পেটের সমস্যাগুলোর মধ্যে গ্যাসের সমস্যা একটি অন্যতম। গ্যাসের সমস্যা বাঙালির কাছে নতুন কিছু নয়। কমবেশি সকলেরই এই সমস্যা আছে বা মাঝে মধ্যেই হয়। কিন্তু হেলাফেলা করলে...
অম্বল ঢেকুর তোলা, বুক জ্বালাপোড়া কিংবা কখনোও বা পেট ব্যাথা। অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের কারণে এই সব লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। শীতকালে এই সমস্যাগুলো একটু বেশিই হয়...
তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে আমেরিকান বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন অ্যাক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের...
শহর-গ্রামে প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। অথচ গ্যাসের অপচয় কীভাবে রোধ করা যায় এ বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই। গ্যাসের খরচ কমাতে...
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় শুধু বড়রাই ভুগে না, ছোটরাও এতে কষ্ট পায়। তবে পার্থক্য হলো বড়রা বিষয়টি টের পেলেও শিশুরা প্রকাশ করতে পারে না। ফলে তারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়...
দেশের উত্তরাঞ্চলে শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর’ সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপনে প্রকল্প নেয়া হয় দুই বছর আগে। পেট্রোবাংলার আওতাধীন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে। যদিও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, নদী ক্রসিং, করোনা মহামারীসহ আরো বেশকিছু কারণে প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি অর্ধেকের কাছাকাছি। কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে গ্যাসের জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষের অপেক্ষা আরো দুই বছর বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস সংযোগ না থাকায় দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শিল্প-কারখানার প্রত্যাশিত বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে না। জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে না পেরে এ অঞ্চলে এরই মধ্যে বেশকিছু কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষত কৃষি পণ্য থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল তৈরির কারখানা, হিমাগারসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা ব্যয়সাশ্রয়ী করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। যদিও গ্যাস সংযোগ পেলে ব্যয় কমিয়ে ব্যবসা আর্থিকভাবে লাভজনক হিসেবে এগিয়ে নিতে পারতেন তারা। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণের জন্য মোট ৫৭৬ একর জমি প্রয়োজন। এরই মধ্যে বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী—এ চার জেলায় ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। রংপুর, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। এছাড়া এ প্রকল্পে নদী ও খাল ক্রসিং রয়েছে। যেটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মোট ১০ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার নদী ক্রসিং করে পাইপলাইন নির্মাণ করতে হবে। এরই মধ্যে এ কাজের জন্য বিদেশী কোম্পানিকে টেন্ডারের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের তথ্য মতে, প্রকল্পে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনের মধ্যে ১৪৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের জন্য গত বছরের ১০ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮ ডিসেম্বর দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। টার্নকি পদ্ধতিতে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ছয়টি নদী ক্রসিং রয়েছে, যা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া এ প্রকল্পে চলতি বছরের অর্থছাড় নিয়েও জটিলতা রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে ৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। এরই মধ্যে প্রকল্পটিতে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে, যা বরাদ্দকৃত অর্থের ২৪ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতিতে এ প্রকল্পটিতে সরকারি অর্থায়ন সংকট তৈরি হয়েছে। প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্ডাকশন বেন্ডস, কোটিং ম্যাটেরিয়াল, ফিটিং অ্যান্ড পিগ ট্রাম্প, বল ভালভ, গেট ভালভসহ প্রকল্পের মালামাল দেশে এসে পৌঁছেছে। গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে এসব যন্ত্রাংশ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। এরই মধ্যে এসব যন্ত্রাংশ প্রকল্প এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আরিফুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। শুধু বগুড়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাগজপত্র এখনো ভূমি মন্ত্রণালয়ে যায়নি। তবে সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে এ প্রকল্পের জন্য দেশে মালামাল শিপমেন্টে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয় কিন্তু এ সময়েও প্রকল্প শেষ হবে না বলে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করার সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে খরচ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পে সময় বাড়লেও খরচ বাড়বে না। বরাদ্দকৃত অর্থেই প্রকল্প শেষ করা হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে করোনার কারণে প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন সংকট তৈরি হওয়ায় কিছুটা জটিলতা রয়েছে। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বণিক বার্তাকে বলেন, গ্যাস সংযোগকে কেন্দ্র করে অনেকে শিল্প-কারখানা পরিকল্পনার কথা ভাবছেন। বিশেষত কৃষিজ পণ্য সংরক্ষণাগার, গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল তৈরির কারখানা এবং ইপিজেডভিত্তিক কল-কারখানা। তবে গ্যাস আসতে দেরি হলে সেই পরিকল্পনা থেকে অনেকে সরে যেতে পারেন। তিনি বলেন, তেল-বিদ্যুতে কারখানা চালিয়ে সাশ্রয়ী হতে না পেরে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন খরচ যদি কমানো না যায়, তাহলে তো ব্যবসা টিকবে না। গ্যাস সংযোগ এলে শুধু উত্তরাঞ্চলে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটান, নেপাল, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে রফতানিযোগ্য কারখানা এখানে গড়ে তোলা যাবে। উত্তরাঞ্চলে গ্যাস সংযোগ গেলে ১১টি জেলার জনগোষ্ঠী এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, উত্তর জনপদে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন বসানোর একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক হাজার পিএসআইজি চাপ সম্পন্ন গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি জিটিসিএলের আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুরুতেই এ প্রকল্পের সময়সীমা আগামী জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিদেশ থেকে এখন আমাদের বিপুল পরিমাণ এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হয়। এই নতুন কূপের গ্যাস যদি এলএনজির খাতে ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রচুর রাজস্ব আয় সম্ভব...
দিনাজপুরে ইটভাটার গ্যাসে ‘কালা আগা রোগের’ সংক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন আমচাষিরা। এ রোগ থেকে রেহাই পেতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। ফলে চাষিদের উৎপাদিত ফলের...
সর্বশেষ মন্তব্য