আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

প্রসব-পরবর্তী মানসিক সমস্যা

মাত্র এক মাস আগে সন্তানের জন্ম হয়েছে। পরিবারের সবাই খুব খুশি, সবাই সদ্যোজাত শিশুসন্তানটিকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু প্রসূতি মায়ের কিছুই ভালো লাগে না, থেকে থেকে শুধু কান্না পায়। মুখে হাসি নেই, মনে আনন্দ নেই, কিছু খেতে ইচ্ছা করে না, রাত জেগে জেগে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। অন্যরা অবাক হয়, মাতৃত্ব নিয়ে কি তবে তিনি খুশি নন? কেউ বলে, ‘এগুলো কিছু না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’

কিন্তু দিনে দিনে মনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে নতুন মায়ের। মাঝেমধ্যে তাঁর মনে হয়, এই ছোট্ট শিশুটিকে তিনি লালনপালন করতে পারবেন না, ইচ্ছা করে সন্তানটিকে কাউকে দিয়ে দিতে। পরমুহূর্তেই এমন চিন্তার জন্য নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকেন, অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন। প্রতি মুহূর্তে তাঁর মনে হয়, ‘আমি খুব খারাপ একজন মা।’

গল্পটা শুনে খুব অবাক লাগছে? অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের চারপাশে এমন প্রসব-পরবর্তী মানসিক জটিলতার রোগী অনেক। এমন অনেক মেয়েই এই নাজুক সময়টা ভীষণ খারাপভাবে পার করছেন। আমরা তার কোনো খবরই রাখি না।

সন্তান জন্মদানের পরপরই নারীদের বেশ কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তান প্রসবের পর এক মাসের মধ্যেই সাধারণত এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই সময় সবাই সদ্যোজাত শিশুসন্তানকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন, তাই মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য খুব গুরুত্ব পায় না। তারপর দেখা যায়, মায়ের মানসিক রোগটি গুরুতর আকার ধারণ করছে।বিজ্ঞাপন

সন্তান প্রসবের পর তিন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে—

১. পোস্ট পার্টাম ব্লু: শিশুর জন্মদানের শারীরিক ও মানসিক ধকল এবং হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সন্তান জন্মদানের ২-৩ দিন পরই প্রায় ৮৫ শতাংশ মা পোস্ট পার্টাম ব্লুতে আক্রান্ত হন। এই সময় অকারণে কান্নাকাটি, আবেগের ওঠানামা, খিটখিটে মেজাজ, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ক্লান্তির লক্ষণগুলো দেখা দেয়। সাধারণত লক্ষণগুলো কয়েক দিন থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে পরিবার এবং আপনজনদের সহায়তাই যথেষ্ট। তবে যদি লক্ষণগুলো দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, সে ক্ষেত্রে পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

২. পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন: সন্তান জন্মদানের এক মাসের ভেতরেই বিষণ্নতার লক্ষণগুলো এদের মধ্যে দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে লক্ষণগুলো পোস্ট পার্টাম ব্লুয়ের মতো মনে হলেও এই রোগের লক্ষণগুলো অনেক বেশি দীর্ঘমেয়াদি এবং যন্ত্রণাদায়ক। এর ফলে আক্রান্তের দৈনন্দিন কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হতে থাকে।

দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ লাগা, কোনো কাজে আগ্রহ বা আনন্দ না পাওয়া, সদ্যোজাত সন্তানের প্রতি মায়া বা আকর্ষণ কমে যাওয়া, ঘুম ও ক্ষুধাহীনতা অথবা উল্টো অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, অকারণ অপরাধবোধ এবং প্রায়ই কান্নাকাটি করা এই রোগের লক্ষণ।

রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নিজেকে আঘাত করার চিন্তা এমনকি মৃত্যুচিন্তা পর্যন্ত আসতে পারে। তীব্র অবসাদে আক্রান্ত মা তাঁর শিশুসন্তানটিকেও আঘাত করতে পারেন এমনকি মেরেও ফেলতে পারেন। তাই পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অতি দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ এবং সাইকোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়।

৩. পোস্ট পার্টাম সাইকোসিস: এই সমস্যাটি আরও বেশি গুরুতর। এতে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হলো—অস্বাভাবিক আচরণ ও কথাবার্তা, ভ্রান্ত বিশ্বাস (যেমন অকারণে সন্দেহ), হ্যালুসিনেশন (অদৃশ্য ব্যক্তিদের কথা শোনা), অকারণে হাসা এবং বিড়বিড় করে কথা বলা, ঘুম না হওয়া, সদ্যোজাত শিশুর যত্ন নিতে না পারা ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময় হয়।বিজ্ঞাপন

পরিবারের সদস্যদের করণীয়

প্রসবপ্রক্রিয়া (স্বাভাবিক অথবা সিজার) এবং সদ্যোজাত শিশুসন্তানের লালনপালন করতে গিয়ে একজন মায়ের ওপর সীমাহীন শারীরিক ও মানসিক চাপ পড়ে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সহায়ক ভূমিকা পালন করা দরকার। এতে প্রসব-পরবর্তী মানসিক জটিলতা কমে।

১. সন্তান পালনে নতুন মাকে সাহায্য করা। দিনের বেলা তাকে কিছুক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ করে দেওয়া।

২. মায়ের শরীর ও মন কেমন আছে, তার কোনো সাহায্য দরকার কি না, আন্তরিকভাবে জিজ্ঞাসা করা ও খোঁজ নেওয়া।

৩. গৃহস্থালি কাজের (যেমন রান্না, ঘর গোছানো, কাপড় ধোয়া) ভার কমিয়ে নতুন মাকে কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।

৪. সমস্যা বেশি মনে হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

পরিবারের সদস্যরা যা করবেন না

১. সারাক্ষণ শিশু পালনের ব্যাপারে মায়ের ভুল ধরবেন না, সমালোচনা করবেন না।

২. অন্য মায়েদের সঙ্গে তুলনা করবেন না ।

৩. নতুন মা তাঁর মানসিক সমস্যার কথা জানালে সেটা তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেবেন না।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com