চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু ও ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪ জনে। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ...
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৬৭ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। দ্য সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারত ৫ লাখ ২৯ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি করেছিল। গত বছরের ২ নভেম্বর অপরিশোধিত পাম অয়েল (সিপিও) রফতানি শুল্ক ৩৭ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভারতে পাম অয়েলের প্রধান সরবরাহকারী হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। এসইএর উপাত্তে দেখা গেছে, গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে সিপিও এসেছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার টন। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার টন। গত মাসে ভারতের মোট ভেজিটেবল অয়েল আমদানি ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ১০ লাখ ৯৬ হাজার টনে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল ছিল ১০ লাখ ৭৪ হাজার ও অভোজ্যতেল ২২ হাজার ৩৪ টন। নভেম্বর ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১—তিন মাসে ভারতের মোট ভেজিটেবল অয়েল আমদানি হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার টন, যা গত বছরের একই সময়ের ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টন থেকে ৩ শতাংশ বেশি। গত মাসে সয়াবিন তেল আমদানি লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে। এবার যেখানে ৮৮ হাজার ৬৬৭ টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে সেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার টন। আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় গত মাসে রেকর্ড সর্বনিম্ন সয়াবিন তেল আমদানি হলো। গত নভেম্বরে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট ব্যাপকভাবে তাদের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ১ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতের বিভিন্ন বন্দরে ভোজ্যতেলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার টনে। এর মধ্যে পাম অয়েল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ও সয়াবিন তেল ১ লাখ ১৮ হাজার টন।
গত জানুয়ারিতে টানা আট মাসের মতো বৈশ্বিক খাদ্যমূল্যের দাম বেড়েছে। শস্য, চিনি, ভেজিটেবল অয়েলের দাম বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যসূচক ২০১৪ সালের জুলাই-পরবর্তী সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘভিত্তিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স। এফএও বলছে, শস্য, তেলবীজ, ডেইরি পণ্য, মাংস ও চিনির দাম বৃদ্ধির ওপর দাঁড়িয়ে খাদ্য মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১১৩ দশমিক ৩ পয়েন্ট। গত ডিসেম্বরে এই সূচক ছিল ১০৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট। রোমভিত্তিক এফএও এক বিবৃতিতে আরো জানায়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদনের বার্ষিক রেকর্ড হতে যাচ্ছে। তবে চীনের কাছ থেকে বড় আকারের আমদানিতে শেয়ারদরে পতন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভুট্টার বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধিতে জানুয়ারিতে এফএওর শস্য মূল্যসূচক মাসওয়ারি বেড়েছে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা উৎপাদন হ্রাস এবং চীনের আমদানি বৃদ্ধিতে ভুট্টার দাম ১১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। রাশিয়ার রফতানি কমাতে গমের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। চিনির দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। নববর্ষের ছুটি সামনে রেখে চীনের আমদানি বৃদ্ধিতে ডেইরি পণ্যের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বৈশ্বিক পণ্যবাজারে গত বছর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল করোনা মহামারী। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণে গভীর সংকটে পড়েছে পণ্য বাণিজ্য। মন্দার ঝুঁকিতে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। এমন সংকটকালীন মানুষের উদ্বেগ বাড়াতে বছরজুড়ে চাঙ্গা ছিল খাবারের দাম। এ ধারাবাহিকতায় পরপর দুই বছর তুলনামূলক কম থাকার পর ২০২০ সালে বাড়তি দামে খাবার কিনেছে বিশ্ববাসী। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্য মূল্যসূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে। সূচকে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ছিল ৯৭ দশমিক ৯ পয়েন্টে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে এই সূচক মান ছিল ৯৫ পয়েন্টে। আর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ছিল যথাক্রমে ৯৮ পয়েন্ট ও ৯৫ দশমিক ৯ পয়েন্টে। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই বছরের মন্দা ভাব কাটিয়ে ২০২০ সালে ঘুরে দাঁড়িয়েছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক। করোনা মহামারীর জের ধরে বিদায়ী বছরে বিশ্বজুড়ে শস্য, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেড়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে শস্যের বাজার। তবে আমিষ ও দুগ্ধপণ্যের দাম আগের বছরের তুলনায় কমে এসেছে। ২০২০ সালের শুরুটাই হয়েছিল বাড়তি দামে খাবার কেনার মধ্য দিয়ে। জানুয়ারিতে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল ১০২ দশমিক ৫ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্টে নামে। মার্চ ও এপ্রিলে এ সূচক মান ছিল যথাক্রমে ৯৫ দশমিক ১ পয়েন্ট ও ৯২ দশমিক ৪ পয়েন্ট। মে মাসে তা আরো কমে ৯১ পয়েন্টে নেমে আসে। ২০২০ সালে এটাই ছিল খাদ্যপণ্যের সর্বনিম্ন বৈশ্বিক সূচক। জুন থেকে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ওই মাসে এ সূচক মান ছিল ৯৩ দশমিক ১ পয়েন্টে। জুলাই ও আগস্টে তা বেড়ে যথাক্রমে ৯৪ পয়েন্ট ও ৯৫ দশমিক ৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়। সেপ্টেম্বরে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭ দশমিক ৯ পয়েন্টে। অক্টোবর ও নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আরো চাঙ্গা হয়ে যথাক্রমে ১০১ দশমিক ২ পয়েন্ট ও ১০৫ দশমিক ২ পয়েন্টে উন্নীত হয়। গত ডিসেম্বরে ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১২৭ দশমিক ৬ পয়েন্টে উঠেছে, যা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে এ সূচক মান তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়ে ৯৯ দশমিক ১ পয়েন্টে উঠেছে। করোনাকালে সয়াবিন তেল, পাম অয়েলের সরবরাহ কমে দাম বেড়েছে।
জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা...
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। কোটি কোটি ব্যবহারকারী স্মার্টফোন, ট্যাবে এটি ব্যবহার করেন। এটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সমর্থন করে। হোয়াটসঅ্যাপ পছন্দ না...
সর্বশেষ মন্তব্য