আগামী বিপণন মৌসুমে কফির বৈশ্বিক উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেকাংশে কমে যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন...
শরীরের ক্লান্তি দূর করার এক জনপ্রিয় পানীয় হলো কফি | কফি গাছ ঝোপের মত হয়। Rubiaceae পরিবারভুক্ত কফি মাঝারি উচ্চতার চিরসবুজ প্রকৃতির গাছ। কফি প্রায় ৬০ টি দেশে...
নষ্ট কফি পান করলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও স্বাদ লাগবে পানসে। দিনের শুরুটা যাদের কফি দিয়ে হয় তাদের হয়ত চিন্তা করতে হয় না যে কফি...
চলতি বছরের জুলাইয়ে কমেছে ভিয়েতনামের কফি রফতানি। দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কফি রফতানিকারক। কিন্তু উৎপাদন ঘাটতি, জাহাজীকরণ ব্যয় ও নভেল করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশটির রফতানি। তবে কফি রফতানি কমলেও বেড়েছে চাল রফতানি। ভিয়েতনামের সরকারি শুল্ক বিভাগ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও এগ্রিকালচারডটকম। গত জুলাইয়ে ভিয়েতনাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ২০৩ টন কফি রফতানি করে। জুনের তুলনায় রফতানি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ভিয়েতনাম কাস্টমস এক বিবৃতিতে জানায়, এ বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির কফি রফতানি ৮ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এ সময় সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ টন কফি রফতানি হয়। জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত কফি রফতানি আয় এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পানীয় পণ্যটির রফতানি আয় দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এদিকে গত জুলাইয়ে ভিয়েতনামের চাল রফতানি এর আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটির ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯২ টন চাল রফতানি হয়। তবে বছরের প্রথম সাত মাসের হিসাবে চাল রফতানি কমেছে। এ সময় দেশটি ৩৫ লাখ টন চাল রফতানি করে। গত বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় কৃষিপণ্যটির রফতানি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
তিন পার্বত্য জেলার প্রাণ ভোমরা রাঙামাটির রূপ, গুণ এবং বৈচিত্র্যের সমাহারের জন্য পুরো দেশে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি, পানি, বায়ু এবং আবহাওয়া সব সময়...
বলা হয় পৃথিবীতে পানীয়র মধ্যে চায়ের পরের অবস্থান হচ্ছে কফির। পশ্চিমা দেশগুলোতে ঘুম থেকে উঠে, আড্ডায় কিংবা মিটিংয়ের ফাঁকে কফি নিত্যদিনের সঙ্গী।দেশেও কফির প্রতি মানুষের আগ্রহ...
কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা এবং উন্নয়নে ২শ’ ১১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শুধু পাহাড় নয়, সারা দেশেই কাজুবাদাম ও কফির...
ভিয়েতনামের কফি রফতানিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পানীয় পণ্যটির রফতানি ৯ শতাংশ কমে গেছে। পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে চাল রফতানিও। ভিয়েতনামের সরকারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৈশ্বিক কফি রফতানিতে দ্বিতীয় ভিয়েতনাম। আন্তর্জাতিক বাজারে কফির চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে দেশটি। তবে চলতি বছর উৎপাদন ঘাটতি ও দেশীয় ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে কফি রফতানি কমিয়েছে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিসটিকস অফিস জানায়, জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত ভিয়েতনাম সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৫৪ হাজার টন বা ১ কোটি ৫৮ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেটি) কফি বিশ্ববাজারে রফতানি করেছে। গত বছরের তুলনায় রফতানি কমেছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বশেষ জুলাইয়ে দেশটির ১ লাখ ১০ হাজার টন কফি জাহাজীকরণ হয়েছে। রফতানীকৃত এসব কফির মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭০ লাখ ডলারে। বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্তা কফি উৎপাদনকারী দেশটির কফি রফতানি আয় গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এ বছরের প্রথম সাত মাসে কফি রফতানি থেকে আয় এসেছে ১২৫ কোটি ডলার। এদিকে চাল রফতানিতে শীর্ষ দেশ ভারতের পরই ভিয়েতনামের অবস্থান। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির চাল রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ সময় দেশটি বিশ্ববাজারে ৩৬ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। রফতানীকৃত এসব চাল থেকে আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ জুলাইয়ে ভিয়েতনাম পাঁচ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। এসব চালের বাণিজ্যিক মূল্য ২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এদিকে ভিয়েতনামের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতেও ধস নেমেছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটি সব মিলিয়ে ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এ সময় রফতানীকৃত অপরিশোধিত জ্বালানি তেল থেকে দেশটির আয় এসেছে ৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় ১০ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শুধু অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নয়, পরিশোধিত ও জ্বালানি তেলজাত পণ্যের রফতানিও হ্রাস পেয়েছে। বছরের প্রথম সাত মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ৫৭ লাখ টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২০ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে এসব পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।
ভারতীয় কফি রফতানি খাতে মন্দা ভাব যেন পিছু ছাড়ছে না। এক দশক ধরে পানীয় পণ্যটির রফতানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২০-২১ অর্থবছর ভারত প্রায় ৭২ কোটি ডলারের কফি রফতানি করেছে। রফতানীকৃত মোট কফির মধ্যে ৪২ শতাংশই রোবাস্তা। গ্লোবাল ট্রেড ফাইন্যান্স কোম্পানি ড্রিপ ক্যাপিটালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত দেশটির বার্ষিক কফির রফতানি হার কমেছে ৩ শতাংশ। ২০১১-১২ মৌসুমে ভারত সব মিলিয়ে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের কফি রফতানি করেছিল। রফতানির এমন নিম্নমুখী ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে করোনা মহামারী। মহামারীর প্রভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছর ভারতের কফি রফতানি নয় বছরের সর্বনিম্নে নেমে যায়। গত বছরের এপ্রিলে রফতানি সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদিত হয় কর্ণাটক রাজ্যে। দেশটির মোট রফতানির বেশির ভাই আসে এ রাজ্য থেকে। অন্যদিকে দেশের মোট তৈরি কফির ৫০ শতাংশই আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। ভারতের প্রধান কফি রফতানি বাজার ইতালি। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর রফতানীকৃত কফির ২০ শতাংশই ইতালিতে রফতানি হয়েছে।
সর্বশেষ মন্তব্য