গত বছর করোনা মহামারীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে নানামুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। তবে চলতি বছর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির ধারায় হাঁটছে এ খাত। এপ্রিল ও...
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বাণিজ্য চাঙ্গা রাখতে উত্তোলন বাড়চ্ছে রাশিয়া। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে উত্তোলনের দিক থেকে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবে। রাশিয়ার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো রোস্ট্যাট এ তথ্য জানিয়েছে। রোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, জানুয়ারি-মে পর্যন্ত রাশিয়া গড়ে দৈনিক ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। জ্বালানি তেল উত্তোলনে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টন। এক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে সৌদি আরব। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ৯০ লাখ ব্যারেলেরও নিচে। অয়েলপ্রাইসডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ও জোট নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস এপ্রিলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ন্ত্রিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় দেশগুলো দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর বিষয়ে একমত হয়। মস্কোভিত্তিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধক প্রতিষ্ঠান লুকঅয়েলের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিওনেড ফেডান বলেন, ওপেক প্লাস জ্বালানি তেল উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত না নিলে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই পণ্যটির বৈশ্বিক মজুদ পরিপূর্ণ হয়ে যেত। এতে করে বন্ধ হয়ে যেত রাশিয়ার তেল উত্তোলন কূপগুলো। দেশটিকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি করতে হতো মাত্র ১৫-২০ ডলার মূল্যে। ফলে ওপেক প্লাসের এ সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। দেশটি প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল ৩০-৪০ ডলার মূল্যে বিক্রির প্রত্যাশা করছে। এটি রাশিয়াকে দৈনিক ৭-৮ কোটি ডলার আয় এনে দেবে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে উত্তোলন ক্রমাগত বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও নতুন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে রাশিয়ার উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া তেল কূপগুলো নতুন করে চালু করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন প্রতিবন্ধকতার কারণে জুনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন এর আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমে গড়ে দৈনিক ১ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে নেমেছে। মে মাসে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল গড়ে দৈনিক ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। রয়টার্সের একটি সূত্র জানায়, রাশিয়ার বড় তেলক্ষেত্রগুলোতেও তেল কূপসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে। এসব তেল কূপ নতুন করে চালু করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কূপ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে জ্বালানি তেল উত্তোলনে নিয়ন্ত্রণ আরোপকে ভালো চোখে দেখছেন না দেশটির জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে বছরের প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক। তিনি বলেন, আগস্ট থেকে রাশিয়া দৈনিক এক লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়াবে। চলতি বছরের মধ্যেই তেল উত্তোলনে মহামারী-পূর্ব প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে যেতে চায় দেশটি।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের ভেলামারি পাথারে দেশের সর্ব প্রথম লোহার খনি আবিষ্কৃত হয় ১৯৬৪ সালে। এ লৌহখনির অস্তিত্ব নিশ্চিত করে তৎকালীন পাকিস্তান খনিজসম্পদ বিভাগ। ১৯৯৯...
বিদেশ থেকে এখন আমাদের বিপুল পরিমাণ এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হয়। এই নতুন কূপের গ্যাস যদি এলএনজির খাতে ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রচুর রাজস্ব আয় সম্ভব...
সর্বশেষ মন্তব্য