত্ব বাড়ে। আর তখন একটু এদিক-সেদিক হলেই অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

মানবাধিকার আইনজীবী এলিনা খান বলেন, এক সময় বাংলাদেশে তোলপাড় হয়েছিল যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা হয়েছিল।

তিনি জানান, তখন তারা একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছেন যে, এই অভিযোগের কারণে অনেক নারীই আসলে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না।

তিনি বলেন, ভিকটিম ব্লেমিংয়ের কারণে প্রথমত থানায় কর্মকর্তারা অনেক সময় ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মামলা নিতে গড়িমসি করে।

দ্বিতীয়ত এটি যখন আদালতে গড়ায়, তখন আসামীপক্ষের আইনজীবী ভুক্তভোগীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারণ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, আসামীপক্ষের আইনজীবীর অবাধ স্বাধীনতা থাকে ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার।

যার কারণে সাক্ষীর উপর চাপ পড়ে এবং মামলাটি অনেক সময় দুর্বল হয়ে যায় বলে জানান আইনজীবী এলিনা খান।

বিচার শেষ হওয়ার পর যদি আসামী পার পেয়ে যায় প্রমাণাদির অভাবে তাহলে সব দোষ তখন ভুক্তভোগীর উপর এসে পরে এবং ওই নারী সম্পর্কে সবার খারাপ ধারণা জন্মায়। কিন্তু সে যে একই সাথে ভিকটিম এবং বিচারও পায়নি সেটি কেউ বিবেচনায় নেয় না।

সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম মনে করেন, ভিকটিম ব্লেমিং যে কোন অপরাধের ঘটনাকে হালকা করে দেয়।

তিনি বলেন, এর কারণে কোন অপরাধের তদন্ত, তার বিচার এবং অন্য আইনি বিষয়গুলোর উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে ভিকটিম ব্লেমিং। এমনকি তদন্তের মোড়ও অনেক সময় এর কারণে ঘুরে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিকটিম ব্লেমিংয়ের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, বিচার ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদের ধর্ষণের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়াতে হবে। প্রো-ভিকটিম অ্যাপ্রোচ বা অভিযোগকারীর প্রতি সহানুভূতিশীলতা বাড়ানো দরকার। আর এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করেন তারা।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com