দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছে। সে কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। [৩] জমি প্রস্তুত করতে...
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মায় জেলে ওয়ালিউরের জালে ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে চকরাজাপুর এলাকার পদ্মা নদীতে পাওয়া মাছটি...
আগামী বছরগুলোয় গমের আটার বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারিত হবে এবং অর্গানিক আটার চাহিদা বাড়বে। কভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক প্রধান খাদ্যশস্যে কেমন প্রভাব পড়বে, এ নিয়ে রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘হুইট ফ্লাওয়ার মার্কেট ফোরকাস্ট টু ২০২৭-কভিড ১৯ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড গ্লোভাল অ্যানালাইসিস বাই প্রডাক্ট টাইপ; অ্যাপ্লিকেশন; এন্ড ইউজার; ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল, অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক আটার বাজার ছিল ১৮ হাজার ১৩৭ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ২০২৭ সালে এ বাজার দাঁড়াবে ২১ হাজার ৯৯৯ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারে। ২০২০-২৭ সালে আটা উৎপাদন ২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং দ্রুত ও সহজলভ্য খাবারের চাহিদা বৃদ্ধিতে গত কয়েক বছরে আটার বাজার বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। বেকারি পণ্য, স্ন্যাকস, নুডলস ও পাস্তার মতো পণ্যের জন্যও আটার বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। গমে প্রাকৃতিকভাবেই গ্লাটেন উপাদান সর্বোচ্চ আকারে থাকে, যা বেকড গুডস বানাতে সহায়তা করে। বিভিন্ন প্রজাতির গমে বিভিন্ন পরিমাণে গ্লাটেন থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ, স্থূলতা ঠেকানো এবং রক্তে চিনির মান নিয়ন্ত্রণে আটার ভূমিকা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। এছাড়া আটায় উচ্চপুষ্টিকর আঁশ রয়েছে, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিশেষ করে এতে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই রয়েছে। এস্ট্রোজেনের মেটাবলিক হার চাঙ্গা করার মাধ্যমে আটা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। পুষ্টি চাহিদা পূরণ, ত্বকের সুরক্ষা এবং শরীরের সার্বিক কার্যক্রম বজায় রাখতে আটা ভূমিকা রাখে। এছাড়া ডায়বেটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের কারণে মানুষের মধ্যে জীবনযাপন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আটার বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ আটা উৎপাদন হতে পারে। প্রাত্যহিক প্রায় সব খাবারের মধ্যে আটা-ময়দার উপস্থিতির কারণে বর্তমানেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় আটার বাজার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। বিশ্বের শীর্ষ গম উৎপাদক দেশ চীন ও ভারত। ২০১৯ সালে বিশ্বের শীর্ষ গম উৎপাদক দেশ ছিল চীন এবং ২০২০-২৭ মৌসুমেও নেতৃত্বে থাকবে বিশ্বের বৃহত্তম এ বাজার। অস্ট্রেলিয়া, চীন ও ভারতের মানুষের ক্রমবর্ধমান ব্যস্ত জীবনের কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের স্ন্যাকস, নুডলস, পাস্তার মতো খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এসব খাদ্যের প্রধান উপকরণ আটা-ময়দা। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কনভেনিয়েন্স ফুডের চাহিদা বৃদ্ধিতে আটার বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া রিটেইল আউটলেট, সুপারমার্কেটগুলোও কনভেনিয়েন্স ফুড সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে। নগরায়ন বৃদ্ধিতে আধুনিক খাবারদাবারে কনভেনিয়েন্স ফুডের চাহিদা বেড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেয়া লকডাউন, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের কারণে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হওয়ার কারণে আটা উৎপাদকরা বড় আকারের লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। মহামারীর কারণে বিভিন্ন বড় বড় অনুষ্ঠান বাতিল, অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় খাদ্য ও পানীয় শিল্পের সাপ্লাই চেইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নতুন বছরটি উচ্চ চা উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু হলেও রফতানি তুলনামূলক কম ছিল। তবে রফতানিতে বেশ ভালো দাম পেয়েছেন শ্রীলংকার চা রফতানিকারকরা। খবর ডেইলি এফটি। গত জানুয়ারিতে শ্রীলংকার চা উৎপাদন ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ কেজিতে। এর আগের বছরের একই মাসে দেশটির চা উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ১৯ লাখ কেজি। এদিকে শ্রীলংকার শুল্ক বিভাগের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এশিয়া সিয়াকা রিসার্চ বলছে, গত জানুয়ারিতে চা রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের ২ কোটি ২০ লাখ কেজি থেকে ৬ শতাংশ কমে ২ কোটি ৮০ হাজার কেজিতে দাঁড়িয়েছে। তবে রফতানি কমলেও আয় ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯২০ কোটি শ্রীলংকা রুপি বা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চা রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি রুপি বা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের। গত মাসে শ্রীলংকার চায়ের সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ছিল তুরস্ক, যারা ৩৮ লাখ কেজি আমদানি করেছে। ২৪ লাখ কেজি আমদানি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চা আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ইরাক (১৭ লাখ কেজি), চীন (১৫ লাখ কেজি), সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই (১১ লাখ কেজি) ও আজারবাইজান (৯ লাখ ১৯ হাজার ১৮৪ কেজি)। গত মাসে ইরান, সৌদি আরব ও লিবিয়ার চা আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া এতে প্রভাব রেখেছে।
২০২০-২১ মৌসুমে ভারতে ক্যাস্টরবীজ উৎপাদন হতে পারে ১৯ লাখ ২ হাজার টন। গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার টন। দেশটির কৃষি জরিপ প্রতিষ্ঠান এগ্রিওয়াচ জানায়, চলতি বছর মোট জমির পরিমাণ ১৫ শতাংশ কমলেও তা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে গত বছরের কাছাকাছি থাকবে। এগ্রিওয়াচের তথ্যমতে ভারতে এবার আনুমানিক ৮ লাখ ২৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ক্যাস্টরবীজ বপন করা হয়েছে। খবর হিন্দু বিজনেস লাইন। চলতি মৌসুমে অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৫৮৯ কেজি, যা গত বছর ছিল ৫৯৩ কেজি। রাজস্থানে ক্যাস্টর উৎপাদনের জন্য ১৯ শতাংশ জমি কমলেও উৎপাদন লক্ষ্য প্রতি হেক্টরে ১৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮৭৬ কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। জরিপ অনুসারে রাজস্থানের ক্যাস্টর উৎপাদন ৪ শতাংশ কমে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টন হবে। গুজরাটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার টন। গকুল অ্যাগ্রো রিসোর্সের কর্মকর্তা দিপক থাক্কার বলেন, রিপোর্ট অনুসারে আমরা বলতে পারি, এ বছর ১৫-১৬ লাখ টন শস্য উৎপাদন হতে পারে। একই ধরনের মতামত দিয়ে থাই ক্যাস্টর অয়েল ইন্ডাস্ট্রি জানায়, গত বছরের চেয়ে এবার ১০ শতাংশ শস্য কম উৎপাদন হবে।ক্যাস্টরবীজভারত
মালয়েশিয়া থেকে গত মাসে পাঁচ লাখ টনেরও বেশি পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত। একই সময়ে দেশটির মোট ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার টন। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি শিল্পসংশ্লিষ্ট গ্রুপ বলছে, গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৩৭ টন অপরিশোধিত পাম অয়েল (সিপিও) আমদানি করেছে ভারত। এছাড়া অপরিশোধিত পাম কার্নেল অয়েল ও আরবিডি পাম অয়েল আমদানি হয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ২০৪ ও ২ হাজার ৭০১ টন। গত বছরের ডিসেম্বরে মোট ভোজ্যতেল আমদানির ৫৮ শতাংশ ছিল পাম অয়েল। সয়াবিন তেল আমদানি কমাতে গত দুই মাসেই পাম অয়েল আমদানি বেড়েছে। মালয়েশিয়া থেকে ভারতের সিপিও আমদানি ডিসেম্বরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন। অবশ্য ভারতের মোট ভোজ্যতেল আমদানি গত ডিসেম্বরের ১৩ লাখ ২০ হাজার টনের তুলনায় গত মাসে ১০ লাখ ৭০ হাজার টনে নেমে এসেছে।
যশোরে এবার শর্ষের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় শর্ষের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকও খুশি।...
দেশের কৃষিখাতকে উন্নত ও বেগবান করার লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে খামার যান্ত্রিকীকরণে শুরু হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। এরই অংশ...
চলনবিলের ক্ষিরার হাট জমে উঠেছে। এখন দিঘরিয়া ও চরবন্ধনগাছা ক্ষিরার আড়ৎগুলোতে পাইকার-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে শত শত টন ক্ষিরা।...
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল নিধিকুন্ড গ্রাম। জেলা শহর থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। এখানেই ওমর ফারুকের ৫ বছর বয়সী মনোমুগ্ধকর চায়না...
সর্বশেষ মন্তব্য