১০ দিনে ৪ লাখ টন রফতানি মালয়েশিয়ার
মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১০ দিনে (১-১০ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল রফতানি আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৪ শতাংশ বেড়ে চার লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। পণ্যবাহী কার্গো পরিবহন তদারককারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেকের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর স্টার অনলাইন ও রয়টার্স। পাম অয়েল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার পর মালয়েশিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইন্টারটেক জানিয়েছে, ১-১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩৭৫ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। আগের মাসের একই সমরে তুলনায় দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত ১-১০ জানুয়ারি সময়ে সব মিলিয়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮০ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল মালয়েশিয়া। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশটি থেকে পাম অয়েল রফতানি বেড়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ২৯৫ টন। চলতি বছরের ১-১০ ফেব্রুয়ারি সময়ে মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। পরিমাণের হিসাবে তা ৯৬ হাজার ৮১০ টন। ১-১০ জানুয়ারি সময়ে ইইউর বাজারে সব মিলিয়ে ৮৪ হাজার ২৩০ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল মালয়েশিয়া। একইভাবে ১-১০ ফেব্রুয়ারি সময়ে মালয়েশিয়া থেকে চীনে সব মিলিয়ে ৫৪ হাজার ৪৬০ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। আগের মাসের একই সময়ে চীনে সব মিলিয়ে ৩৮ হাজার ৫০ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল মালয়েশিয়া। ভারতীয় উপমহাদেশের বাজারে ১-১০ ফেব্রুয়ারি সময়ে মালয়েশিয়া থেকে সব মিলিয়ে ৪৪ হাজার ১৭৫ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। আগের মাসের একই সময়ে এ অঞ্চলে মালয়েশীয় পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৩৪০ টন। এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে চলতি বছরের প্রথম মাসে মন্দার মুখে পড়েছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি। রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২২৫ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমেছে ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ। পরিমাণের হিসাবে তা ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৩ টন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৮ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল, যা আগের মাসের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ বা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২০৭ টন বেশি। নভেম্বরে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৭৫১ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল, যা আগের মাসের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীত মৌসুমে পাম অয়েল জমে যায়। এ কারণে শীতে পণ্যটির বেচাকেনা ও রফতানি কমে আসে। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে শীত জেঁকে বসলেও মালয়েশীয় পাম অয়েলের রফতানি তুলনামূলক বেশি হয়েছে। সেই তুলনায় জানুয়ারিতে পণ্যটির রফতানি কমতির দিকে ছিল। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, ফেব্রুয়ারিতে গতি ফিরে পেতে পারে মালয়েশীয় পাম অয়েল রফতানি।
সর্বশেষ মন্তব্য