আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ায় দুধ উৎপাদনের পরিমাণ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ডেইরি অস্ট্রেলিয়ার প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্যতীত দেশটির সব অঞ্চলে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। খবর ফার্ম অনলাইন ন্যাশনাল। সবেচেয়ে বেশি উৎপাদন কমেছে দেশটির তাসমানিয়া ও গিপসল্যান্ড অঞ্চলে। অঞ্চল দুটিতে যথাক্রমে দুধ উৎপাদন হ্রাসের হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ডেইরি অস্ট্রেলিয়া ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইট অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের ব্যবস্থাপক জন ড্রপার্ট জানান, উৎপাদন হ্রাসের এ চিত্র অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আর্দ্র আবহাওয়ার ফলে খামারগুলোর পশুচারণ এলাকাগুলো যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। তিনি আরো বলেন, আমরা এখন গরুর সংখ্যা নিয়েও বেশ কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করছি। কারণ বর্তমানে গরুর মাংসের উচ্চমূল্য এ অবস্থা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যশস্য উৎপাদন নতুন উচ্চতায় বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় নিউ সাউথ ওয়েলস ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যশস্য আবাদি অঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হবে...
খরার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যশস্য খাত। চলতি বছর দেশটির খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। প্রতিষ্ঠানটির ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইউএসডিএ জানায়, টানা দুই বছর ভয়াবহ খরার কারণে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত বিপর্যস্ত ছিল। তবে চলতি বছর খরার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গমের উচ্চফলন দেখা দেবে। চলতি বছর দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ২ কোটি ৯৫ লাখ গম উৎপাদিত হবে। এটি গত ১০ বছরের গড় উৎপাদনের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। তবে গবাদি পশু খাদ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহার হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম ব্যবহার পাঁচ লাখ টন কমে ৭৫ লাখ টনে নেমে আসবে। ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম রফতানি ১৫ লাখ টন কমে ২ কোটি ১৫ লাখ টনে নেমে আসবে। এর আগের বছর দেশটি রেকর্ড সর্বোচ্চ গম রফতানি করেছিল। ইউএসডিএ আরো জানায়, এ মৌসুমে দেশটি দুই লাখ টন গম আমদানি করবে। এদিকে টানা দুই বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেশটির গমের মজুদও ঊর্ধ্বমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষিপণ্যটির মজুদ ২০ লাখ থেকে বেড়ে ৬৬ লাখ টনে উন্নীত হবে। অন্যদিকে যথাযথ বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার যব উৎপাদন ২৬ লাখ টন কমে ১ কোটি ৫০ লাখ টনে নেমে আসবে। দেশটিতে যব আবাদ কমে ৪৪-৪২ লাখ হেক্টর জমিতে নেমে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ান যবের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশ যব আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করায় আবাদের পরিমাণ হ্রাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কৃষকরা। শুল্ক বৃদ্ধির আগে অস্ট্রেলিয়া উৎপাদিত দুই-তৃতীয়াংশ যবই চীনে রফতানি করত। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে দেশটির যব রফতানি ৫০ লাখ টন থেকে ৩০ লাখ টনে নেমে আসবে। কৃষিপণ্যটির মজুদও থাকবে নিম্নমুখী। ২০২১-২২ মৌসুমে যবের মজুদ কমে ১৭ লাখ টনে নেমে আসবে। তবে যবের ব্যবহার ৫৫ লাখ টনেই স্থিতিশীল থাকবে। এদিকে আবহাওয়া জোয়ার (এক ধরনের শস্য) চাষের অনুকূলে থাকায় পণ্যটির উৎপাদন বাড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ১৬ লাখ টন যব উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এদিকে গম ও যবের ব্যবহার কমলেও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে জোয়ারের চাহিদা বাড়ায় কৃষিপণ্যটির ব্যবহারও থাকবে চাঙ্গা।
ভয়াবহ খরায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। খরার প্রভাব কাটিয়ে উঠলেও দেশটির শস্য খাত এখনো প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারেনি। ফলে ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে...
চলতি বছর আর্জেন্টিনায় গম রোপণ কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে যবের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে কিছু কৃষক ফসল পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি বাজারে সরকারের...
বাম্পার ফলন হওয়ায় গত ফসলি মৌসুমটা বেশ ভালো গেছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। তবে আসন্ন মৌসুমে হয়তো এর উল্টো অভিজ্ঞতা পেতে হবে দেশটিকে। উত্পদিত পণ্যের দাম পড়তির দিকে থাকায় এবং ফসল ও প্রাণিজ উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ার আশঙ্কায় আগামী মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাতের জন্য কিছুটা নেতিবাচক পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ। অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রিসোর্স ইকোনমিকসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ মৌসুমে দেশটির কৃষিজ উৎপাদনের মূল্যমান ৪ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩৩০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারে (৪৪ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার) নেমে আসতে পারে। গত মৌসুমে কভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের মধ্যেও এ খাতের পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল। এ সময়ে দেশটির কৃষি খাতের প্রডাকশন ভ্যালু আগের মৌসুমের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৬০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারে দাঁড়ায়। আর এ সাফল্যের নেপথ্যে ছিল পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত। আগের মৌসুমের চেয়ে এবার কিছুটা কম হলেও আগামী পাঁচ বছর অস্ট্রেলিয়ার কৃষিজ উৎপাদন ৬ হাজার কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের নিচে নামবে না বলে আশা করছে দেশটির সরকার। তবে এ সময়ে দেশটিকে বেশকিছু চাপ সামলাতে হবে। যেমন চীনের শূকরের খামারগুলোর কার্যক্রম পুনরায় গতি পেতে শুরু করায় অস্ট্রেলিয়ার রেড মিটের বাজার কিছুটা মূল্যচাপে থাকবে। এছাড়া জলবায়ুর অস্বাভাবিক আচরণও বিপাকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশটির কৃষি খাতের জন্য। এদিকে তুলা, পশম ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার কৃষিজ পণ্য রফতানি ৬ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এ পূর্বাভাস সত্য হলে চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখবে খাতটি।
চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বছরব্যাপী মহামারীতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত। তবে গমের বাম্পার ফলনে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের আশা করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে তিন কোটি টনেরও বেশি গম উৎপাদন করতে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। খবর ব্লুমবার্গ। গমের বাম্পার ফলন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর বড় আকারের চাহিদায় ভর করে রেকর্ড গম রফতানি করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নভিত্তিক থমাস এল্ডার মার্কেটসের কৃষি বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু হোয়াইটলো মনে করেন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সর্বোচ্চ গম রফতানি হতে পারে। হোয়াইটলো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গমের যে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে আমরা তা পূরণ করতে পারছি না। শুধু ভালো গমই নয়, কিছুটা দুর্বল মানের গমেরও বাজার আছে সেখানে। এছাড়া উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও অস্ট্রেলিয়ার গমের ভালো চাহিদা রয়েছে। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই রুটি, পাস্তা, কেক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রধান খাদ্য বানাতে গম ব্যবহূত হচ্ছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার গম খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে চীনের মুখ ফিরিয়ে নেয়া। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন গত নভেম্বরে মাত্র ৮৮৮ টন গম আমদানি করেছে, যা অস্ট্রেলিয়া থেকে ২০১১-পরবর্তী চীনের সর্বনিম্ন আমদানি। গমের বাম্পার ফলন হলেও চীনের বাজারে সুযোগ সংকোচনে কৃষকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। এক্ষেত্রে হয়তো অন্য বাজারগুলোর দিকে মনোযোগ বাড়াবে অস্ট্রেলিয়া।
ইসলামিক মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া নামের এ জাদুঘরটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত। দেশটিতে আগত দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতহাস, জীবন-যাত্রা ও মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে গড়ে তোলা...
পৃথিবীতে অসংখ্য বিপজ্জনক প্রাণী রয়েছে। এসব প্রাণীর মধ্য থেকে কিছু প্রাণীর ছবি থাকছে এবারের অ্যালবামে।
সর্বশেষ মন্তব্য