ইসলাম
এরতুগ্রুল: ‘মুসলিম গেম অফ থ্রোনস’ নামে অভিহিত তুরস্কের নাটক নিয়ে পাকিস্তানে তুমুল উৎসাহ, বিতর্ক
লেখক
বিবিসি বাংলা![এরতুগ্রুল: 'মুসলিম গেম অফ থ্রোনস' নামে অভিহিত তুরস্কের নাটক নিয়ে পাকিস্তানে তুমুল উৎসাহ, বিতর্ক](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2020/06/এরতুগ্রুল-মুসলিম-গেম-অফ-থ্রোনস-নামে-অভিহিত-তুরস্কের-নাটক-নিয়ে-পাকিস্তানে-তুমুল-উৎসাহ-বিতর্ক1.jpg)
তুরস্কের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক টিভি নাটক ডিরিলিস এরতুগ্রুল (এরতুগ্রুলের পুনরুত্থান) পাকিস্তানের টিভি দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে নাটকটি ডাব করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো শুরু হওয়ার পর থেকে এই নাটক দর্শকদের মধ্যে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানটির সাড়া জাগানো জনপ্রিয়তা অবশ্য পাকিস্তানে বিপরীতধর্মী মতেরও জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এই নাটক নিয়ে লেখা হচ্ছে, চলছে আলোচনা।
কেউ কেউ মনে করছেন স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য এটা একটা হুমকি এবং সমাজে এটা সহিংসতার জন্ম দেবে। অপর পক্ষ মুসলিমদের এই বীরত্ব গাথায় রীতিমত উদ্বুদ্ধ।
এই নাটক নিয়ে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে শুধু তারকা আর বিশ্লেষকরাই মন্তব্য করছেন না, এই বিতর্কে সক্রিয়ভাবে সোচ্চার হয়েছেন দেশের রাজনীতিকরাও।
পাকিস্তানে এই প্রথম, যে কোন তুর্কি নাটক জনপ্রিয় হল তা নয়। কিন্তু এরতুগ্রুল – যাকে অনেকেই অভিহিত করে থাকে ‘মুসলিম গেম অফ থ্রোনস্’ নামে – এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী।
এই নাটকের পেছনে সরাসরি সমর্থন রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ধারণা করা হচ্ছে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক কারণে তিনি এই নাটকটির সম্প্রচারে বিশেষ মদত দিচ্ছেন।
‘ইসলামভীতি’র বিরুদ্ধে অস্ত্র?
এই বিদেশি সিরিয়াল পাকিস্তানে যে জনপ্রিয়তার জোয়ার এনেছে সম্ভবত তার পেছনে মূল কারণ মি. খানের ব্যক্তিগত উৎসাহ।
তিনি নিজে যে শুধু এই নাটকটি দেখানোর সুপারিশ করেছেন এবং পিটিভিকে এটা সম্প্রচার করতে বলেছেন তাই নয়, তিনি বলেছেন ইসলামী সভ্যতার গুরুত্ব বুঝতে পাকিস্তানের মানুষকে সাহায্য করবে এই নাটক।
তার এই মন্তব্যের পর থেকেই পাকিস্তানে এই নাটক দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এবং এটা ভিউয়ারশিপের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ঊর্দুতে ভাষান্তর করা সিরিয়াল নাটকের নাম দেয়া হয়েছে এরতুগ্রুল ঘাজি – যোদ্ধা এরতুগ্রুল।
সমালোচকরা বলছেন ইমরান খান এই সিরিয়ালে মদত দিচ্ছেন কারণ তিনি সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরতে চান এবং তিনি মনে করছেন পাকিস্তানে একটা আদর্শ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় তার লক্ষ্য পূরণে এই সিরিয়াল সাহায্য করবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বলে আসছেন যে, “আমি এমন একটা পাকিস্তান গড়ে তুলতে চাই, যেটা হবে মদিনায় নবীর সৃষ্ট প্রথম মুসলিম সমাজের আদর্শে অনুপ্রাণিত।”
কিন্তু অনেকে মনে করছেন এখানে মি. খানের বক্তিগত আগ্রহই শুধু জড়িত নেই।
দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডন লিখছে “এর মূল কারণ সম্ভবত নিহিত রয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান ও সেসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের আলাদা এক বৈঠকের মধ্যে।”
সেপ্টেম্বর ২০১৯এর ওই বৈঠকে মি. খান, মি. এরদোয়ান আর মি. মাহাথির যৌথ উদ্যোগে একটি টিভি চ্যানেল চালু করার আইডিয়া নিয়ে কথাবার্তা বলেন, যে চ্যানেল তারা চাইছিলেন ক্রমশ বেড়ে ওঠা ইসলামভীতি ও ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মত তৈরি করবে।
![এরতুগ্রুল: 'মুসলিম গেম অফ থ্রোনস' নামে অভিহিত তুরস্কের নাটক নিয়ে পাকিস্তানে তুমুল উৎসাহ, বিতর্ক](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2020/06/এরতুগ্রুল-মুসলিম-গেম-অফ-থ্রোনস-নামে-অভিহিত-তুরস্কের-নাটক-নিয়ে-পাকিস্তানে-তুমুল-উৎসাহ-বিতর্ক2.jpg)
নভেম্বর ২০১৬য় মি. এরদোয়ান তুরস্কে এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই সিরিয়াল নাটকের প্রশংসা করে বলেছিলেন এটি “জাতির হৃদয় জয় করেছে”। পাকিস্তানে এই সিরিয়ালের বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনের মাধ্যমে “মি. খানও সম্ভবত তুরস্কে রাজনৈতিক পয়েন্ট অর্জন করতে চাইছেন। পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তাদের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাইছে,”এক নিবন্ধে লিখছে পাকিস্তানের দ্য ডিপ্লোম্যাট সাময়িকী।
তবে খোলাখুলিভাবে এই সিরিয়ালের প্রতি তার সমর্থন দেখিয়ে দেশের ভেতর কিছু সমালোচনাও কুড়িয়েছেন মি. খান।
ডন পত্রিকা এক খবরে জানায়, বিরোধী রাজনীতিক মুশতাক আহমদ খান সম্প্রতি সংসদে বলেছেন: ” (মি. খান) আপনি এরতুগ্রুল নাটক সম্প্রচার করে এখানে মদিনা গড়ে তুলতে পারবেন না”।
মুসলিম মূল্যবোধ ‘সঠিকভাবে জাগ্রত’
এই সিরিয়াল নাটকে ১৩শ শতকের মুসলিম ওঘাজ তুর্কি শাসক এরতুগ্রুলের জীবন কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। মনে করা হয় তার পুত্র ওসমান ঘাজি ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
এতে মোঙ্গল দখলদার, ক্রিশ্চান, বাইজেন্টাইন এবং আনাতোলিয়ার নাইট টেম্পলারের বিরুদ্ধে মুসলিম ওঘাজ তুর্কি বীরদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
পাকিস্তানে নয়া দাউর-এর মত কিছু মিডিয়া ওয়েবসাইট বলছে এই নাটক “অটোমান সাম্রাজ্য এবং মুসলিম মূল্যবোধকে উজ্জীবিত করেছে”
স্থানীয় একটি জনপ্রিয় দৈনিক দ্য নেশন-এর এক নিবন্ধেও লেখা হয়েছে এই নাটক “মুসলিম বীর, ইসলামের ইতিহাস এবং আদর্শকে সঠিক আলোকে তুলে ধরেছে”।
টিভি সিরিয়াল এবং চলচ্চিত্রগুলোতে মুসলিমদের একটা “নেতিবাচক আলোকে দেখানো হয়”, আর সে কারণে এই সিরিয়াল একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে যেটা মানুষ পছন্দ করছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।
“মুসলিমরা সবসময় চেয়েছে বিশ্বের মিডিয়াতে মুসলমানদের একটা ইতিবাচক ও শক্তিশালী দিকগুলো সামনে আনা হোক। ডিরিলিস এরতুগ্রুল তাদের সেই দীর্ঘদিনের চাওয়াকে মিটিয়েছে- মুসলিমদের বীরত্বের জয়গান এই সিরিয়াল,” এক নিবন্ধে লিখেছে ইংরেজি ভাষার ওয়েবসাইট দ্য গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস।
সাংবাদিক আমনা হায়দার ইশানি, দ্য নিউজ ডেইলিতে লিখেছেন- এই টিভি অনুষ্ঠান “বিশ্বে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে”।
তবে পারভেজ হুদভয়ের মত অ্যাকটিভিস্টের এ ব্যাপার দ্বিমত রয়েছে।
“এর (এরতুগ্রুল) উদ্দেশ্য যদি হয় ইসলামকে শান্তি ধর্ম হিসাবে তুলে ধরা এবং ইসলামভীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাহলে আমার মতে এই নাটক সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে,” ডন পত্রিকায় এক নিবন্ধে নাটকে যে ভয়ঙ্কর সহিংসতা ও শিরশ্ছেদের দৃশ্য দেখানো হয়েছে তার উল্লেখ করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আবার সমাজবাদী কর্মী একাধারে রাজনীতিকও জিবরান নাসিরের মত হল এই ধারাবাহিক সিরিয়াল পাকিস্তানিদের মধ্যে “পরিচয়ের সংকট” তৈরি করছে।
![এরতুগ্রুল: 'মুসলিম গেম অফ থ্রোনস' নামে অভিহিত তুরস্কের নাটক নিয়ে পাকিস্তানে তুমুল উৎসাহ, বিতর্ক](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2020/06/এরতুগ্রুল-মুসলিম-গেম-অফ-থ্রোনস-নামে-অভিহিত-তুরস্কের-নাটক-নিয়ে-পাকিস্তানে-তুমুল-উৎসাহ-বিতর্ক3.jpg)
পাকিস্তানে এই সিরিয়াল নাটকের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোতেও আলোচিত হচ্ছে
রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সি ২৪শে মে পাকিস্তানে স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে লিখেছে দেশটির জনগণ এই নাটককে ভালবেসে “ইসলামের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরছে” এবং দেখছে “একজন মুসলিম শাসকের কেমন হওয়া উচিত”।
‘নিষ্প্রাণ ঘরোয়া বিষয়’
কেউ কেউ বলছে পাকিস্তানের টিভি সিরিয়ালগুলোতে ভাল বিষয়ের অভাব বিদেশি নাটকগুলোর বিপুল জনপ্রিয়তার পেছনে অন্যতম একটা কারণ।
দ্য গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস পাকিস্তানের টু্ইট ব্যবহারকারীদের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখছে এদের অনেকেই মনে করছে “পাকিস্তানি সিরিয়ালগুলোয় গৎবাঁধা নিষ্প্রাণ ঘরোয়া যেসব কাহিনি দেখানো হয়, তার পাশে এরতুগ্রুল একটা অভিনব বিনোদন।”
“এটা খুবই পরিষ্কার যে পাকিস্তানে অসংখ্য টিভি চ্যানেল আছে কিন্তু মানসম্মত অনুষ্ঠান দেয়া হচ্ছে না,” দ্য নিউজের এক নিবন্ধ লিখছে।
পাকিস্তানে টিভি বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরার রেওয়াজ টিভি চ্যানেলগুলোতে সেভাবে নেই। যদিও “আলিফ” নামে একটি অনুষ্ঠান আছে যেখানে ইসলামী মূল্যবোধকে ফোকাস করে অনুষ্ঠান হয়।
তুরস্কের এই টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা পাকিস্তানি প্রযোজকদের ভাবাচ্ছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফোয়াদ চৌধুরি সহ অনেকেই আশংকা করছেন এভাবে চলতে থাকলে বিদেশি অনুষ্ঠান দেশের বিনোদন জগতকে গ্রাস করেবে এবং স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে এই সিরিয়াল এরতুগ্রুল দেশটিতে যে তুমুল বিতর্ক উস্কে দিয়েছে, সাংবাদিক ইশানি আশা করছেন তার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানে স্থানীয়ভাবে আরও ভাল অনুষ্ঠান তৈরি করতে প্রযোজকরা উদ্বুদ্ধ হবেন।
-
পিটিভি চ্যানেলে এরতুগ্রুল দেখছে ইসলামাবাদের একটি পরিবার
-
কেউ কেউ মনে করে এরতুগ্রুল নাটকের সম্প্রচারে মি. খানের উৎসাহের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে
-
এরতুগ্রুলকে অনেকে আখ্যায়িত করেছে মুসলিম গেম অফ থ্রোনস নামে
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2019/11/logo.png)
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
নিরাপদ খাদ্য: দেশি মাছ কাকিলাকে যেভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা
-
জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টি ধানের চাষে কৃষকদের জামানতবিহীন ঋণ দেবে কৃষি ব্যাংক, কী লাভ এই চাল উৎপাদন বাড়লে?
-
নিপাহ্ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
-
বাংলাদেশে বাড়ছে ইলিশ, মিয়ানমারে কেন কমছে – দা এগ্রো নিউজ
-
পঞ্চাশে বাংলাদেশ: এক টেলিভিশন তারকা আর দরিদ্র কৃষকের সন্তান এক বিজ্ঞানী যেভাবে পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষি
-
ইলিশ কি মিঠা পানির মাছ হয়ে যাচ্ছে? – দা এগ্রো নিউজ
-
বাংলাদেশে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০-এর বেশি দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ
-
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত ইলিশের ‘জীবন রহস্য’ কীভাবে এর উৎপাদন বাড়াবে
-
বাংলাদেশে গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আসে কীভাবে – দা এগ্রো নিউজ
-
আপেল-স্ট্রবেরির দরকার নেই, বাঙালিরা পেয়ারা বা বরই খেলেও একই উপকার পাবেন
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/পবিত্র-ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম-১৭-নভেম্বর-1.png)
দেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরি সালের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা করা হবে।
সেই হিসেবে দেশে আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি (১৭ নভেম্বর, বুধবার) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।
শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় চাঁদ দেখা কমিটি।
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/নামাজের-রাকাতসংখ্যায়-সন্দেহ-হলে-কী-করবেন.png)
নামাজে থাকাকালীন কারও মনে সংশয় জাগে কত রাকাত হলো, রাকাত ভুলে ছুটে যায়নি তো? কিংবা নামাজের পরেও সন্দেহ জাগতে পারে রাকাত পূর্ণ হয়েছে নাকি হয়নি। নামাজের রাকাতসংখ্যায় সন্দেহ হলে কী করবেন- সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা:
নামাজ পড়ার সময়ে রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে এবং এই সন্দেহ প্রথমবারের মতো হলে ওই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় পড়া আবশ্যক। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)
নামাজের সালাম ফেরানোর পর যদি রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়, তবে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)
কারও যদি নামাজের পর দৃঢ়বিশ্বাস হয় যে কিছু রাকাত পড়া হয়নি এবং যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ না হয়ে থাকে, তাহলে ছুটে যাওয়া রাকাত পড়ে নেবে। যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ হয়ে যায়, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়বে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৪)
যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে যেদিকে তার মন বেশি যায়, সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তবে কমটির ওপর আমল করবে এবং প্রতি রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে এবং শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৮৮)
তিন রাকাত পড়া হয়েছে নাকি চার রাকাত- সে ব্যাপারে সন্দেহ হলে তিন রাকাত মনে করে চতুর্থ রাকাত পড়বে। এরপর শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৬৭৭)
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/আজান-শোনার-পর-প্রিয়-নবি-সা.-এর-সুন্নাত-কী.png)
প্রিয় নবির ঘর সুমহান আদর্শের কেন্দ্রবিন্দু। এ ঘর থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তম আদর্শ, পরিপূর্ণ আদব, অতুলনীয় শিষ্টাচার ও স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থা। নবিজীর যুগে এমন সমাজ ব্যবস্থা প্রবতির্তত হয়েছিল যে, পরিবারের সবাই সমভাবে কাজ করতেন। পুরুষরা স্ত্রীদের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতেন। আর একটি সময় হলেই সবাই একত্রিত হতেন। তা ছিল নামাজের আজান। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে সবাই কাজ রেখে নামাজ পড়তে মসজিদে একত্রিত হতেন।
স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবারিক কাজে সময় দিতেন। স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন। নামাজের আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ছেড়ে দিতেন। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে-
১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে কী কী কাজ করতেন? তিনি উত্তর দেন-
كان بشرًا من البشر: يفلي ثوبه ويحلب شاته، ويخدم نفسه
‘তিনি একজন মানুষ ছিলেন, তিনি তাঁর কাপড় সেলাই করতেন, ছাগলের দুধ দহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
তিনি কি শুধু সাধারণ মানুষের মতো মানুষ ছিলেন? না তিনি ছিলেন চারিত্রিক মাদুর্য ও বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কোনো গুণেই কেউ তার সমকক্ষ ছিল না। তিনি যেমন বিনয়ী ছিলেন, তেমনি ছিলেন অহংকারমুক্ত মানুষ।
প্রিয় নবি কেমন মানুষ ছিলেন? তিনি কোনো দিন কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি ছিলেন প্রতিটি কাজে অংশগ্রহণকারী সেরা মানুষ। অন্যকে সেরা সাহায্যকারী ও শ্রেষ্ঠ মানুষ। ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর হুকুম পালনে তিনি ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর প্রতি নাজিল হয়েছে এ আয়াত-
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیۡرًا
‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ২১)
আজান শোনার পর প্রিয় নবির সুন্নাত
কোরআনের ঘোষণার পরও তিনি আল্লাহর ইবাদাত ও তার অনুসরণ থেকে কখনো বিরত হতেন না। বরং মসজিদে আজান হওয়ার ধ্বনি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাতে সাড়া দিয়ে সব কাজ রেখে মসজিদে ছুটে যেতেন। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
হজরত আসওয়াদ বিন ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়ীতে কি কি ধরনের কাজ করতেন? উত্তরে তিনি বললেন-
كان يكون في مهن أهله، فإذا سمع بالأذان خرج
‘তিনি তার পরিবারের সব কাজে নিয়োজিত থাকতেন, তবে আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন।’ (বুখারি)
ফরজ নামাজ মসজিদে পড়ার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, তিনি বাড়িতে ফরজ নামাজ পড়েছেন। তবে তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে যখন প্রচণ্ড রোগাক্রান্ত; শোয়া থেকে উঠতে পারছিলেন না; যখন মসজিদে যেতে অপরাগ ছিলেন তখন বাড়িতে নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু তিনি দরজা দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ার দৃশ্য অস্রুসিক্ত নয়নে অবলোকন করতেন।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি খুবই দয়াশীল ছিলেন। কিন্তু নামাজের জামাতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাঁর মতো এতো কঠোর দ্বিতীয় আর কেউ ছিল না। তিনি জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে এভাবে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে-
لقد هممت أن آمر بالصلاة فتقام ثم آمر رجلاً أن يصلي بالناس ثم أنطلق معي برجال معهم حزم من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فأحرق عليهم بيوتهم
‘আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি কাউকে নামাজের ইমামতি করার আদেশ দেই আর আমি কাঠসহ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে ঐ সব লোকদের বাড়িতে যাই; যারা জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত হয়নি। এরপর তারাসহ তাদের বাড়ি-ঘরকে জালিয়ে দেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে না!
মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি ছিল নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিশেষ গুরুত্ব। শরিয়তের ওজর ছাড়া আজান শোনার পর মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে মর্মেও প্রিয় নবি ঘোষণা করেছেন-
من سمع النداء فلم يجب فلا صلاة له إلا من عذر، والعذر خوف أو مرض
‘শরিয়তের ওজর ব্যতিত যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলো না, তার নামাজ কবুল হবে না।’ (তিরমিজি) আর ওজর বলতে: শত্রুর ভয় অথবা রোগকে বুঝানো হয়েছে।
প্রিয় নবির যুগের সে দৃশ্য আজ কোথায়? কোথায় সেই নামাজি? মসজিদে আজান হয় ঠিকই কিন্তু মসজিদের কাতারপূর্ণ হয় না। অথচ বর্তমান সময়ে মসজিদে নামাজ পড়তে না যাওয়ার পেছনে নেই কোনো শরিয়তের ওজর। না কোনো শত্রুর ভয় কিংবা বিপদের ভয়।
মুমিন মুসলমান মাত্রই উচিত, আজান হলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোনালী যুগের মতো কাজ রেখে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। একত্রে নামাজ আদায় করা। প্রিয় নবির প্রিয় সুন্নাতকে জাগ্রত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/হিজরতের-কঠিন-বিপদে-যে-দোয়া-নাজিল-হয়েছিল.png)
মানসিক চাপ, বিষন্নতা ও জীবনের নানা কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের ঝুঁকির মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় চরম বিপদের মুহূর্তে প্রশান্তি স্বরূপ এ আয়াতটি নাজিল হয়। যা সত্যিই প্রশান্তির। এ আয়াতটি পড়লে এমনিতেই কঠিন বিপদে মিলে প্রশান্তি ও নিরাপত্তা। তাহলো-
رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا
উচ্চারণ : রাব্বি আদ্খিলনি মুদ্খালা সিদ্ক্বিও ওয়া আখরিঝ্নি মুখরাঝা সিদ্ক্বিও ওয়াঝ্আললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাছিরা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে কল্যাণসহ প্রবেশ করাও এবং কল্যাণসহ বের কর। আর তোমার কাছ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৮০)
উল্লেখ্য, এ আয়াতটি প্রিয় নবির হিজরতের সময় নাজিল হয়েছিল। যখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে বের হওয়ার এবং মদিনাতে প্রবেশ করার সময় উপস্থিত হয়েছিল।
কেউ কেউ বলেন, এ প্রার্থনামূলক আয়াতের মর্মার্থ হলো- সত্যের উপর আমার মৃত্যু দিও এবং সত্যের উপর আমাকে কেয়ামতের দিন উত্থিত করো।
আবার কেউ কেউ বলেন, সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবরে প্রবিষ্ট করো এবং কেয়ামতের দিন সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবর থেকে বের করো ইত্যাদি।
ইমাম শাওকানি বলেন, এ আয়াতটি যেহেতু দোয়া; বিধায় এর ব্যাপকতায় উল্লিখিত সব কথাই এসে যায়।
কেউ কেউ বলেন, যারা বিভিন্ন কষ্ট ভোগ করেন, তারাও এ দোয়াটি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়তে পারেন। আশা করা যায়, এতে তার উল্লেখিত রোগ ও সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, যদি কারো ডায়বেটিস রোগ হয়; তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্ক্ষলাবদ্ধ জীবনের পাশাপাশি এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে এটিকে কোরআনি আমল মনে করা হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন রোগ মুক্তিতে কোরআনের এ আয়াতের আমলটি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার ও পরকালের সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
![](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/কেয়ামতের-দিনের-মুক্তিতে-মুমিনের-করণীয়-কী.png)
শিরকমুক্ত ঈমান এবং নেক আমল ছাড়া কেয়ামতের দিন মুক্তির বিকল্প নেই। কেয়ামতের ময়দানে সব মানুষ আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবে। এমনকি নবি-রাসুলগণও আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবেন। কারণ কেউ জানেন না আল্লাহ তাআলা সে দিন কার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করবেন।
হাদিসের বর্ণনায় যদিও কেয়ামতের দিনের ভয়বাহতার বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি সেদিন সেজদায় থাকবেন। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাকে সেজদা থেকে উঠতে বলবেন। তিনি সেজদা থেকে মাথা উঠিয়ে বিচার কাজ শুরু করার জন্য সুপারিশ করবেন। তারপরই শুরু হবে পরকালের বিচারকার্য।
সেদিন যার আমলনামা ভালো হবে সে সফল হবে। শুধু মানুষ নয়, সেদিন নবি-রাসুলরা কতটা ভয়াবহ সময় কাটাবেন তা হাদিসের একটি বর্ণনা থেকেই সুস্পষ্ট-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাজিল হয়-
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
(হে রাসুল!) আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৪)
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন-
> হে কুরাইশ দল! (তোমরা আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতের ধারায়) নিজেদের আত্মাকে প্রস্তুত কর। আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো কাজে আসতে পারব না।
> হে বনি আবদে মানাফ! আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্বাস! আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে রাসুলের ফুফু সাফিয়্যাহ! আমি আল্লাহর কাছে আপনার কোনো কাজে আসব না।
> হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা ফাতেমা! তুমি আমার সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো কাজে আসব না।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের করণীয়-
এ সতর্কবার্তা ঘোষণার পরপরই মহান আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে প্রিয়নবিকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার যে ঘোষণাগুলো দিয়েছেন, সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আর তাহলো-
‘আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তোমার বাহুকে অবনত কর। তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালু (আল্লাহর) উপর তাওয়াক্কুল কর। যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (নামাজে) দণ্ডায়মান হও এবং সেজদাকারীদের মধ্যে তোমার ওঠা-বসা। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা মহাজ্ঞানী।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৫-২২০)
আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতে যদি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিজ বংশধর, চাচা, ফুফু ও কন্যার ব্যাপারে এমন ঘোষণা দেন তবে অন্যান্য মুসলমান কিভাবে আল্লাহর নাফরমানি করে প্রিয়নবির শাফায়াত লাভের আশা করতে পারে!
কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা থেকে এ কথা প্রমাণিত যে, শিরক মুক্ত ঈমান ও নেক আমল ছাড়া কোনো আদম সন্তানই পরকালে মুক্তি পাবে না। যারাই প্রিয় নবির অনুসরণ ও অনুকরণ করবে তাদের মুক্তি হবে নিরাপদ ও সহজ।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শিরকমুক্ত ঈমান ও নেক আমলে নিজেদের জীবন সাজানো। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমান লাভ ও তার ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত করার তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে হাদিসে ঘোষিত সব ধরনের শাফায়াত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
![লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/07/লাভজনক-সবজি-চাষ-পদ্ধতি-80x80.png)
লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি
![ছাদ বাগানের জন্য কয়েকটি টিপস](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/ছাদ-বাগানের-জন্য-কয়েকটি-টিপস-80x80.png)
ছাদ বাগানের জন্য কয়েকটি টিপস
![অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2019/11/107116309_img_20190526_115457-80x80.jpg)
অর্গানিক খাদ্য: বাংলাদেশে বাড়ছে চাহিদা কিন্তু মান নিশ্চিত হচ্ছে কী?
![পুইশাক চাষ পদ্ধতি](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/04/পুইশাক-চাষ-পদ্ধতি-80x80.png)
পুইশাক চাষ পদ্ধতি
![শাইখ সিরাজ](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2023/09/375604639_850898569736806_7588387452820221709_n-80x80.jpg)
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ
![সারের সংকট](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2022/06/juddho-80x80.webp)
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
![বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2022/06/mirajul-80x80.webp)
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
![নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকদের বাদামখেত। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2022/06/nasir-80x80.webp)
নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত
![পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2022/06/pani-80x80.webp)
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
![ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2022/06/krishi1-80x80.webp)
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
![স্মার্ট ডিভাইসে মাছ চাষে বিপ্লব](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2019/11/software_engineer_shafiul_alam-80x80.jpg)
স্মার্ট ডিভাইসে মাছ চাষে বিপ্লব
![চীনে পানিবিহীন হাঁসের খামার](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2020/04/চীনে-পানিবিহীন-হাঁসের-খামার-80x80.png)
চীনে পানিবিহীন হাঁসের খামার
![কলাপাড়ায় ৩০ মণ জাটকা জব্দ](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/কলাপাড়ায়-৩০-মণ-জাটকা-জব্দ-80x80.png)
কলাপাড়ায় ৩০ মণ জাটকা জব্দ
![ফরিদপুরে ধানের ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি ফরিদপুরে ধানের ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/ফরিদপুরে-ধানের-ভালো-দামে-কৃষকের-মুখে-হাসি-80x80.png)
ফরিদপুরে ধানের ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি
![ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা চাষিরা](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/ধানে-পোকার-আক্রমণে-দিশেহারা-চাষিরা-80x80.png)
ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা চাষিরা
![ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ‘ব্ল্যাক রাইস’](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/ঠাকুরগাঁওয়ে-চাষ-হচ্ছে-‘ব্ল্যাক-রাইস-80x80.png)
ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে ‘ব্ল্যাক রাইস’
![মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে কুকুরকে উদ্ধার করলো গরু](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/মানুষের-নিষ্ঠুরতা-থেকে-কুকুরকে-উদ্ধার-করলো-গরু-80x80.png)
মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে কুকুরকে উদ্ধার করলো গরু
![হাই প্রেসার কমানোর সহজ ৫ উপায়](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/হাই-প্রেসার-কমানোর-সহজ-৫-উপায়-80x80.png)
হাই প্রেসার কমানোর সহজ ৫ উপায়
![অসময়ের বন্যায় সব শেষ তিস্তাপাড়ের কৃষকের](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/অসময়ের-বন্যায়-সব-শেষ-তিস্তাপাড়ের-কৃষকের-80x80.png)
অসময়ের বন্যায় সব শেষ তিস্তাপাড়ের কৃষকের
![পাবনায় পাঁচ মাসে ৫ কোটি টাকার শামুক বিক্রি](https://agronewstoday.com/wp-content/uploads/2021/11/sfgjk-80x80.png)
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন