বৃহত্তর সিলেট জেলায় বোরো আবাদ প্রায় শেষের দিকে। তবে কৃষিবিদ দের টার্গেট হচ্ছে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৫লাখ টন। এ দিকে সিলেটের চার জেলা সহ...
রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫ জেলায় সেচের অনিশ্চয়তা নিয়েই এবার বোরো আবাদ হচ্ছে ৫ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে। কৃষি বিভাগ জানায়, গত আমনের ক্ষতি পোষাতে এবার বোরো...
যশোরের কেশবপুরে বিলখুকশিয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে ৭ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে কৃষক বোরো আবাদ করতে পারেনি। যে কারণে ৫ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে কৃষক।...
ভালো দাম পাওয়া এবং নানা ধরনের উপকরণ সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনার কারণে চলতি বছর বোরো ধান আবাদ বেড়েছে। ফলে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭৮ হাজার...
বোরো ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেনী সদরের দুটি গ্রামে ‘সমলয়ে চাষাবাদ’ নামের নতুন এক পদ্ধতিতে প্রণোদনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে আধুনিক...
খুলনা বিভাগের ছয় জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৬ হাজার ৪২০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। দুর্যোগ ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হলে এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের আশা করছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলার অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়। চলতি মাসের মধ্যেই রোপণ শেষ হতে পারে। এ ছয় জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ৬ হাজার ৪২০ হেক্টর বেশি জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই আরো প্রায় এক হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায় আসবে। জেলাগুলোয় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮৩ টন। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের। যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে যশোর জেলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে, ঝিনাইদহে ৭৭ হাজার ৪৪০, মাগুরায় ৩৭ হাজার ৩৮৫, কুষ্টিয়ায় ৩৩ হাজার ২৮০, চুয়াডাঙ্গায় ৩১ হাজার ৭২৫ ও মেহেরপুর ১৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে ধানের চারা রোপণে বেশির ভাগ এলাকায় কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০টি উপজেলায় সরকারের একটি পাইলট প্রজেক্ট চলছে। অনেক এলাকায় কৃষকদের রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে কমপক্ষে চারজন শ্রমিককে কাজ করতে হয়। এতে কৃষকদের ব্যয় বেড়ে যায়। এ যন্ত্র দিয়ে এক ঘণ্টায় শূন্য দশমিক ৩৫ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ জন শ্রমিকের মজুরি সাশ্রয় হয়। এছাড়া রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে জ্বালানি খরচও অনেক কম। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মহদীপুর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, একটি জমিতে শ্রমিক দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে যেখানে ৬০০ টাকা ব্যয় হয়, সেখানে এ মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করলে খরচ হবে ১৫০ টাকা। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে এ যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনসহ কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে সরকার কৃষকদের সহযোগিতা করছে। যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, খুলনা বিভাগের ছয়টি জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যে আরো কিছু জমি চাষের আওতায় আসবে। এবারো ধানের ন্যায্য দাম পাবেন কৃষক। গত বছর ধান ও চালের দাম ভালো পাওয়ায় অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষী এ বছর ইরি-বোরো চাষ করছেন।
দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছে। সে কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। [৩] জমি প্রস্তুত করতে...
চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় গত মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে মরিয়া কৃষি অধিদপ্তর। গত মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ প্রায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টরের কম হলেও চলতি মৌসুমে আবাদ বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কৃষি বিভাগ। এজন্য বোরো আবাদের বীজতলা বাড়ানো, কৃষকদের প্রণোদনা বৃদ্ধি ও মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের আবাদ হয় ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ হেক্টর। ২০১৯ সালে আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৪ হেক্টর। অর্থাৎ গত বছর আবাদ কমেছে ৯ হাজার ১৮২ হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে যেকোনোভাবে বোরো ধানের আবাদ বাড়তে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে চলতি মৌসুমে আবাদ বাড়ানোর জন্য বোরো ধানের বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৯৪০ হেক্টর হলেও তৈরি করা হয়েছে ১৪ হাজার ২০৪ হেক্টর। সর্বশেষ তথ্যমতে, ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বোরো ধানের আবাদ সার্বিকভাবে ৮২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পুরোপুরি আবাদ শেষ হয়েছে। নোয়াখালী জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৬ হাজার ৯৫০ হেক্টরের বিপরীতে সম্পন্ন হয়েছে ৭৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর। এ জেলায় আরো বোরো ধানের আবাদের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টরের বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ৩২ হাজার ৪৪৫ হেক্টর। এ দুই জেলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরির পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম জেলায় ৫৭ হাজার হেক্টরের বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ হেক্টর, কক্সবাজারে সাড়ে ৫২ হাজার হেক্টরের বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩১ হাজার ৪৪০ হাজার হেক্টর এবং ফেনীতে ৩০ হাজার ৭৫ হেক্টরের বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৪৭০ হেক্টর। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনোভাবেই যেন বোরো অবাদ কম না হয়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এ মৌসুমে আড়াই লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মনজুরুল হুদা বণিক বার্তাকে বলেন, গত মৌসুমে বোরো আবাদ কম হলেও কৃষক তার জমিতে সবজি চাষ করেছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চাষ হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। কারণ বাকি জমিতে পর্যাপ্ত সবজি চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি সবজি চাষ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের নানা পরামর্শ এবং প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে
মানিকগঞ্জ: দীর্ঘ ৪ বছর পর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় পদ্মার তীরে জেগে উঠেছে চর। চর জেগে ওঠায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া জমির মালিকরা এসে নিজেদের...
দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছে। সে কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে...
সর্বশেষ মন্তব্য