আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

আঙিনা কৃষি

ছাদে আমের কলমের চারা বাগান

🥭ছাদে আমের কলমের চারা বাগান🌳
🥭ছাদে আমের কলমের চারা বাগান🌳

আম বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি ফলের নাম । আমকে ফলের রাজা বলা হয় । সারা দেশেই এর চাষ হলেও বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল হল এই আম । বাংলাদেশে অনেক জাতের আমের চাষ হয়ে থাকে । তবে এর মধ্যে ভাল জাতের আমের চাষ রাজশাহী অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ । শহরের বাসিন্দারা ছাদে দুচারটা আম গাছ লাগিয়ে শখ মিটাতে পারেন ।

ছাদের উপযোগী জাতঃ সব জাতের আমই ছাদে চাষ করা সম্ভব ।

তবে ফলন বেশী হয় ছাদের জন্য এমন কিছু জাত নির্বাচন করা উচিৎ । এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় বারি আম -৩ জাতটি । গাছ ছোট আকৃতি, ফল মাঝারি এবং খেতে বেশ সুস্বাদু । যার আরেক নাম আম্রপালি । মোটামুটি প্রতিবছরই ফল দেয় বিধায় ছাদে লাগানোর ক্ষেত্রে আম্রপালিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া উচিৎ । তাছাড়াও বাউ আম – ১, ২, ৩, ৬, ৭, লতা বোম্বাই ইত্যাদি বামন জাতের আম ছাদের জন্য বেশ উপযোগী । চাষ পদ্ধতিঃ ছাদে আমের কলমের চারা লাগানোর জন্য ২০ ইঞ্চি কালার ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে । ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে । যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে । টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । এবার ২ ভাগ দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টি,এস,পি সার, ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার, ১ কেজি কাঠের ছাই, ১কেজি হাড়ের গোড়া ও হাফ কেজি সরিষার খৈল একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টব ভরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ দিন ।

🥭ছাদে আমের কলমের চারা বাগান🌳
🥭ছাদে আমের কলমের চারা বাগান🌳

অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি কিছুটা ঝুরঝুরে হবে তখন একটি  সুস্থ সবল কলমের চারা উক্ত টবে রোপন করতে হবে ।  চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে । সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে । যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশী পানি না ঢুকতে পারে । একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে । চারা লাগানোর পর প্রথমদিকে পানি কম দিতে হবে । আস্তে আস্তে পানি বাড়াতে হবে । টবের গাছটিকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে প্রায় সারাদিন রোদ লাগে ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

রাঙ্গুনিয়ায় ছাদে সাকিবের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা আম

রাঙ্গুনিয়ায় ছাদে সাকিবের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা আম
রাঙ্গুনিয়ায় ছাদে সাকিবের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা আম

রাঙ্গুনিয়ায় সাকিবের ছাদে গড়ে তোলা আম বাগানে সুস্বাদু আমের ঘ্রানে চারদিক মৌ মৌ করছে। আম বাগানে উঁকি দিচ্ছে এলাকার লোকজন। পাকা আমে জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। উপজেলার রাঙ্গুনিয়া থানার পার্শ¦স্থ সৈয়দ বাড়ী এলাকায় কলেজ পড়–য়া মো. সাকিব ঘরের ছাদে টবে লাগিয়েছে সারি সারি আম গাছ। আমের মুকুল আসার পাশাপাশি কয়েকটি গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে আম। পাকা আমের মৌ মৌ সুঘ্রানে ছুটে যাচ্ছে এলাকার মানুষ। সবার মাঝে কৌতুহল জাগছে মৌসুম ছাড়া আম গাছে আম ধরার বিষয়টি। সাকিবের আম বাগান দেখে এলাকার অধিকাংশ যুবক ছাদের টবে আম বাগান করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। দীর্ঘদিন আগে থেকে সাকিব আম গাছের পরিচর্যা করে আসছিল। কয়েকটি গাছে আম পাকতেও শুরু করেছে। সে আম গাছের পাশাপাশি লেবু আনারসহ বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা লাগিয়েছে ফলও ধরেছে আশানরুপ।

অপরদিকে মৌসুম বিহীন আম বাগানে আম আসার বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, নির্ধারিত সময়ের আগে উন্নত মানের চারা ও সঠিক পরিচর্যা হওয়ায় ছাদে আম ধরার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু না। ছাদে কেউ বানিজ্যিকভাবে আম বাগান করার উদ্যোগ নিলে সাকিবের মতো আম বাগান করে সফলতা আসবে।

রাঙ্গুনিয়ায় ছাদে সাকিবের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা আম
রাঙ্গুনিয়ায় ছাদে সাকিবের বাগানে থোকায় থোকায় পাকা আম

বিশেষ করে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বেশি। সেই সঙ্গে গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে।

ছাদে আম বাগান করার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ ছাত্র সাকিব জানায়, ঘরের ছাদে অল্প জায়গায় উন্নত মানের আমের চারা লাগানো হয়। কৃষি কর্মকর্র্তার পরামর্শে আম বাগানের পরিচর্যা করি। আমের ফলনও ভাল হয়েছে। দুয়েকটি গাছে আম পাকতে শুরু করেছে। ঘরের ছাদে অল্প পরিসরে টবে আম বাগান করলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করা যাবে ও পরিবারের পুষ্টির যোগান দেওয়া যাবে। আগামী বছরে ব্যাপক ভাবে আম বাগান করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। আমার দেখাদেখিতে অনেকেই ছাদের টবে আম বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ফরমালিনমুক্ত আম খাওয়ার জন্য ও পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ঘরের ছাদে যে কেউ আম বাগান অনায়সে করতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!

চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!
চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!

আপনার ছাদকে করে তুলুন রঙিন আর মনোমুগ্ধকর! চন্দ্রমল্লিকা, যা তার মিষ্টি গন্ধ ও উজ্জ্বল রঙের জন্য পরিচিত, আপনার ছাদকে সেজে তুলতে পারে এক নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর বাগানে। সঠিক যত্ন আর পরিকল্পনার মাধ্যমে চন্দ্রমল্লিকার গাছগুলো আপনার ছাদকে রূপ দেবে এক সবুজ-সুন্দর স্বর্গে। এখনই শুরু করুন চন্দ্রমল্লিকার যত্ন আর সাজানোর যাত্রা!

🌿 চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে ছাদ সাজানোর অসাধারণ উপায় 🌼

চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!
চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!

🌸 কেন চন্দ্রমল্লিকা বেছে নেবেন?

🌼 উজ্জ্বল রঙ: হলুদ, সাদা, লাল, গোলাপি—বিভিন্ন রঙের চন্দ্রমল্লিকা আপনার ছাদকে রঙিন করে তুলবে।

🌼 সহজ যত্ন: এই গাছটি সহজে বাড়ে এবং কম যত্নেই ভালো ফলন দেয়।

🌼 বায়ু বিশুদ্ধকরণ: চন্দ্রমল্লিকা আপনার ছাদে পরিবেশের তাজা বাতাস নিশ্চিত করে।

🌼 ঔষধি গুণ: কিছু চন্দ্রমল্লিকা প্রজাতি আরামদায়ক ঘ্রাণ ছাড়াও ঔষধি গুণসম্পন্ন।

চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!
চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!

🌸 চন্দ্রমল্লিকার চাষের ধাপ

🌼 সঠিক পাত্র নির্বাচন করুনঃ মাটি ধরার জন্য মাটি বা সিরামিকের পাত্র ব্যবহার করুন। পাত্রে পানি নিঃসরণের জন্য ছিদ্র থাকা প্রয়োজন।

🌼 মাটির প্রস্তুতিঃ দো-আঁশ মাটির সঙ্গে পচা গোবর বা জৈব সার মিশিয়ে নিন। মাটি যাতে জলাধার রাখে এবং বাতাস চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করুন।

🌼 চারা বা বীজ লাগানোঃ ভালো মানের চারা বা বীজ কিনুন। পাত্রে বা বেডে পর্যাপ্ত দূরত্ব রেখে গাছ লাগান।

🌼 সঠিক সেচ প্রদানঃ চন্দ্রমল্লিকা অতিরিক্ত পানি পছন্দ করে না। মাটি শুকনো লাগলে হালকা পানি দিন।

🌼 সার প্রয়োগঃ মাসে একবার তরল জৈব সার প্রয়োগ করুন। গাছ ফুল দেওয়ার সময় বাড়তি পটাশ ও ফসফেট প্রয়োগে ভালো ফল পাবেন।

🌼 সূর্যালোকের যত্নঃ গাছকে দিনে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখুন।

🌼 সময়মতো ছাঁটাই করুনঃ শুকিয়ে যাওয়া পাতা এবং ডাল ছেঁটে দিন। নতুন ডালপালা বাড়াতে প্রতি দুই মাসে গাছ ছাঁটাই করুন।

চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!
চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ছাদকে এক অনন্য সবুজ স্বর্গে!

🌸ছাদ সাজানোর কৌশল

🌼 রঙিন গাছের প্যাটার্ন তৈরি করুন: চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন রঙের ফুল দিয়ে ছাদের এক কোণে সুন্দর প্যাটার্ন তৈরি করুন।

🌼 উচ্চতা ভেদে সাজান: পাত্রের উচ্চতা অনুযায়ী চন্দ্রমল্লিকার গাছগুলো সাজান।

🌼 বসার জায়গার চারপাশে রাখুন: ছাদে একটি বসার জায়গা তৈরি করে তার চারপাশে চন্দ্রমল্লিকা রাখুন।

🌼 আলো ব্যবহার করুন: সন্ধ্যায় ছাদের সৌন্দর্য বাড়াতে LED লাইট ব্যবহার করুন।

🌸চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে ছাদ সাজানো শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, এটি আপনার মানসিক শান্তি ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। একটু যত্ন আর পরিকল্পনা করলেই আপনার ছাদ হবে এক সবুজ আর রঙিন আশ্রয়স্থল। এখনই শুরু করুন চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে আপনার ছাদ সাজানোর যাত্রা! 🌼

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

শহুরে জীবনে একটুখানি প্রশান্তির পরশ পেতে অল্পকিছু হলেও ফুলগাছ লাগান অনেকেই। ছাদ, বারান্দা কিংবা ঘরের কোন দখল করে এই গাছগুলো। তাতে ঘরের সৌন্দর্য তো বাড়েই, সঙ্গে বাড়ে সতেজভাবও। এই শীতে কিছু ফুলগাছ লাগাতে পারেন আপনার শখের বাগানে। চলুন জেনে নেয়া যাক-

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

গাঁদা
শীতকালীন ফুলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল হল গাঁদা ফুল। দোআঁশ, এঁটেল, বেলে দো-আঁশ বা পলি মাটিতে গাঁদা ভালো হয়। সূর্যের জোরালো আলোয় এদের ফলন ভালো হয়। দিনে অন্তত পাঁচ-ছয়ঘণ্টা সূর্যের আলো দরকার।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

ক্যামেলিয়া
অনেকটা গোলাপের মতো দেখতে, তাই ক্যামেলিয়া ফুলকে ‘শীতের গোলাপ’ বলা হয়। এই গাছ না ছাঁটলে প্রায় ২০ ফুট উঁচু হয়ে যায়। এই গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

ডালিয়া
শীতের সৌন্দর্য বাড়ায় ডালিয়া। লাল, হলুদ, মেরুন বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন জাতের হয় এই ফুল। এর আকার, গঠন, পাপড়ির সৌন্দর্য মানুষকে সহজেই মুগ্ধ করে।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

ক্যালেন্ডুলা
এটি সাধারণত পট গাঁদা হিসেবে পরিচিত এবং এটি বাগানে বা যেকোনো জায়গায় চাষ করা যেতে পারে।। এই ফুলগুলি বিভিন্ন রঙের হয়, যেমন- গাঢ় কমলা, হলুদ ইত্যাদি।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

পিটুনিয়া
শীতকালীন পরিচিত ফুল পিটুনিয়া। লাল, গোলাপি, সাদা, বেগুনি বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল। গাছ বসানোর পর প্রথম সাত দিন ছায়ায় রাখতে হয়, যেন হালকা রোদ লাগে। নিয়মিত জল দিতে হয় তবে মাটি ভেজা থাকলে পানি না দেয়াই ভালো।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

কসমস
গোলাপী, সাদা, বেগুনি বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল। সাধারণত এটিকে কসমস বা মেক্সিকান এস্টার বলে ডাকা হয়। কসমস গাছ ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। শীতকালে এই ফুলের চাহিদা অত্যন্ত বেশি থাকে।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

চন্দ্রমল্লিকা
চন্দ্রমল্লিকা বিঙিন্ন রঙের হয়। চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। উর্বর বেলে-দোয়াঁশ মাটি এই ফুল চাষের আদর্শ। তবে, এর গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার টব আগাছামুক্ত রাখা উচিত।

এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন
এই ফুলগাছগুলো লাগাতে পারেন

জিনিয়া
সুন্দর ও আকর্ষণীয় এই ফুলে কোনো গন্ধ নেই। এটি সাদা, হলুদ, লাল, বাদামী, কমলা, সবুজ বিভিন্ন রঙের হয়। জিনিয়া শীতকালীন ফুল হলেও সারাবছর চাষ করা যায়। দো-আঁশ মাটি এই ফুল উৎপাদনের জন্য বেশি উপযোগী।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

টবে লাগান মিষ্টি তেঁতুল গাছ

পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র। চাষবাসের জমিরও সংকুলান ঘটছে সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে। গগনচুম্বী বাড়ি ঘিরে ফেলছে সমস্ত ফাঁকা জমিন। শখ করে মানুষ খোলা জায়গায় যে গাছ লাগবে অথবা ফল-ফুলের চারা সেই উপায়ও আর নেই। গাছ লাগানোর জন্য সামান্য জায়গাও ফাঁকা থাকছে না আর। তবে আমাদের করণীয় কী? বৃক্ষরোপন কি তবে অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। বেঁচে থাকার জন্য তো গাছ লাগাতে হবেই। বাড়ির একটুকরো বারান্দা অথবা ব্যালকনিতেও সুন্দর ভাবে ইচ্ছা করলে গাছ লাগানো যায়। বাড়ির ছাদেও বানানো যায় সুন্দর বাগিচা। শহরের মানুষদের জন্য ছাদ বাগানের কোনও বিকল্পও নেই। বাড়ির মধ্যেকার ব্যালকনি অথবা ছাদের একটুকরো জমিতেও, ইচ্ছা করলে টবে চাষ করা যায় বিভিন্ন ফুলের ও ফলের গাছ।

শাকসবজি, পেয়ারা, লেবু প্রভৃতি দেশীয় গাছ টবে বাড়তে দেওয়া থেকে শুরু করে বর্তমানে বহু বিদেশী গাছের চারাও মানুষ ব্যালকনি অথবা ছাদে চাষ করছেন। তার মধ্যে থাই মিষ্টি তেঁতুল টবের চাষ পদ্ধতি হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রথমত মিষ্টি তেঁতুলের চাষ করতে গেলে, নার্সারি থেকে এই বিশেষ তেঁতুলের সঠিক বীজ নিয়ে আনতে হবে। তবে থাই মিষ্টি তেঁতুলের কলম পাওয়া একটু দুষ্কর কাজ। বুঝে সঠিক চারা নিয়ে আসা বাগান মালিকের উপরেই বর্তায়।

থাই মিষ্টি তেঁতুলের ফুল থেকে ফল ধরতে প্রায় ৭ মাস সময় লাগে। বছরে দু’বার থাই মিষ্টি তেঁতুলের গাছে ফল ধরে। প্রথমবার বর্ষাকালে এবং দ্বিতীয়বার শীতকালে। এই গাছের পরিচর্যা আলাদা করে করার কোনও দরকার পড়ে না। গাছের যত্নআত্তি নিতে হয় ঠিকই, কিন্তু তা বলে, আলাদা করে কোনও বিশেষ যত্ন নিতে হয় না।

গাছ লাগানোর পদ্ধতি (Planting):

থাই মিষ্টি তেঁতুল চাষের জন্য আদর্শ মাটি হল, দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি। এই দু’টি মৃত্তিকার মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিন। তারপর বেছে নেওয়া মাটির দুই ভাগ অংশের সাথে গোবর, ১০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, পটাশ, ২৫০ গ্রাম, হাড়ের গুঁড়ো এবং ৫০ গ্রাম সরিষার খোল একসঙ্গে মিশিয়ে ২০ ইঞ্চি মাপের বড় টবে জল মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পর টবের মাটি ভালো করে খুঁচিয়ে দিয়ে আরও ৪-৫ দিন রেখে দিতে হবে। ৪ থেকে ৫ দিন বাদে মিষ্টি তেঁতুলের একটি ভালো চারা ওই টবে লাগান।

পরিচর্যা(Caring):

চারা লাগানোর প্রথম কয়েক মাস তেমন যত্নের দরকার পড়বে না। অবশ্যই গাছে এই সময়টুকু পর্যাপ্ত জলের যোগান, এবং আগাছা পরিষ্কারের কাজ করতে হবে।  ছয় মাস চারা লাগানোর সময়সীমা ফুরোলেই ১ মাস বাদে বাদে গাছে সরষের খোল মিশ্রিত পচা জল দিতে হবে। মনে রাখতে  হবে খোল দেওয়ার আগে গাছের মাটি খুঁচিয়ে নিতে হবে।

রোগ দমন (Disease management):

সাধারণত থাই মিষ্টি তেঁতুল গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায় না। কিন্তু বর্ষাকালে অনেক সময় তেঁতুল গাছে ছত্রাক হানা দেয়। এর ফলে তেঁতুল ফেটে যায়। এই অসুবিধার থেকে গাছকে বাঁচাতে হলে, বর্ষাকাল আসার আগেই ভালো ছত্রাকনাশক ওষুধ ১০ দিন অন্তর গাছে স্প্রে করে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বাংলার বেজায় টক তেঁতুলের সঙ্গে থাই মিষ্টি তেঁতুলের কোনও তুলনাই চলে না। অত্যন্ত মিষ্টি খেতে এই তেঁতুল থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় চাষ প্রভূত পরিমাণে হলেও, আমাদের রাজ্য এই ফলের চাষ এখনও ততটা গতি পায়নি। কিন্তু আপনি আপনার ব্যালকনি অথবা ছাদে সহজেই এই থাই তেঁতুলের গাছ লাগাতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com