খরার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যশস্য খাত। চলতি বছর দেশটির খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। প্রতিষ্ঠানটির ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইউএসডিএ জানায়, টানা দুই বছর ভয়াবহ খরার কারণে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত বিপর্যস্ত ছিল। তবে চলতি বছর খরার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গমের উচ্চফলন দেখা দেবে। চলতি বছর দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ২ কোটি ৯৫ লাখ গম উৎপাদিত হবে। এটি গত ১০ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। তবে গবাদি পশু খাদ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহার হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম ব্যবহার পাঁচ লাখ টন কমে ৭৫ লাখ টনে নেমে আসবে। ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানি ১৫ লাখ টন কমে ২ কোটি ১৫ লাখ টনে নেমে আসবে। এর আগের বছর দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ গম রফতানি করেছিল। ইউএসডিএ আরো জানায়, এ মৌসুমে দেশটি দুই লাখ টন গম আমদানি করবে। এদিকে টানা দুই বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেশটির গমের মজুদও ঊর্ধ্বমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষিপণ্যটির মজুদ ২০ লাখ থেকে বেড়ে ৬৬ লাখ টনে উন্নীত হবে। অন্যদিকে যথাযথ বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার যব উৎপাদন ২৬ লাখ টন কমে ১ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসবে। দেশটিতে যব আবাদ কমে ৪৪-৪২ লাখ হেক্টর জমিতে নেমে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ান যবের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশ যব আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করায় আবাদের পরিমাণ হ্রাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরা। শুল্ক বৃদ্ধির আগে অস্ট্রেলিয়া উৎপাদিত দুই-তৃতীয়াংশ যবই চীনে রফতানি করত। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে দেশটির যব রফতানি ৫০ লাখ টন থেকে ৩০ লাখ টনে নেমে আসবে। কৃষিপণ্যটির মজুদও থাকবে নিম্নমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে যবের মজুদ কমে ১৭ লাখ টনে নেমে আসবে। তবে যবের ব্যবহার ৫৫ লাখ টনেই স্থিতিশীল থাকবে। এদিকে আবহাওয়া জোয়ার (এক ধরনের শস্য) চাষের অনুকূলে থাকায় পণ্যটির উৎপাদন বাড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ১৬ লাখ টন যব উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এদিকে গম ও যবের ব্যবহার কমলেও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে জোয়ারের চাহিদা বাড়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহারও থাকবে চাঙ্গা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার’ নির্দেশ বাস্তবায়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এজন্য অর্থাৎ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কৃষি খাতের ক্ষতি কাটিয়ে...
সর্বশেষ মন্তব্য