রাশিয়া থেকে সরকারিভাবে এক লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়...
রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য সরাসরি রপ্তানিতে সেদেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তিনি বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা...
চলতি বছর রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমে যেতে পারে। ওপেক প্লাসের সাম্প্রতিক চুক্তির ওপর ভিত্তি করে এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানিসম্পদমন্ত্রী নিকোলাই শালগিনভ। ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত...
দুই দশক আগেও খাদ্যশস্যের চাহিদা পূরণে আমদানিনির্ভর ছিল রাশিয়া। সে সময় দেশটিতে স্থানীয় চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি পূরণ করতে হতো আমদানির মাধ্যমে। বর্তমানে এ চিত্র পুরোপুরি উল্টে...
বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে চায় রাশিয়া। বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত...
২০১৩ সাল হতে রাশিয়া থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিদ্যমান। এবার রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। আর বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি। গতকাল বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. একেএম মুনিরুল হক, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের অ্যাটাশে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন। কৃৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার চার দফা ডিএপি সারের দাম কমিয়ে ৯০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে আগ্রহী। সেজন্য একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়া চাইলে পুনরায় আলু আমদানি শুরু করতে পারে।
চলতি ২০২১-২২ (জুলাই-জুন) বিপণন মৌসুমে রাশিয়ার গম উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির উল্লেখযোগ্য কৃষি এজেন্সিগুলো। উৎপাদন হ্রাসের কারণে কৃষিপণ্যটির দাম বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী...
রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটির গম রফতনি কমেছে। তবে পরিমাণের দিক থেকে রফতানি হ্রাস পেলেও মুদ্রার ভিত্তিতে বেড়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল কাস্টমস...
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বাণিজ্য চাঙ্গা রাখতে উত্তোলন বাড়চ্ছে রাশিয়া। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে উত্তোলনের দিক থেকে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবে। রাশিয়ার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো রোস্ট্যাট এ তথ্য জানিয়েছে। রোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, জানুয়ারি-মে পর্যন্ত রাশিয়া গড়ে দৈনিক ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। জ্বালানি তেল উত্তোলনে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টন। এক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে সৌদি আরব। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ৯০ লাখ ব্যারেলেরও নিচে। অয়েলপ্রাইসডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ও জোট নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস এপ্রিলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ন্ত্রিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় দেশগুলো দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর বিষয়ে একমত হয়। মস্কোভিত্তিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধক প্রতিষ্ঠান লুকঅয়েলের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিওনেড ফেডান বলেন, ওপেক প্লাস জ্বালানি তেল উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত না নিলে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই পণ্যটির বৈশ্বিক মজুদ পরিপূর্ণ হয়ে যেত। এতে করে বন্ধ হয়ে যেত রাশিয়ার তেল উত্তোলন কূপগুলো। দেশটিকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি করতে হতো মাত্র ১৫-২০ ডলার মূল্যে। ফলে ওপেক প্লাসের এ সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। দেশটি প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল ৩০-৪০ ডলার মূল্যে বিক্রির প্রত্যাশা করছে। এটি রাশিয়াকে দৈনিক ৭-৮ কোটি ডলার আয় এনে দেবে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে উত্তোলন ক্রমাগত বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও নতুন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে রাশিয়ার উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া তেল কূপগুলো নতুন করে চালু করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন প্রতিবন্ধকতার কারণে জুনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন এর আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমে গড়ে দৈনিক ১ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে নেমেছে। মে মাসে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল গড়ে দৈনিক ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। রয়টার্সের একটি সূত্র জানায়, রাশিয়ার বড় তেলক্ষেত্রগুলোতেও তেল কূপসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে। এসব তেল কূপ নতুন করে চালু করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কূপ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে জ্বালানি তেল উত্তোলনে নিয়ন্ত্রণ আরোপকে ভালো চোখে দেখছেন না দেশটির জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে বছরের প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক। তিনি বলেন, আগস্ট থেকে রাশিয়া দৈনিক এক লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়াবে। চলতি বছরের মধ্যেই তেল উত্তোলনে মহামারী-পূর্ব প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে যেতে চায় দেশটি।
মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের মাত্র ২২ বছর পর রাশিয়ার মাটিতে ইসলামের আলো পৌঁছে যায়। বর্তমান রাশিয়ার দাগিস্তান অঞ্চল সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনাধীন হয়। এরপর ইতিহাসের নানা পর্যায়ে উমাইয়া,...
সর্বশেষ মন্তব্য