ভারতের চিনি উৎপাদন বেড়েছে ২৫.৩৭%
চলতি মৌসুমের প্রথম চার মাসে (অক্টোবর-জানুয়ারি) ভারতের আখ কারখানাগুলোর চিনি উৎপাদন ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টন। গত সপ্তাহে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইন্ডিয়ান সুগার মিল অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ)। খবর ইকোনমিক টাইমস। ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রথম চার মাসে ভারতের চিনি উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪১ লাখ টন। আইএসএমএ বলছে, ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে ভারতের মোট চিনি উৎপাদন ৩ কোটি ২ লাখ টনে দাঁড়াবে। ২০১৯-২০ মৌসুমে যেখানে উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার টন। চলতি মৌসুমের জানুয়ারি নাগাদ ৪৯১ টি চিনিকল সচল ছিল বলে জানায় আইএসএমএ। এর আগের বছরের একই সময়ে যেখানে চালু ছিল ৪৪৭টি চিনিকল। ভারতের শীর্ষ চিনি উৎপাদক রাজ্য উত্তর প্রদেশে জানুয়ারি নাগাদ চিনি উৎপাদন হয়েছে ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টন। এর আগের মৌসুমের একই সময়ে উৎপাদন হয়েছিল ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টন। দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক রাজ্য মহারাষ্ট্রের চিনি উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে মৌসুমে চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টন। ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক রাজ্য কর্ণাটকের চিনি উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ ৩০ হাজার টন, যা আগের মৌসুমের একই সময়ে ছিল ২৭ লাখ ৯০ হাজার টন। গুজরাটে চিনি উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টন। অন্যদিকে তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের সম্মিলিত চিনি উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টন। বিবৃতিতে আইএসএমএ আরো জানায়, চলতি মৌসুমের জানুয়ারি নাগাদ বিহার, উত্তরখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও ওডিশায় সম্মিলিতভাবে চিনি উৎপাদন হয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার টন। ইথাইল অ্যালকোহল আমদানিতে শুল্ক ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পসংশ্লিষ্টরা। এ পদক্ষেপের ফলে দেশীয় গুড় ও ভারতীয় চিনি শিল্পের তৈরীকৃত অ্যালকোহলের চাহিদা বাড়বে। এতে ভারতের আখচাষীরা আখ বিক্রিতে ভালো মূল্য পাবে। আইএসএমএ বলছে, চিনি শিল্প এবং আখচাষীদের আর্থিক সহায়তার মতো সরকারের বেশকিছু পদক্ষেপকে সার্বিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে ভারতীয় চিনি শিল্প।
সর্বশেষ মন্তব্য