ভয়াবহ খরায় বিপর্যস্ত খাজাখস্তানের খাদ্যশস্য আবাদ। ফলে চলতি বছর দেশটির খাদ্যশস্য উত্তোলন ২৪ শতাংশ হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী জেরবল কারাশোকিয়েভ সরকারি এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম। কাজাখস্তান মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে বড় খাদ্যশস্য উত্তোলনকারী দেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো খাদ্যশস্য আমদানিতে কাজাখস্তানের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। চলতি বছর কাজাখস্তানে ১ কোটি ৫৩ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছর কাজাখস্তান ৬৫-৭০ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি করতে সক্ষম হবে। গত বছর রফতানির পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ টন। সে হিসাবে রফতানি ১৫-১০ লাখ টন হ্রাস পাবে। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাজাখস্তান ৩৫ লাখ টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে শুধু গমই সরবরাহ করা হয়েছে ২৮ লাখ টন।
চলমান খরার প্রভাবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর খাদ্যশস্য উৎপাদন খাত বিপর্যস্ত। তবে ধীরে ধীরে খরার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে আর্জেন্টিনা। ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদন করবে...
খরার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যশস্য খাত। চলতি বছর দেশটির খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। প্রতিষ্ঠানটির ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইউএসডিএ জানায়, টানা দুই বছর ভয়াবহ খরার কারণে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত বিপর্যস্ত ছিল। তবে চলতি বছর খরার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গমের উচ্চফলন দেখা দেবে। চলতি বছর দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ২ কোটি ৯৫ লাখ গম উৎপাদিত হবে। এটি গত ১০ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। তবে গবাদি পশু খাদ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহার হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম ব্যবহার পাঁচ লাখ টন কমে ৭৫ লাখ টনে নেমে আসবে। ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানি ১৫ লাখ টন কমে ২ কোটি ১৫ লাখ টনে নেমে আসবে। এর আগের বছর দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ গম রফতানি করেছিল। ইউএসডিএ আরো জানায়, এ মৌসুমে দেশটি দুই লাখ টন গম আমদানি করবে। এদিকে টানা দুই বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেশটির গমের মজুদও ঊর্ধ্বমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষিপণ্যটির মজুদ ২০ লাখ থেকে বেড়ে ৬৬ লাখ টনে উন্নীত হবে। অন্যদিকে যথাযথ বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার যব উৎপাদন ২৬ লাখ টন কমে ১ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসবে। দেশটিতে যব আবাদ কমে ৪৪-৪২ লাখ হেক্টর জমিতে নেমে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ান যবের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশ যব আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করায় আবাদের পরিমাণ হ্রাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরা। শুল্ক বৃদ্ধির আগে অস্ট্রেলিয়া উৎপাদিত দুই-তৃতীয়াংশ যবই চীনে রফতানি করত। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে দেশটির যব রফতানি ৫০ লাখ টন থেকে ৩০ লাখ টনে নেমে আসবে। কৃষিপণ্যটির মজুদও থাকবে নিম্নমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে যবের মজুদ কমে ১৭ লাখ টনে নেমে আসবে। তবে যবের ব্যবহার ৫৫ লাখ টনেই স্থিতিশীল থাকবে। এদিকে আবহাওয়া জোয়ার (এক ধরনের শস্য) চাষের অনুকূলে থাকায় পণ্যটির উৎপাদন বাড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ১৬ লাখ টন যব উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এদিকে গম ও যবের ব্যবহার কমলেও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে জোয়ারের চাহিদা বাড়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহারও থাকবে চাঙ্গা।
তীব্র খরায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইরানের তুলা উৎপাদন খাত। চলতি মৌসুমে দেশটির তুলা উৎপাদন হ্রাসের পূর্বাভাস মিলেছে। ইরানের কৃষি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।...
রাজবাড়ীতে খরা ও তাপদাহে চরম বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। অতিরিক্ত খরায় পাটক্ষেতে দেখা দিয়েছে ছটকা পোকার আক্রমণ। পাট চাষিরা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি না থাকায় মেশিন...
ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙন কবলিত চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মার চরের কৃষকদের বাদামগুলো পুড়ে যাচ্ছে খরায়। অনাবৃষ্টির কারণে ও সেচ ব্যবস্থার অভাবে শত শত কৃষকের ভাগ্য আজ বিপর্যয়ের মুখে।...
চলছে বাংলা মাস চৈত্র। রোদের তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অনেক পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। এ সময় উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রায়...
সর্বশেষ মন্তব্য