চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।এ পর্যন্ত জেলার ৩ উপজেলায় চাষকৃত ৯৫ শতাংশ জমির গম...
ইতোমধ্যেই সোনালি শীষে ভরে গেছে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠ। বসন্তের হালকা বাতাসের দোলায় মাঠজুড়ে দুলছে যেন কৃষকের রঙিন স্বপ্ন বরেন্দ্র অঞ্চলে ফসলের মাঠগুলো এখন সোনালি-সবুজ রঙে ঝলমল...
চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বছরব্যাপী মহামারীতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত। তবে গমের বাম্পার ফলনে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের আশা করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে তিন কোটি টনেরও বেশি গম উৎপাদন করতে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। খবর ব্লুমবার্গ। গমের বাম্পার ফলন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর বড় আকারের চাহিদায় ভর করে রেকর্ড গম রফতানি করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নভিত্তিক থমাস এল্ডার মার্কেটসের কৃষি বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু হোয়াইটলো মনে করেন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সর্বোচ্চ গম রফতানি হতে পারে। হোয়াইটলো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গমের যে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে আমরা তা পূরণ করতে পারছি না। শুধু ভালো গমই নয়, কিছুটা দুর্বল মানের গমেরও বাজার আছে সেখানে। এছাড়া উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও অস্ট্রেলিয়ার গমের ভালো চাহিদা রয়েছে। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই রুটি, পাস্তা, কেক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রধান খাদ্য বানাতে গম ব্যবহূত হচ্ছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার গম খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে চীনের মুখ ফিরিয়ে নেয়া। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন গত নভেম্বরে মাত্র ৮৮৮ টন গম আমদানি করেছে, যা অস্ট্রেলিয়া থেকে ২০১১-পরবর্তী চীনের সর্বনিম্ন আমদানি। গমের বাম্পার ফলন হলেও চীনের বাজারে সুযোগ সংকোচনে কৃষকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। এক্ষেত্রে হয়তো অন্য বাজারগুলোর দিকে মনোযোগ বাড়াবে অস্ট্রেলিয়া।
সর্বশেষ মন্তব্য