ইসলাম
বয়কট ফ্রান্স আন্দোলন: ইসলাম নিয়ে এমানুয়েল ম্যাক্রঁর মন্তব্যে বাংলাদেশে কি ফরাসীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে?
লেখক
বিবিসি বাংলাফ্রান্সে সম্প্রতি ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে একজন স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদের ঘটনার পর ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদে জর্ডান ও কুয়েতসহ কয়েকটি মুসলিম দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
অনেক দোকান থেকে ফরাসী পণ্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও সেই ক্ষোভের আঁচ পড়েছে। রোববার সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি ইসলামপন্থী দল মঙ্গলবার ঢাকায় ফরাসী দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে।
এই দলের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার এসব মন্তব্যের জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে মুসলমানদের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে প্রস্তাব এনে ফ্রান্সের নিন্দা করতে হবে।
তিনি বলেন, “ফ্রান্সে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে, নবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। নবীকে অপমান করা হচ্ছে। আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারিনা।“
এর আগে, গতকাল (রোববার) সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে, এবং সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সেখানে নানা মত-পথের ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ ছিল। সমাবেশে ফরাসী প্রেসিডেন্টের নিন্দা করা হয়েছে যে তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ইসলাম বিদ্বেষকে উস্কে দিচ্ছেন।
ফ্রান্সের ইমেজে কি আঘাত পড়বে?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামের নবীর কার্টুন নিয়ে নতুন এই বিতর্ক এবং ইসলাম নিয়ে ফরাসী প্রেসিডেন্টের মন্তব্য-বিবৃতির প্রতিক্রিয়া কতদূর গড়াতে পারে বাংলাদেশে?
সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে উদার ও অগ্রসর দেশ হিসাবে ফ্রান্সের যে ভাবমূর্তি বাংলাদেশে রয়েছে তাতে কি বড় কোন আঘাত পড়বে?
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক ড. আব্দুর রব খান মনে করেন এই ক্ষোভ ‘সাময়িক।‘
তিনি বিবিসিকে বলেন, “ইসলাম নিয়ে বাংলাদেশে স্পর্শকাতরতা রয়েছে, ফ্রান্সে যা হচ্ছে তা নিয়ে হয়ত আগামী কিছুদিনে আরও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু প্রতিবাদ দেখা যাবে – কিন্তু এ নিয়ে যে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হবে বা ফ্রান্স নিয়ে বাংলাদেশের জনমনে বড় কোনো বিরূপ মনোভাব জন্ম নেবে তা বলার সময় এখনো আসেনি।“
ড. খানের কথা, মুসলিম বিশ্বের কোথাও কোথাও যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তার সাথে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কিছু আক্রমণাত্মক কথার সম্পর্ক রয়েছে।
মি. এরদোয়ান দু’দিন আগে ফরাসী প্রেসিডেন্টকে ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী বলে বর্ণনা করে মন্তব্য করেন যে “মি ম্যাক্রঁর এখন মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।“
ড. আব্দুর রব খানের মতে, মি. এরদোয়ানের এসব বিবৃতির সাথে আন্তর্জাতিক কিছু ইস্যুতে ফ্রান্স এবং তুরস্কের ক্রমবর্ধমান রেষারেষির কিছু সম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেনও মনে করেন না যে নবীর কার্টুন বিতর্ক এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে বাংলাদেশে ফ্রান্সের ভাবমূর্তিতে বড় কোনো ধস নামবে।
তিনি এ প্রসঙ্গে ২০০৫ সালে ডেনমার্কের একটি পত্রিকায় নবীর কার্টুন ছাপার প্রসঙ্গ টানেন। তখনও বাংলাদেশে বিক্ষোভ হয়েছে, ডেনিশ পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকে ডেনমার্কের সরকারে কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও জানানো হয়েছিল।
মি. হোসেন বলেন, “তখনও সেগুলো ছিল তাৎক্ষণিক ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। এ নিয়ে ডেনমার্কের সাথে সম্পর্ক খারাপ বা ডেনমার্কের ভাবমূর্তি যে স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে তা হয়নি।“
তৌহিদ হোসেন বলেন, ফ্রান্স নিয়ে মুসলিম বিশ্বের কোথাও কোথাও নতুন করে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার সাথে ‘সাংস্কৃতিক ভিন্নতা‘র একটি সম্পর্ক রয়েছে। “নবীর কোনো অপমান মুসলিমদের কাছে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, কিন্তু ফরাসীরা মনে করে যে কোনো কিছু এবং যে কাউকে নিয়ে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে।“
তবে, মি হোসেনের মতে, মত প্রকাশের যে যুক্তি ফ্রান্স দেয় তার ভেতর অনেক স্ব-বিরোধিতা রয়েছে।
“নাৎসিদের সমর্থনে আপনি সেখানে কিছু বলতে পারবেননা, আইন করে তা নিষিদ্ধ। আর্মেনিয়ায় গণহত্যা অস্বীকার করা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা কি তাতে থাকে?“
তুরস্ক-ফ্রান্স ‘পাওয়ার গেম‘
ফরাসী প্রেসিডেন্ট এবং তার সরকার নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স।
ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দিচ্ছেন। ফ্রান্স তুরস্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছে।
ড. আব্দুর রব খান মনে করেন, মি. এরদোয়ান ফ্রান্স বা ফরাসী প্রেসিডেন্টকে নিয়ে যেসব বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন, তা সাথে সাথে এই দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া ‘পাওয়ার গেমের‘ (ক্ষমতার রেষারেষি) সম্পর্ক রয়েছে।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান নিয়ে তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে যে রেষারেষি চলছে সেখানে ফ্রান্স সরাসরি গ্রীসকে সমর্থন যোগাচ্ছে।
লিবিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতাও করেছে ফ্রান্স। আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাতে তুরস্কের ভূমিকার সমালোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ — এগুলো মি. এরদোয়ানের একবারেই পছন্দ নয়।
সেইসাথে, সৌদি আরব এবং মিশরকে হটিয়ে ইসলামী বিশ্বের নেতৃত্ব নেওয়ার একটা অভিলাষ তৈরি হয়েছে তুরস্কের মধ্যে, এবং অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করেন সে কারণে মুসলিমদের স্পর্শকাতরতা নিয়ে – তা ফিলিস্তিনী সংকট, রোহিঙ্গা সমস্যা বা কাশ্মীর সমস্যা হোক বা ফ্রান্সে মুসলিম বিদ্বেষ হোক- মি. এরদোয়ান খুবই সোচ্চার।
কতদূর গড়াতে পারে?
তৌহিদ হোসেন মনে করেন, ফ্রান্স-বিরোধী মনোভাব বাংলাদেশ বা মুসলিম বিশ্বে কতটা শক্তভাবে দানা বাঁধবে বা দীর্ঘস্থায়ী হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওআইসি‘র মত মুসলিম দেশগুলোর বড় যেসব প্লাটফর্ম রয়েছে তাদের ভূমিকার ওপর।
তিনি বলেন, “তারা যদি এ বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু করে, বিবৃতি দেয়- তাহলে হয়তো মুসলিম বিশ্বে আরো বেশি ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব বিস্তার লাভ করতে পারে।“
তবে সৌদি আরব বা মিশর মি. এরদোয়ানের সুরে সুর মেলাবেন – সে সম্ভাবনা এখন খুবই কম। তাদের কাছে ফ্রান্সের চেয়ে তুরস্কের এরদোয়ান সরকার এখন অনেক বড় শত্রু।
একইসাথে, অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, মুসলিম বিশ্বে তৈরি হওয়া অসন্তোষকে কতটা গুরুত্ব প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ দেন বা ভবিষ্যতে তিনি কি বলেন বা করেন – তার ওপর ফ্রান্স নিয়ে মুসলিমদের প্রতিক্রিয়ার গতি-প্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করবে।
ফ্রান্সে গত পাঁচ বছরে একের পর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। দু’শরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ফলে, কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর কাছে থেকে চাপে পড়েছেন মি. ম্যাক্রঁ।
তৌহিদ হোসেন এবং আরো অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ইসলাম নিয়ে বা ইসলামী কট্টরপন্থা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যেসব স্পর্শকাতর কথাবার্তা বলছেন তার সাথে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে।
সামনের বছর ফ্রান্সে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে মি ম্যাক্রঁ দেখাতে চাইছেন তিনি কট্টর ইসলাম এবং সন্ত্রাস দমনে কঠোর হতে দ্বিধা করবেন না।
-
তুরস্কে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফ্রান্সের বিরৃদ্ধে সমাবেশ।
-
ঢাকায় ম্যাক্রঁ-বিরোধী বিক্ষোভ।
-
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। ইসলাম সম্পর্কে তার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে
-
ফ্রান্সে নবীকে ‘অপমানের‘ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ
-
নবীর কার্টুন এবং মুসলিমদের নিয়ে ফরাসী প্রেসিডেন্টের কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদে পাকিস্তানের পেশোয়ারে এক বিক্ষোভে ফ্রান্সের পতাকা পোড়ানো হচ্ছে, অক্টোবর ২৬, ২০২০
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি
-
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ
-
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
-
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
-
নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত
-
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
-
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
-
‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি
-
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত
-
বোরো কাটতে বাড়তি খরচ ঃ হাসি নেই কৃষকের মুখে
দেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরি সালের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা করা হবে।
সেই হিসেবে দেশে আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি (১৭ নভেম্বর, বুধবার) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।
শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় চাঁদ দেখা কমিটি।
নামাজে থাকাকালীন কারও মনে সংশয় জাগে কত রাকাত হলো, রাকাত ভুলে ছুটে যায়নি তো? কিংবা নামাজের পরেও সন্দেহ জাগতে পারে রাকাত পূর্ণ হয়েছে নাকি হয়নি। নামাজের রাকাতসংখ্যায় সন্দেহ হলে কী করবেন- সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা:
নামাজ পড়ার সময়ে রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে এবং এই সন্দেহ প্রথমবারের মতো হলে ওই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় পড়া আবশ্যক। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)
নামাজের সালাম ফেরানোর পর যদি রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়, তবে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)
কারও যদি নামাজের পর দৃঢ়বিশ্বাস হয় যে কিছু রাকাত পড়া হয়নি এবং যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ না হয়ে থাকে, তাহলে ছুটে যাওয়া রাকাত পড়ে নেবে। যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ হয়ে যায়, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়বে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৪)
যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে যেদিকে তার মন বেশি যায়, সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তবে কমটির ওপর আমল করবে এবং প্রতি রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে এবং শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৮৮)
তিন রাকাত পড়া হয়েছে নাকি চার রাকাত- সে ব্যাপারে সন্দেহ হলে তিন রাকাত মনে করে চতুর্থ রাকাত পড়বে। এরপর শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৬৭৭)
প্রিয় নবির ঘর সুমহান আদর্শের কেন্দ্রবিন্দু। এ ঘর থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তম আদর্শ, পরিপূর্ণ আদব, অতুলনীয় শিষ্টাচার ও স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থা। নবিজীর যুগে এমন সমাজ ব্যবস্থা প্রবতির্তত হয়েছিল যে, পরিবারের সবাই সমভাবে কাজ করতেন। পুরুষরা স্ত্রীদের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতেন। আর একটি সময় হলেই সবাই একত্রিত হতেন। তা ছিল নামাজের আজান। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে সবাই কাজ রেখে নামাজ পড়তে মসজিদে একত্রিত হতেন।
স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবারিক কাজে সময় দিতেন। স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন। নামাজের আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ছেড়ে দিতেন। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে-
১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে কী কী কাজ করতেন? তিনি উত্তর দেন-
كان بشرًا من البشر: يفلي ثوبه ويحلب شاته، ويخدم نفسه
‘তিনি একজন মানুষ ছিলেন, তিনি তাঁর কাপড় সেলাই করতেন, ছাগলের দুধ দহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
তিনি কি শুধু সাধারণ মানুষের মতো মানুষ ছিলেন? না তিনি ছিলেন চারিত্রিক মাদুর্য ও বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কোনো গুণেই কেউ তার সমকক্ষ ছিল না। তিনি যেমন বিনয়ী ছিলেন, তেমনি ছিলেন অহংকারমুক্ত মানুষ।
প্রিয় নবি কেমন মানুষ ছিলেন? তিনি কোনো দিন কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি ছিলেন প্রতিটি কাজে অংশগ্রহণকারী সেরা মানুষ। অন্যকে সেরা সাহায্যকারী ও শ্রেষ্ঠ মানুষ। ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর হুকুম পালনে তিনি ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর প্রতি নাজিল হয়েছে এ আয়াত-
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیۡرًا
‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ২১)
আজান শোনার পর প্রিয় নবির সুন্নাত
কোরআনের ঘোষণার পরও তিনি আল্লাহর ইবাদাত ও তার অনুসরণ থেকে কখনো বিরত হতেন না। বরং মসজিদে আজান হওয়ার ধ্বনি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাতে সাড়া দিয়ে সব কাজ রেখে মসজিদে ছুটে যেতেন। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
হজরত আসওয়াদ বিন ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়ীতে কি কি ধরনের কাজ করতেন? উত্তরে তিনি বললেন-
كان يكون في مهن أهله، فإذا سمع بالأذان خرج
‘তিনি তার পরিবারের সব কাজে নিয়োজিত থাকতেন, তবে আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন।’ (বুখারি)
ফরজ নামাজ মসজিদে পড়ার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, তিনি বাড়িতে ফরজ নামাজ পড়েছেন। তবে তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে যখন প্রচণ্ড রোগাক্রান্ত; শোয়া থেকে উঠতে পারছিলেন না; যখন মসজিদে যেতে অপরাগ ছিলেন তখন বাড়িতে নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু তিনি দরজা দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ার দৃশ্য অস্রুসিক্ত নয়নে অবলোকন করতেন।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি খুবই দয়াশীল ছিলেন। কিন্তু নামাজের জামাতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাঁর মতো এতো কঠোর দ্বিতীয় আর কেউ ছিল না। তিনি জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে এভাবে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে-
لقد هممت أن آمر بالصلاة فتقام ثم آمر رجلاً أن يصلي بالناس ثم أنطلق معي برجال معهم حزم من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فأحرق عليهم بيوتهم
‘আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি কাউকে নামাজের ইমামতি করার আদেশ দেই আর আমি কাঠসহ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে ঐ সব লোকদের বাড়িতে যাই; যারা জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত হয়নি। এরপর তারাসহ তাদের বাড়ি-ঘরকে জালিয়ে দেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে না!
মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি ছিল নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিশেষ গুরুত্ব। শরিয়তের ওজর ছাড়া আজান শোনার পর মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে মর্মেও প্রিয় নবি ঘোষণা করেছেন-
من سمع النداء فلم يجب فلا صلاة له إلا من عذر، والعذر خوف أو مرض
‘শরিয়তের ওজর ব্যতিত যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলো না, তার নামাজ কবুল হবে না।’ (তিরমিজি) আর ওজর বলতে: শত্রুর ভয় অথবা রোগকে বুঝানো হয়েছে।
প্রিয় নবির যুগের সে দৃশ্য আজ কোথায়? কোথায় সেই নামাজি? মসজিদে আজান হয় ঠিকই কিন্তু মসজিদের কাতারপূর্ণ হয় না। অথচ বর্তমান সময়ে মসজিদে নামাজ পড়তে না যাওয়ার পেছনে নেই কোনো শরিয়তের ওজর। না কোনো শত্রুর ভয় কিংবা বিপদের ভয়।
মুমিন মুসলমান মাত্রই উচিত, আজান হলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোনালী যুগের মতো কাজ রেখে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। একত্রে নামাজ আদায় করা। প্রিয় নবির প্রিয় সুন্নাতকে জাগ্রত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মানসিক চাপ, বিষন্নতা ও জীবনের নানা কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের ঝুঁকির মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় চরম বিপদের মুহূর্তে প্রশান্তি স্বরূপ এ আয়াতটি নাজিল হয়। যা সত্যিই প্রশান্তির। এ আয়াতটি পড়লে এমনিতেই কঠিন বিপদে মিলে প্রশান্তি ও নিরাপত্তা। তাহলো-
رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا
উচ্চারণ : রাব্বি আদ্খিলনি মুদ্খালা সিদ্ক্বিও ওয়া আখরিঝ্নি মুখরাঝা সিদ্ক্বিও ওয়াঝ্আললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাছিরা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে কল্যাণসহ প্রবেশ করাও এবং কল্যাণসহ বের কর। আর তোমার কাছ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৮০)
উল্লেখ্য, এ আয়াতটি প্রিয় নবির হিজরতের সময় নাজিল হয়েছিল। যখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে বের হওয়ার এবং মদিনাতে প্রবেশ করার সময় উপস্থিত হয়েছিল।
কেউ কেউ বলেন, এ প্রার্থনামূলক আয়াতের মর্মার্থ হলো- সত্যের উপর আমার মৃত্যু দিও এবং সত্যের উপর আমাকে কেয়ামতের দিন উত্থিত করো।
আবার কেউ কেউ বলেন, সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবরে প্রবিষ্ট করো এবং কেয়ামতের দিন সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবর থেকে বের করো ইত্যাদি।
ইমাম শাওকানি বলেন, এ আয়াতটি যেহেতু দোয়া; বিধায় এর ব্যাপকতায় উল্লিখিত সব কথাই এসে যায়।
কেউ কেউ বলেন, যারা বিভিন্ন কষ্ট ভোগ করেন, তারাও এ দোয়াটি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়তে পারেন। আশা করা যায়, এতে তার উল্লেখিত রোগ ও সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, যদি কারো ডায়বেটিস রোগ হয়; তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্ক্ষলাবদ্ধ জীবনের পাশাপাশি এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে এটিকে কোরআনি আমল মনে করা হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন রোগ মুক্তিতে কোরআনের এ আয়াতের আমলটি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার ও পরকালের সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিরকমুক্ত ঈমান এবং নেক আমল ছাড়া কেয়ামতের দিন মুক্তির বিকল্প নেই। কেয়ামতের ময়দানে সব মানুষ আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবে। এমনকি নবি-রাসুলগণও আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবেন। কারণ কেউ জানেন না আল্লাহ তাআলা সে দিন কার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করবেন।
হাদিসের বর্ণনায় যদিও কেয়ামতের দিনের ভয়বাহতার বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি সেদিন সেজদায় থাকবেন। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাকে সেজদা থেকে উঠতে বলবেন। তিনি সেজদা থেকে মাথা উঠিয়ে বিচার কাজ শুরু করার জন্য সুপারিশ করবেন। তারপরই শুরু হবে পরকালের বিচারকার্য।
সেদিন যার আমলনামা ভালো হবে সে সফল হবে। শুধু মানুষ নয়, সেদিন নবি-রাসুলরা কতটা ভয়াবহ সময় কাটাবেন তা হাদিসের একটি বর্ণনা থেকেই সুস্পষ্ট-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাজিল হয়-
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
(হে রাসুল!) আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৪)
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন-
> হে কুরাইশ দল! (তোমরা আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতের ধারায়) নিজেদের আত্মাকে প্রস্তুত কর। আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো কাজে আসতে পারব না।
> হে বনি আবদে মানাফ! আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্বাস! আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে রাসুলের ফুফু সাফিয়্যাহ! আমি আল্লাহর কাছে আপনার কোনো কাজে আসব না।
> হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা ফাতেমা! তুমি আমার সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো কাজে আসব না।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের করণীয়-
এ সতর্কবার্তা ঘোষণার পরপরই মহান আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে প্রিয়নবিকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার যে ঘোষণাগুলো দিয়েছেন, সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আর তাহলো-
‘আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তোমার বাহুকে অবনত কর। তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালু (আল্লাহর) উপর তাওয়াক্কুল কর। যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (নামাজে) দণ্ডায়মান হও এবং সেজদাকারীদের মধ্যে তোমার ওঠা-বসা। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা মহাজ্ঞানী।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৫-২২০)
আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতে যদি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিজ বংশধর, চাচা, ফুফু ও কন্যার ব্যাপারে এমন ঘোষণা দেন তবে অন্যান্য মুসলমান কিভাবে আল্লাহর নাফরমানি করে প্রিয়নবির শাফায়াত লাভের আশা করতে পারে!
কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা থেকে এ কথা প্রমাণিত যে, শিরক মুক্ত ঈমান ও নেক আমল ছাড়া কোনো আদম সন্তানই পরকালে মুক্তি পাবে না। যারাই প্রিয় নবির অনুসরণ ও অনুকরণ করবে তাদের মুক্তি হবে নিরাপদ ও সহজ।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শিরকমুক্ত ঈমান ও নেক আমলে নিজেদের জীবন সাজানো। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমান লাভ ও তার ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত করার তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে হাদিসে ঘোষিত সব ধরনের শাফায়াত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন