কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ধীরে ধীরে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে শ্রীলংকার চা খাত। চা উৎপাদন ও রফতানির পরিমাণ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির...
পুরান ঢাকার বাদামতলীর খেজুরপল্লীতে রমজানের আগের এই সময়ে অনেকটাই অলস বসে আছেন আড়তদাররা। পাইকারদের অপেক্ষায় থেকে, ফোনে যোগাযোগ করেও খেজুর বিক্রির আদেশ না পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ...
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড ১৯) প্রাদুর্ভাব ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। একদিকে প্রাণের ভয়, অন্যদিকে কর্মহীনতায় সৃষ্ট অনাহারের শঙ্কায় দিন পার করতে হয়েছে অনেককেই। ধারাবাহিক লকডাউনে শিল্প, কৃষিসহ প্রায় সবখানেই প্রভাব পড়েছে, যা অন্য ১০ জনের মতোই কফিচাষী ও ব্যবসায়ীদেরও দুশ্চিন্তার মাত্রা বাড়িয়েছিল। কারণ কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে নেয়া লকডাউনে বিশ্বব্যাপী ক্যাফে, অফিস ক্যান্টিন সবই বন্ধ ছিল। তাই কফি উৎপাদন এবং ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভয় ছিল যে, ২০২০ সাল তাদের দুর্দশায় কাটতে পারে। তবে ভোক্তা চাহিদা চাঙ্গা থাকায় তাদের সে শঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। খবর এএফপি। লকডাউনের কারণে অধিক সময় বাসায় অবস্থানে ঘরে কফি গ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়া, ভালো দামে বিক্রি হওয়া এবং কিছু দেশে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উৎপাদন কফি খাতকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। করোনার লকডাউনে অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাসা বা অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই অফিস করতে হয়েছে অনেককেই। বাসায় থেকে থেকে একঘেয়েমি, অবসাদ, ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা-কফি পান করে থাকেন অনেকেই। এভাবেই লাখ লাখ মানুষের গ্রহণের মাধ্যমে বাসা বা বাড়িতে কফির ব্যবহার ছিল উল্লেখ করার মতো। তবে কফি নিয়ে যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, মূলত তার থেকেও ভালো হয়েছে এর ব্যবহার। এছাড়াও করোনার কারণে অনেক দেশেই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পণ্য আমদানি-রফতানি এবং ফসল তোলার ক্ষেত্রেও বেগ পেতে হয়েছে কফিচাষীদের। তবে ব্যবসায় যতটা ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তারা করেছিলেন, ততটা ক্ষতির মধ্যে তাদের পড়তে হয়নি। বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে কফি খাতের বৈশ্বিক বিক্রয়ের মোট পরিমাণ ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বাসায় কফির ব্যবহারের কারণে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে। লন্ডনের আন্তর্জাতিক কফি সংস্থার (আইওসি) তথ্য অনুসারে, ‘কফিবর্ষে’ (অক্টোবর ২০১৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২০) ১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যাগ কফি উৎপাদন হয়েছে। গত বছরে (পূর্ণ এক বছরের হিসাবে) উৎপাদিত মোট কফির পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যাগ, যা ঠিক তার আগের সমপরিমাণ সময়ের চেয়েও অনেকটা বেশি। এর ফলে তিন বছরের ধারাবাহিকতায় কফি উৎপাদন বেড়েছে। আইওসি বলছে, মহামারীর কারণে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কম কফি উৎপাদন হতে পারে, তাই ২০২০-২১ সালে বৈশ্বিক কফি উৎপাদন আগের তুলনায় ৫২ লাখ ৭০ হাজার ব্যাগের কিছুটা বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। যার প্রবৃদ্ধির হার হবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ কফি সরবরাহ করা এর দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিশ্বব্যাপী মহামারীসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্রয় ও রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কফি উৎপাদক দেশগুলোর আয়ে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন এসেছিল। কারণ মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে দেশভেদে ডলারের দাম ওঠানামা করে। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ‘এরাবিকা কফি’ ২০২০ সালে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ১ দশমিক ১০ ডলার (প্রতি পাউন্ড) হারে বাণিজ্য করে। যদিও ২০১৯ সালে এর মূল্য ছিল ১ ডলারেরও নিচে। অন্যদিকে, উৎপাদনের উচ্চমাত্রার কারণে বিশ্বে শীর্ষ কফি রফতানিকারী দেশ ব্রাজিলের ক্ষেত্রে মূল্য অবমূল্যায়ন ঘটেছে। একই অবস্থা কলম্বিয়ার ক্ষেত্রেও। ব্রাজিল প্রকৃত চাহিদার চেয়েও বেশি উৎপাদন করায় ২৯ শতাংশ মুদ্রা অবমূল্যায়ন ঘটে। কলম্বিয়ার ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মূল্য অবমূল্যায়ন হয়। লন্ডনের র্যাবোব্যাংকের বিশেষজ্ঞ কার্লোস মিরার রবাত দিয়ে এএফপি বলছে, কফি উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলোর থেকেও ২০২০ সালটি ব্রাজিলের জন্য ছিল খুবই ভালো একটি বছর। দেশটির কফি উৎপাদন ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করে। যার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ ব্যাগ। প্রতি ব্যাগের ওজন ছিল ৬০ কেজি।
করোনাভাইরাস মহামারী চলছে প্রায় ৯ মাস ধরে। সামনেই শীতের মৌসুম, বিশ্বজুড়ে বাবা-মা চিন্তিত তাদের শিশু সন্তান নিয়ে। বছরের এই সময়ে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি লেগে থাকে,...
সর্বশেষ মন্তব্য