আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

অনলাইনে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরুর সাত ধাপ

ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে খরচ যত কম রাখা যায় তত ভালো। এ ক্ষেত্রে অনলাইন খুব ভালো উপায়, কারণ দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ খরচের মতো বিষয়গুলোর খরচ বাদ পড়ে। তা ছাড়া করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার এখন অনলাইন। তাই ব্যবসা শুরুর জন্য অনলাইন খুবই সুবিধাজনক।

এত সুবিধা থাকতেও অনলাইনে ব্যবসা শুরু করলেই যে তা সফল হবে, এমন কোনো বিষয় নেই। অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে কিছু বিশেষ কাজ অবশ্যই করতে হবে। উদ্যোক্তদের সহায়তাকারী ওয়েবসাইট অনথ্রোপ্রনার জানিয়েছে, কীভাবে সাত ধাপে অনলাইনে শুরু করা যায় একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা।

১. চাহিদা খুঁজে তা পূরণ করা

অনেকেই আগে পণ্য বিবেচনা করে, পরে বাজার দেখে। ব্যবসা শুরুর এটা একদম গোড়ায় গলদ। যদি সত্যিই সফল হওয়ার শখ থাকে, আগে বাজার দেখতে হবে, দেখে বুঝতে হবে, মানুষ বাজারে এসে এমন কী পণ্য বা সেবা খুঁজছে, যেটা এখনো বাজারে নেই। যদি বাজারে থাকেও, সেটার মধ্যে কী ধরনের বদল বা সংযুক্তি ক্রেতা চাচ্ছেন।
এগুলো মাথায় রেখে পণ্য বাছাই করে পরে ব্যবসায় আসতে হবে।

২. পণ্য সম্পর্কে লেখা

যে পণ্য বিক্রি করতে চান তার সম্পর্কে লিখুন। লেখার একটা আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখতে হবে। পণ্যটি ঠিক কী সমস্যার সমাধান করে, তা কেন অন্য পণ্য থেকে আলাদা, যারা এটা ইতিমধ্যে ব্যবহার করেছেন, তাঁরা এর সম্পর্কে কী বলছেন ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে হবে, যেন পণ্যের সম্পর্কে ক্রেতার আগ্রহ তৈরি হয়। এই লেখাগুলো ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন

অনলাইনে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরুর সাত ধাপ

৩. সহজ ওয়েবসাইট তৈরি

ব্যবসার জন্য এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যেটা চালানো সহজ। অনায়াসেই পণ্য খুঁজে পাওয়া যায়। কেনাকাটা করার প্রক্রিয়াও সব ধরনের মানুষের বোধগম্য হয়। সেখানে যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করতে হবে, যেন সমস্যায় পড়লে ক্রেতা সাহায্য পান। আর খুব দরকার না হলে অযথা ভিডিও বা অডিও দিয়ে ওয়েবসাইট ভারী করা যাবে না।

৪. ক্রেতা টানতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার

সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং এদের কিছু নিজস্ব নীতি আছে। তারা এই নীতি মেনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে। তো তাদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে। যেমন প্রতি ক্লিকের দাম পরিশোধের বিজ্ঞাপন দিলে সার্চ ইঞ্জিন এমনিই ক্রেতাকে ওয়েবসাইটে টেনে নিয়ে আসবে। আবার কিছু বিশেষ শব্দ বা কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে ক্রেতাকে ডাকতে। সাধারণত নিয়ম হচ্ছে পণ্যের সঙ্গে সুসম্পর্কিত সবকিছুকে কি ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা। এভাবে সর্বোচ্চ ক্রেতা টানা যাবে।

৫. বিশেষজ্ঞের মর্যাদা তৈরি করা

পণ্যের ব্যবহারবিষয়ক বিশেষ পরামর্শ যুক্ত করে সব সময়ের জন্য ক্রেতাকে আটকে রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে ক্রেতা পণ্য না কিনলেও পণ্য সম্পর্কে জানতে আসতে এভাবে সম্পর্ক তৈরি হবে এবং বিক্রি বাড়বে। যেমন ধরুন, আপনি জামদানি শাড়ি বিক্রি করছেন। তাহলে জামদানি শাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের উপায়, সেটার সঙ্গে কেমন গয়না মানায় ইত্যাদি বিষয়ে নিবন্ধ লিখতে পারেন। অথবা যদি জুতা বিক্রি করেন, সেটার সঠিক ব্যবহার, সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন।
নজর রাখতে হবে এগুলোর যেন শেয়ার করার ব্যবস্থা থাকে। দেখা যাবে কেউ পড়ে শেয়ার করল, অন্যরা সেই পথেই আপনার ব্যবসায় চলে আসবে।

৬. ই–মেইলের শক্তি ব্যবহার

ই–মেইলের শক্তি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের দর্শকে ক্রেতা বানিয়ে ফেলা যায়। কীভাবে? শুধু একটি জায়গা রাখতে হবে যেন সাবস্ক্রাইবাররা তাদের ই–মেইল দেয়। এ ক্ষেত্রে অফারও দেওয়া যায়। এরপর যখনই নতুন কিছু ওয়েবসাইটে আসবে, ক্রেতাকে শুধু একটা ই–মেইল পাঠিয়ে দেওয়া।

৭. সহযোগী পণ্য এবং পরবর্তী পণ্যের জন্য প্রস্তুত করা

যদি অনলাইন বিক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক করা যায়, তবে মোটামুটি ৩৬% পর্যন্ত ক্ষেত্রে তাঁরা ফিরে আসেন। শুধু কিছুটা বুদ্ধি খাটাতে হবে। যেমন যে পণ্য ক্রেতা কিনছেন, তার সহযোগী কোনো পণ্য রাখুন অথবা দ্বিতীয়বার কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দিন। কিছুই লাগবে না, শুধু পণ্য বিক্রির পর একটা ই–মেইল দিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা জানতে চান। সমস্যা বুঝে তা সমাধানের চেষ্টা করুন—ব্যবসায় সফল হওয়া সহজ হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com