চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার চাল উৎপাদনের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে। সুবিধাজনক আবহাওয়া ও চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির চাল...
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলন বাড়বে। এ সময় দেশটি ৫৭ কোটি ২০ লাখ শর্ট টন (১ শর্ট টনে ৯০৭ দশমিক ১৮ কেজি) কয়লা উত্তোলন করবে, যা...
চলতি বছর নিজেদের ফসল উৎপাদন অঞ্চলের সম্প্রসারণ করেছে মিসর। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে গম উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে দেশটি। ২০২০-২১ বিপণন বর্ষে মিসরের গম উৎপাদন...
চলতি বছর আর্জেন্টিনায় গম রোপণ কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে যবের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে কিছু কৃষক ফসল পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি বাজারে সরকারের...
শীতকালীন শস্যের উচ্চফলনশীলনতার মধ্য দিয়ে বসন্ত শুরু হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর। চলতি বছরের শস্যের ফলন জোটভুক্ত দেশগুলোর ২০২১ সালের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে মনে করছে ইইউর গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা। সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স। ২০২১ সালে শস্য উৎপাদন নিয়ে সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, এ বছর ইইউর ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হারে হেক্টরপ্রতি গড়ে ৫ দশমিক ৮৯ টন গম সংগ্রহের সম্ভাবনা ধরা হয়েছে, যার ফলে গত পাঁচ বছরের গড় উৎপাদন থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে। এর আগে ২০২০ সালে প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫ দশমিক ৭০ টন গম উৎপাদন হয় ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। ম্যানেজিং অ্যাকুয়েটিক ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড ওয়াটার রিসোর্সেস আন্ডার মাল্টিপল স্ট্রেস (মার্স) জানিয়েছে, শস্যের সাম্প্রতিক উৎপাদন ও ঐতিহাসিক তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছর খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য ফলস উৎপাদন বাড়বে। কারণ বর্তমান সময় উৎপাদনের জন্য অনেকটাই সহায়ক। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়গুলোতে গোটা বিশ্বকে একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এ কারণে সংকট কাটিয়ে উঠতে ফসল উৎপাদন তথা কৃষির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দেশগুলোতে। ফলে উৎপাদন বাড়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় জোটভুক্ত দেশগুলো। এক পূর্বাভাসে মার্স জানায়, গত বছরের হেক্টরপ্রতি গড়ে ৫ দশমিক ৮৮ টনের বিপরীতে ইইউর শীতকালীন ফসলের পরিমাণ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। এর মাধ্যমে পাঁচ বছরে গড় বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে। অন্যদিকে সরিষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশেরও বেশি সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। অর্থাৎ চলতি বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে সরিষা উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে হেক্টরপ্রতি ৩ দশমিক ২৬ টনে। এদিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিতেও বাড়বে উৎপাদন। বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর জার্মানিতে সব ধরেনর গমে দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে। ফলে দেশটিতে গম উৎপাদন প্রায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টনে দাঁড়াবে। কিন্তু সরিষা উৎপাদন কিছুটা কমেছে। চলতি বছরের শীত মৌসুমে সরিষা উৎপাদন সামান্য কমে গেছে। এ সময় গত গ্রীষ্ম মৌসুম থেকে রেকর্ড পরিমাণ দশমিক ৭ শতাংশ কমে এর উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টনে। তবে এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে মার্স। একই সঙ্গে ইইউ জোটের মোট উৎপাদন আগের চেয়েও বাড়বে বলেই প্রত্যাশা তাদের। মার্স বলছে, ইইউতে সাধারণত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির পর শীতের তীব্রতা কমে গরম আবহাওয়া শুরু হয়। এতে বরফ গলতে শুরু করবে। এর মধ্য দিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে শীতের নিমজ্জিত অবস্থা থেকে রক্ষা পাবে এখানকার কৃষক সম্প্রদায়সহ অন্যরা। অন্যদিকে উত্তর ইউরোপের বৃহৎ অংশ, বাল্টিক ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে ফসলের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাবেরও আশঙ্কা থাকছে না বলে মনে করছে সংস্থাটি।
ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক বাজারে চাঙ্গা ভাবে যেন সুদিন ফিরেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের। দর বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকায় রফতানিতেও বেশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে দেশটি। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশটিতে পাম অয়েলের মাসিক গড় মজুদের পরিমাণ ১৫ লাখ টনের নিচে থাকবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল (এমপিওসি)। খবর রয়টার্স। ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। তবে শুষ্ক আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে গত বছর দেশ দুটিতে ভোজ্যতেলটির উৎপাদনের পরিমাণ কমতির দিকে ছিল। ফলে গত বছরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার মজুদের পরিমাণ ১২ লাখ ৭০ হাজার টনে নেমে আসে, যা ১৩ বছরের সর্বনিম্ন। তবে চলতি বছর মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ বেশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে এমপিওসি। উৎপাদনের পাশাপাশি এ বছর রফতানিতেও বড় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে তারা। ফলে এ বছর মজুদের পরিমাণ সামান্যই বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমপিওসির উপপরিচালক ফয়সাল ইকবাল সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে বলেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েলের বাজার বেশ চাঙ্গা থাকবে। বলতে গেলে বছরব্যাপী এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছর মালয়েশিয়ার পরিশোধন শিল্পে গড়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত পাম অয়েল থাকতে পারে। ফলে এবার পরিশোধন কেন্দ্রগুলোও অপরিশোধিত পাম অয়েলের ঘাটতির মুখোমুখি হতে পারে; আমদানির মাধ্যমে যা পূরণ করতে হতে পারে। এমপিওসির তথ্য বলছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ৯৬ লাখ টনে গিয়ে দাঁড়াতে পারে, যেখানে গত বছর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯১ লাখ টন। অন্যদিকে শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়ায় এ বছর উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টন, যেখানে গত বছর ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ টন। সংস্থাটির প্রাক্কলন তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ১০ শতাংশ বেড়ে ৪৮ লাখ টনে গিয়ে ঠেকতে পারে। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় রফতানির পরিমাণ ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এবারে এইচএসসি পরীক্ষা হবে না, ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি...
সর্বশেষ মন্তব্য