রাশিয়া থেকে ডিএপি সার আনতে চায় বাংলাদেশ
২০১৩ সাল হতে রাশিয়া থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিদ্যমান। এবার রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। আর বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি। গতকাল বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. একেএম মুনিরুল হক, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের অ্যাটাশে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন। কৃৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার চার দফা ডিএপি সারের দাম কমিয়ে ৯০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে আগ্রহী। সেজন্য একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়া চাইলে পুনরায় আলু আমদানি শুরু করতে পারে।
সর্বশেষ মন্তব্য