ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ ময়দা উৎপাদনকারীরা আর্জেন্টিনা থেকে গম আমদানি না করার হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনা থেকে বাণিজ্যিকভাবে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম (জিএমও) গম আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাজিল। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এমন হুমকি দেয় ব্রাজিলিয়ান হুইট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (আবিত্রিগো)। খবর রয়টার্স। আবিত্রিগো জানায়, স্থানীয় ময়দা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেকারি ও বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। ব্রাজিলের বায়োসিকিউরিটি এজেন্সি সিটিএসবায়ো বর্তমানে দেশটিতে জিএমও গম বিক্রির ব্যাপারটি পর্যালোচনা করছে। আগামী সপ্তাহে পণ্যটির বাণিজ্যিক আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। আবিত্রিগোর তথ্য অনুসারে, দেশটির বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীরা জিএমও গম আমদানির ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তারা ভোক্তার স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আবিত্রিগোর প্রধান রুবেনস বারবোসা জানান, পৃথিবীর কোনো দেশই জিএমও গম আমদানির অনুমতি প্রদান করে না। ব্রাজিল এক্ষেত্রে প্রথম দেশ। আমরা গিনিপিগ হতে চাই না। ব্রাজিলে গমের মোট অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের ৬০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। আর আমদানীকৃত গমের ৮০ শতাংশই আসে আর্জেন্টিনা থেকে। এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়া থেকে নন-জিএমও গম আমদানি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গম উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটছিল আর্জেন্টিনার কৃষকদের। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত আশার সঞ্চার করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খাদ্যশস্যটির...
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গম উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটছিল আর্জেন্টিনার কৃষকদের। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত আশার সঞ্চার করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খাদ্যশস্যটির...
চলমান খরার প্রভাবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর খাদ্যশস্য উৎপাদন খাত বিপর্যস্ত। তবে ধীরে ধীরে খরার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে আর্জেন্টিনা। ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদন করবে...
বিশ্বের প্রধান গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ আর্জেন্টিনা ৩০ দিনের জন্য প্রাণীর মাংস বিদেশে বিক্রি স্থগিত করেছে। দেশের বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে...
শ্রমিক ধর্মঘটের মুখে আর্জেন্টিনার শস্য রফতানি খাত বাধার সম্মুখীন হয়েছে। ধর্মঘটের পর থেকে কমতে শুরু করেছে রফতানির পরিমাণ। বন্দর ও মেরিটাইম অ্যাক্টিভিটিস চেম্বারের প্রধান জানান, বন্দরের...
প্রতিকূল আবহাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আর্জেন্টিনা থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টা রফতানিতে মন্দা ভাব দেখা গেছে। এ ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরে দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটি রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৩০ লাখ টন কমে গেছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার। ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় আর্জেন্টিনার অবস্থান পঞ্চম। তবে কৃষিপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটি তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে আর্জেন্টিনা থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪০ লাখ টন ভুট্টা রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনা থেকে মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ভুট্টা রফতানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আর্জেন্টিনা থেকে কৃষিপণ্যটি রফতানি কমেছে ৩০ লাখ টন। এর মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার ভুট্টা রফতানিতে টানা দুই বছর ধরে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টন ভুট্টা রফতানির রেকর্ড হয়েছিল। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, খরা পরিস্থিতির কারণে বিদায়ী বছরে আর্জেন্টিনায় ভুট্টা উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ কমে পাঁচ কোটি টনের নিচে নেমে এসেছে। করোনা মহামারীর পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে কৃষিপণ্যটি রফতানিতে।
বিশ্বজুড়ে মানুষ অপেক্ষায় আছে একটি সুখবরের জন্য, আর সেটি হচ্ছে কবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আসবে। মাস যত গড়াচ্ছে মানুষের অপেক্ষার সঙ্গে অস্থিরতাও তত বাড়ছে। গত বছরের...
মধ্য আর্জেন্টিনার বিস্ময়কর প্রাণী পিংক ফেইরি আরমাডিলো। স্প্যানিশ ভাষায় এদের নাম পিচিসিয়েগো, অর্থাৎ ‘বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী’। সাধারণত বালিয়াড়ি এলাকা বা মরুভূমি অঞ্চলেই এদের বেশি দেখা...
সর্বশেষ মন্তব্য