দিনাজপুরে কৃষক পর্যায়ে উচ্চফলনশীল বারি পেঁয়াজ-১-এর উৎপাদন ও সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে প্রান্তিক চাষীদের কাছে...
সারাদেশের মধ্যে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে ফরিদপুর। এর মধ্যে কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে জেলার নগরকান্দায়ও। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন...
ফরিদপুরে চলতি বছর ১ হাজার ৭১১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পেঁয়াজ বীজ। সে হিসেবে জেলায় এবার প্রায় এক হাজার টন বীজ উৎপাদিত হবে। চাষীরা জানান, বাজার মূল্য অনুযায়ী এসব বীজের দাম ছাড়াতে পারে ২০০ কোটি টাকা। দেশে পেঁয়াজ বীজের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়। লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে তরুণরাও আগ্রহী হচ্ছেন পেঁয়াজ বীজের আবাদে। ফলে জেলায় এটির আবাদের পরিমাণ বাড়ছে। জেলার সদরপুর উপজেলার চাষী আল আমীন এক দশক আগে এক একর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ শুরু করলেও চলতি বছরে আবাদ বাড়িয়েছেন ২১ একরে। পেঁয়াজ বীজ চাষ লাভজনক হওয়ায় শুধু আল আমীনই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাঠগুলোতে পেঁয়াজ বীজ আবাদে মনোনিবেশ করেছেন অনেক চাষী, যাদের একটি অংশ শিক্ষিত যুবক। জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফলন হবে। একই সঙ্গে ফরিদপুরে উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রফতানি করা যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হলেও ২০২০-২১ মৌসুমে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭১১ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদিত হবে এক হাজার টনের অধিক বীজ। ফরিদপুর কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী বলেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজের ৬৫-৭০ ভাগই ফরিদপুরে আবাদ হয়।
সর্বশেষ মন্তব্য