আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ইসলাম

সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ার নির্দেশ ও প্রয়োজনীয়তা

সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ার নির্দেশ ও প্রয়োজনীয়তা

নামাজের সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ ও গুনাহের কাজ। নামাজের সামনে দিয়ে হাঁটার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায় হচ্ছে সুতরাহ ব্যবহার করা। নামাজে অংশগ্রহণকারী ইমাম-মুক্তাদির জন্য সুতরাহ রেখে নামাজ পড়া জরুরি। কেননা সুতরাহ ছাড়া নামাজের সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া, চলাফেরা করাকে ইসলাম নিষিদ্ধ ও গুনাহের কাজ বলে ঘোষণা করেছে। নামাজে সুতরাহ ব্যবহার সম্পর্কে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। সুতরাং সম্পর্কে মানুষের রয়েছে অনেক জিজ্ঞাসা। সেগুলো কী?

সুতরাহ কী?

সুতরাহ শব্দটি আরবি। এর অর্থ হলো আড়াল। অর্থাৎ নামাজের সময় ব্যবহৃত একটি বস্তু। নামাজ পড়াকালীন সময়ে ইমাম কিংবা একা একা নামাজ পড়া ব্যক্তির সামনে রাখা হয়। যাতে তাদের সামনে দিয়ে হাঁটা চলায় নামাজি ব্যক্তি আড়াল করা হয়।

সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ার নির্দেশ

নামাজির সামনে দিয়ে কেউ চলাফেরা করতে পারে, এমন সম্ভাবনা থাকলে সামনে সুতরাহ রেখে নামাজ পড়া ওয়াজিব। তা হতে পারে সফরে, বাড়িতে, মসজিদে একাকি কিংবা ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায়ে। সর্বাবস্থায় সুতরাহ ব্যবহার করা জরুরি। হাদিসে এসেছে-

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সুতরাহ ছাড়া নামাজ পড়ো না।’ (ইবনে খুজাইমাহ)

২. অন্য হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি সক্ষম হয় যে, তার ও কেবলার মাঝে কেউ যেন না আসে; তাহলে সে যেন তা করে (সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ে)।’ (মুসনাদে আহমাদ, দারাকুতনি, তাবারানি)

৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজ পড়বে, তখন সে যেন সামনে সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ে।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, মুসতাদরাকে হাকেম)

হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সুতরাহ রেখে নামাজ না পড়া গুনাহের কাজ। ইবনে হাজার আসকালানি ফাতহুল বারিতে উল্লেখ করেন, সুতরাহ না থাকা অবস্থায় কোনো নামাজির সামনে দিয়ে কেউ পার হয়ে গেলে তার নামাজের সাওয়াব কম হয়ে যায়।’

সুতরাহ ধরন কেমন হবে?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিভিন্ন ধরনের সুতরাহ প্রমাণিত। যেমন-

১. কখনো তিনি মসজিদের থাম সামনে করে নামাজ পড়তেন।

২.  ফাঁকা ময়দানে নামাজ পড়লে এবং আড়াল করার জন্য কিছু না পেলে সামনে বর্শা গেড়ে নিতেন। আর লোকেরা তাঁর পেছনে বিনা সুতরায় নামাজ পড়তো।’ (বুখারি)

৩. কখনো বা নিজের বাহন উট আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে তাকে সুতরাহ বানিয়ে নামাজ পড়তেন। (বুখারি, মুসনাদে আহমাদ)

৪. কখনো জিনপোশ (উটের পিঠে বসবার আসন) কে সামনে রেখে তার কাষ্ঠাংশের সোজাসুজি নামাজ পড়তেন। (বুখারি, মুসলিম, ইবনে খুজাইমাহ, মুসনাদে আহামদ)

৫. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলতেন, ‘তোমাদের কেউ যখন তার সামনে জিনপোশের শেষে সংযুক্ত কাঠখণ্ডের মতো কিছু রেখে নেয়, তখন তার উচিত, (তার পশ্চাতে) নামাজ পড়া এবং এরপর তার সামনে দিয়ে কেউ পার হলে কোনো পরোয়া না করা।’ (মুসলিম, আবু দাউদ)

৬. একবার তিনি একটি গাছকে সুতরাহ বানিয়ে নামাজ পড়েছেন।’ (নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ)

৭. কখনো তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার খাটকে সামনে রেখে নামাজ পড়েছেন। ওই সময় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার উপর চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে থাকতেন। (বুখারি, মুসলিম)

সুতরাহ কত দূরে রাখতে হবে?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামাজ পড়বে, তখন সে যেন সামনে সুতরাহ রেখে নামাজ পড়ে এবং তার নিকটবর্তী হয়। যাতে শয়তান যেন তার নামাজকে নষ্ট করে না দিতে পারে।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, মুস্তাদরাকে হাকেম)

কিন্তু এ সুতরাহ কতটুকু দূরত্বে দিতে হবে?

সুতরাহ কমপক্ষে তিন হাত বা এর কম দূরত্বে সামনে রেখে নামাজ পড়তে হবে। এর উচ্চতা কমপক্ষে এক হাত হতে হবে। আর পাশে যে কোনো পরিমাণ হতে পারে। হাদিসে পাকে এসেছে-

১. একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরিফের ভেতরে নামাজ পড়লে তাঁর ও দেয়ালের মাঝে ৩ হাত ব্যবধান ছিল।’ (বুখারি, মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)

২. তাঁর মুসাল্লা (সেজদার জায়গা) ও দেয়ালের (সুতরাহর) মাঝে একটি ছাগল (অথবা ভেঁড়া) পার হয়ে যাওয়ার মতো (প্রায় আধাহাত) ফাঁক বা দূরত্ব থাকতো।’ (বুখারি, মুসলিম)

ইমামের সুতরাহই কি মুক্তাদির জন্য যথেষ্ট?

ইমামের সামনে সুতরাহ থাকলে মুক্তাদির জন্য আলাদা সুতরার দরকার হয় না। ইমামের সুতরাহ মুক্তাদির জন্য যথেষ্ট। হাদিসে এসেছে-

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিন নামাজ পড়তে বের হলে তাঁর সামনে বর্শা গাড়া হতো। তিনি তা সুতরাহ বানিয়ে নামাজ পড়তেন এবং লোকেরা তাঁর পেছনে (বিনা সুতরায়) নামাজ পড়তো।’ (বুখারি, মুসলিম)

২. একবার তিনি বাত্বহায় নামাজ পড়লেন। তাঁর সামনে (সুতরাহ) ছিল ছোট একটি বর্শা। তাঁর সামনে দিয়ে নারী ও গাধা পার হয়ে যাচ্ছিল।’ (বুখারি, মুসলিম)

৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের সময় মিনায় নামাজ পড়ছিলেন। তখন হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি গাধীর পিঠে চড়ে কিছু কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সামনে এসে নামলেন। এরপর গাধীটি চরতে ছেড়ে দিয়ে কাতারে শামিল হলেন। তা দেখে কেউ তাঁর প্রতিবাদ করেনি।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

সুতরাহ ছাড়া নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়া হারাম

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে নামাজির সামনে বেয়ে পার হয়, সে যদি জানত যে, এতে তার কত পাপ হবে; তাহলে সে ৪০ (বছর বা মাস বা দিন নামাজির সালাম ফেরার) অপেক্ষা করাকে ভালো মনে করতো, তবুও নামাজির সামনে বেয়ে অতিক্রম করতো না।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

তবে মাজমূ ফাতাওয়া ইবনে বায রাহিমাহুল্রাহ বলেন, নামাজির সামনে সুতরা থাকলে পার হওয়া হারাম বা গুনাহের কাজ নয়। সুতরাহ না থাকলেও যদি বরাবর নামাজির প্রায় ৩ হাত দূর থেকে পার হয়, তাহলেও গুনাহ হবে না।’

কেউ সামনে দিয়ে গেলে নামাজির কর্তব্য

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ সামনে সুতরাহ রেখে নামাজ পড়লে এবং কেউ তার সেই সুতরার ভেতর দিয়ে পার হতে চাইলে সে যেন তার বুকে ঠেলে পার হতে বাধা দেয় এবং যথাসম্ভব রুখতে চেষ্টা করে।’

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তাকে যেন দুই দুই বার বাধা দেয়া হয়। এরপরও যদি সে মানতে না চায় (এবং সেই দিকে পার হতেই চায়) তবে সে যেন তার সঙ্গে লড়াই করে। কারণ, (বাধাদান সত্ত্বেও যে বাধা মানে না) সে তো শয়তান।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে খুজাইমাহ, মিশকাত)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সুতরাহ ছাড়া নামাজ পড়ো না। কাউকে তোমার সামনে বেয়ে পার হতেও দিও না। (সুতরার ভেতর বেয়ে যেতে) সে যদি বাধা না মানে, তবে তার সঙ্গে লড়াই কর। কারণ, তার সঙ্গে শয়তান আছে।’ (ইবনে খুজাইমাহ)

 প্রসঙ্গে একটি ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু জুমআর দিন একটি থামকে (পিলার) সুতরাহ করে নামাজ পড়ছিলেন। এমন সময় বনি উমাইয়া গোত্রের এক ব্যক্তি তাঁর ও থামের মাঝ দিয়ে বেয়ে পার হতে গেলে তিনি তাকে বাধা দেন। কিন্তু লোকটি পুনরায় পার হওয়ার চেষ্টা করে। তিনি তার বুকে এক থাপ্পড় দেন। লোকটি মদিনার গভর্নর মারওয়ানের কাছে তাঁর (আবু সাঈদ খুদরির) বিরুদ্ধে নালিশ জানায়।

মারওয়ান হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, ‘আপনি আপনার ভাইয়ের ছেলেকে মেরেছেন কী কারণে?’

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কিছুকে সুতরাহ বানিয়ে নামাজ পড়ে, এরপর কেউ যদি তার সেই সুতরার ভেতর দিয়ে পার হতে চায়, তবে সে যেন তাকে বাধা দেয়। এতেও যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সঙ্গে লড়াই করে। কারণ, সে তো শয়তান।’ সুতরাং আমি তো শয়তানকেই মেরেছি!’ (ইবনে খুজাইমাহ)

পশু পার হতে চাইলে

শুধু মানুষই নয়, যদি সুতরাহ ও নামাজির মধ্যে দিয়ে কোনো পশুও বেয়ে পার হতে উদ্যত হয় তবে পশুকেও বাধা দেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ পড়ছিলেন। এমন সময় একটি ছাগল (বা ভেঁড়া) তাঁর সামনে দিয়ে ছুটে পার হতে উদ্যত হয়। কিন্তু তিনি তার আগেই তাকে ধরে ফেললেন। এমনকি তার পেটকে দেয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে দিলেন। এরপর ছাগলটি (বা ভেঁড়া) তাঁর পেছন দিক থেকে পার হয়ে গেল।’ (আবু দাউদ, ইবনে খুজাইমা, মুস্তাদরাকে হাকেম)

বিনা সুতরায় কি নামাজ বাতিল হবে?

সুতরাহ রেখে নামাজ পড়া আবশ্যক। তাই সুতরাহ রেখে নামাজ পড়লে এবং তার পেছন দিয়ে কেউ কেউ পার হয়ে গেলে নামাজির নামাজে কোনো ক্ষতি হয় না। (বুখারি, মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘(সুতরাহ না থাকলে) প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে, গাধা ও কালো কুকুর নামাজ নষ্ট করে ফেলে।’ হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! হলুদ ও লাল না হয়ে কালো কুকুরেই নামাজ নষ্ট করে; তার কারণ কি?’ তিনি বললেন, ‘কারণ, কালো কুকুর শয়তান।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে খুজাইমাহ)

নাবালিকা মেয়ে অতিক্রম করলে নামাজ নষ্ট হয় না। এক দিন বনি আব্দুল মুত্তালিবের দুটি ছোট্ট মেয়ে মারামারি করতে করতে তাঁর সামনে এসে তাঁর হাঁটু ধরে ফেলল। তিনি উভয়কে দু’দিকে সরিয়ে দিলেন। আর এতে তিনি নামাজ ভাঙলেন না।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ)

সুতরার ভেতর দিয়েও কোনো পুরুষ, শিশু বা পশু পার হয়ে গেলে নামাজির মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে ঠিকই, তবে নামাজ একেবারে নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু বিনা সুতরায় নামাজ পড়লে এবং সামনে দিয়ে প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে, গাধা বা মিশমিশে কালো কুকুর পার হয়ে গেলে নামাজ বাতিল হয়ে যায়।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঘরে, সফরে, মসজিদে যেখানেই নামাজ পড়বে; সেখানে সুতরাহ রেখে নামাজ পড়বে। কেননা সুতরাহ রেখে নামাজ পড়া ওয়াজিব। তাই নামাজের ক্ষেত্রে সুতরাহ রেখে নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়াও আবশ্যক। আবার নামাজের সামনে দিয়ে যেতে হলে সুতরাহ আছে কিনা তা দেখে যাওয়া। সুতরাহ না থাকলে প্রয়োজনে সুতরাহ দিয়ে তারপর অতিক্রম করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ শুরু করার আগে সুতরাহ ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলাম

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১৭ নভেম্ব

দেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরি সালের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে রবিবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা করা হবে।

সেই হিসেবে দেশে আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি (১৭ নভেম্বর, বুধবার) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।

শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান। 

সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় চাঁদ দেখা কমিটি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ইসলাম

নামাজের রাকাতসংখ্যায় সন্দেহ হলে কী করবেন?

নামাজে থাকাকালীন কারও মনে সংশয় জাগে কত রাকাত হলো, রাকাত ভুলে ছুটে যায়নি তো? কিংবা নামাজের পরেও সন্দেহ জাগতে পারে রাকাত পূর্ণ হয়েছে নাকি হয়নি। নামাজের রাকাতসংখ্যায় সন্দেহ হলে কী করবেন- সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা:

নামাজ পড়ার সময়ে রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে এবং এই সন্দেহ প্রথমবারের মতো হলে ওই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় পড়া আবশ্যক। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)

নামাজের সালাম ফেরানোর পর যদি রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়, তবে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮)

কারও যদি নামাজের পর দৃঢ়বিশ্বাস হয় যে কিছু রাকাত পড়া হয়নি এবং যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ না হয়ে থাকে, তাহলে ছুটে যাওয়া রাকাত পড়ে নেবে। যদি নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ হয়ে যায়, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়বে। (ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৪)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে যেদিকে তার মন বেশি যায়, সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তবে কমটির ওপর আমল করবে এবং প্রতি রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে এবং শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৮৮)

তিন রাকাত পড়া হয়েছে নাকি চার রাকাত- সে ব্যাপারে সন্দেহ হলে তিন রাকাত মনে করে চতুর্থ রাকাত পড়বে। এরপর শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৬৭৭)

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ইসলাম

আজান শোনার পর প্রিয় নবি (সা.)-এর সুন্নাত কী?

প্রিয় নবির ঘর সুমহান আদর্শের কেন্দ্রবিন্দু। এ ঘর থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তম আদর্শ, পরিপূর্ণ আদব, অতুলনীয় শিষ্টাচার ও স্বাধীন সমাজ ব্যবস্থা। নবিজীর যুগে এমন সমাজ ব্যবস্থা প্রবতির্তত হয়েছিল যে, পরিবারের সবাই সমভাবে কাজ করতেন। পুরুষরা স্ত্রীদের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতেন। আর একটি সময় হলেই সবাই একত্রিত হতেন। তা ছিল নামাজের আজান। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে সবাই কাজ রেখে নামাজ পড়তে মসজিদে একত্রিত হতেন।

স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবারিক কাজে সময় দিতেন। স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন। নামাজের আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ছেড়ে দিতেন। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে কী কী কাজ করতেন? তিনি উত্তর দেন-

كان بشرًا من البشر: يفلي ثوبه ويحلب شاته، ويخدم نفسه

‘তিনি একজন মানুষ ছিলেন, তিনি তাঁর কাপড় সেলাই করতেন, ছাগলের দুধ দহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)

তিনি কি শুধু সাধারণ মানুষের মতো মানুষ ছিলেন? না তিনি ছিলেন চারিত্রিক মাদুর্য ও বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কোনো গুণেই কেউ তার সমকক্ষ ছিল না। তিনি যেমন বিনয়ী ছিলেন, তেমনি ছিলেন অহংকারমুক্ত মানুষ।

প্রিয় নবি কেমন মানুষ ছিলেন? তিনি কোনো দিন কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি ছিলেন প্রতিটি কাজে অংশগ্রহণকারী সেরা মানুষ। অন্যকে সেরা সাহায্যকারী ও শ্রেষ্ঠ মানুষ। ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর হুকুম পালনে তিনি ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর প্রতি নাজিল হয়েছে এ আয়াত-

لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیۡرًا

‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ২১)

আজান শোনার পর প্রিয় নবির সুন্নাত

কোরআনের ঘোষণার পরও তিনি আল্লাহর ইবাদাত ও তার অনুসরণ থেকে কখনো বিরত হতেন না। বরং মসজিদে আজান হওয়ার ধ্বনি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাতে সাড়া দিয়ে সব কাজ রেখে মসজিদে ছুটে যেতেন। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

হজরত আসওয়াদ বিন ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়ীতে কি কি ধরনের কাজ করতেন? উত্তরে তিনি বললেন-

كان يكون في مهن أهله، فإذا سمع بالأذان خرج

‘তিনি তার পরিবারের সব কাজে নিয়োজিত থাকতেনতবে আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন।’ (বুখারি)

ফরজ নামাজ মসজিদে পড়ার গুরুত্ব

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, তিনি বাড়িতে ফরজ নামাজ পড়েছেন। তবে তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে যখন প্রচণ্ড রোগাক্রান্ত; শোয়া থেকে উঠতে পারছিলেন না; যখন মসজিদে যেতে অপরাগ ছিলেন তখন বাড়িতে নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু তিনি দরজা দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ার দৃশ্য অস্রুসিক্ত নয়নে অবলোকন করতেন।

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি খুবই দয়াশীল ছিলেন। কিন্তু নামাজের জামাতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাঁর মতো এতো কঠোর দ্বিতীয় আর কেউ ছিল না। তিনি জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে এভাবে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে-

لقد هممت أن آمر بالصلاة فتقام ثم آمر رجلاً أن يصلي بالناس ثم أنطلق معي برجال معهم حزم من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فأحرق عليهم بيوتهم

‘আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি কাউকে নামাজের ইমামতি করার আদেশ দেই আর আমি কাঠসহ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে ঐ সব লোকদের বাড়িতে যাই; যারা জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত হয়নি। এরপর তারাসহ তাদের বাড়ি-ঘরকে জালিয়ে দেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে না!

মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি ছিল নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিশেষ গুরুত্ব। শরিয়তের ওজর ছাড়া আজান শোনার পর মসজিদে না গেলে নামাজ কবুল হবে মর্মেও প্রিয় নবি ঘোষণা করেছেন-

من سمع النداء فلم يجب فلا صلاة له إلا من عذر، والعذر خوف أو مرض

‘শরিয়তের ওজর ব্যতিত যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলো নাতার নামাজ কবুল হবে না।’ (তিরমিজি) আর ওজর বলতে: শত্রুর ভয় অথবা রোগকে বুঝানো হয়েছে।

প্রিয় নবির যুগের সে দৃশ্য আজ কোথায়? কোথায় সেই নামাজি? মসজিদে আজান হয় ঠিকই কিন্তু মসজিদের কাতারপূর্ণ হয় না। অথচ বর্তমান সময়ে মসজিদে নামাজ পড়তে না যাওয়ার পেছনে নেই কোনো শরিয়তের ওজর। না কোনো শত্রুর ভয় কিংবা বিপদের ভয়।

মুমিন মুসলমান মাত্রই উচিত, আজান হলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোনালী যুগের মতো কাজ রেখে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। একত্রে নামাজ আদায় করা। প্রিয় নবির প্রিয় সুন্নাতকে জাগ্রত করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ইসলাম

হিজরতের কঠিন বিপদে যে দোয়া নাজিল হয়েছি

মানসিক চাপ, বিষন্নতা ও জীবনের নানা কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের ঝুঁকির মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় চরম বিপদের মুহূর্তে প্রশান্তি স্বরূপ এ আয়াতটি নাজিল হয়। যা সত্যিই প্রশান্তির। এ আয়াতটি পড়লে এমনিতেই কঠিন বিপদে মিলে প্রশান্তি ও নিরাপত্তা। তাহলো-

رَّبِّ اَدۡخِلۡنِیۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّ اَخۡرِجۡنِیۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّ اجۡعَلۡ لِّیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ سُلۡطٰنًا نَّصِیۡرًا

উচ্চারণ : রাব্বি আদ্খিলনি মুদ্খালা সিদ্ক্বিও ওয়া আখরিঝ্নি মুখরাঝা সিদ্ক্বিও ওয়াঝ্আললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাছিরা

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে কল্যাণসহ প্রবেশ করাও এবং কল্যাণসহ বের কর। আর তোমার কাছ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৮০)

উল্লেখ্য, এ আয়াতটি প্রিয় নবির হিজরতের সময় নাজিল হয়েছিল। যখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে বের হওয়ার এবং মদিনাতে প্রবেশ করার সময় উপস্থিত হয়েছিল।

কেউ কেউ বলেন, এ প্রার্থনামূলক আয়াতের মর্মার্থ হলো- সত্যের উপর আমার মৃত্যু দিও এবং সত্যের উপর আমাকে কেয়ামতের দিন উত্থিত করো।

আবার কেউ কেউ বলেন, সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবরে প্রবিষ্ট করো এবং কেয়ামতের দিন সত্যতার সঙ্গে আমাকে কবর থেকে বের করো ইত্যাদি।

ইমাম শাওকানি বলেন, এ আয়াতটি যেহেতু দোয়া; বিধায় এর ব্যাপকতায় উল্লিখিত সব কথাই এসে যায়।

কেউ কেউ বলেন, যারা বিভিন্ন কষ্ট ভোগ করেন, তারাও এ দোয়াটি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়তে পারেন। আশা করা যায়, এতে তার উল্লেখিত রোগ ও সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, যদি কারো ডায়বেটিস রোগ হয়; তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্ক্ষলাবদ্ধ জীবনের পাশাপাশি এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে এটিকে কোরআনি আমল মনে করা হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন রোগ মুক্তিতে কোরআনের এ আয়াতের আমলটি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার ও পরকালের সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ইসলাম

কেয়ামতের দিনের মুক্তিতে মুমিনের করণীয় কী?

শিরকমুক্ত ঈমান এবং নেক আমল ছাড়া কেয়ামতের দিন মুক্তির বিকল্প নেই। কেয়ামতের ময়দানে সব মানুষ আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবে। এমনকি নবি-রাসুলগণও আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকবেন। কারণ কেউ জানেন না আল্লাহ তাআলা সে দিন কার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করবেন।

হাদিসের বর্ণনায় যদিও কেয়ামতের দিনের ভয়বাহতার বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি সেদিন সেজদায় থাকবেন। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাকে সেজদা থেকে উঠতে বলবেন। তিনি সেজদা থেকে মাথা উঠিয়ে বিচার কাজ শুরু করার জন্য সুপারিশ করবেন। তারপরই শুরু হবে পরকালের বিচারকার্য।

সেদিন যার আমলনামা ভালো হবে সে সফল হবে। শুধু মানুষ নয়, সেদিন নবি-রাসুলরা কতটা ভয়াবহ সময় কাটাবেন তা হাদিসের একটি বর্ণনা থেকেই সুস্পষ্ট-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাজিল হয়-
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
(হে রাসুল!) আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৪)
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন-
> হে কুরাইশ দল! (তোমরা আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতের ধারায়) নিজেদের আত্মাকে প্রস্তুত কর। আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো কাজে আসতে পারব না।
> হে বনি আবদে মানাফ! আমি আল্লাহর কাছে তোমাদের কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্বাস! আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো উপকার করতে পারব না।
> হে রাসুলের ফুফু সাফিয়্যাহ! আমি আল্লাহর কাছে আপনার কোনো কাজে আসব না।
> হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কন্যা ফাতেমা! তুমি আমার সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোনো কাজে আসব না।’ (বুখারি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের করণীয়-
এ সতর্কবার্তা ঘোষণার পরপরই মহান আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে প্রিয়নবিকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার যে ঘোষণাগুলো দিয়েছেন, সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আর তাহলো-
‘আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তোমার বাহুকে অবনত কর। তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালু (আল্লাহর) উপর তাওয়াক্কুল কর। যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (নামাজে) দণ্ডায়মান হও এবং সেজদাকারীদের মধ্যে তোমার ওঠা-বসা। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা মহাজ্ঞানী।’ (সুরা শুআরা : আয়াত ২১৫-২২০)

আল্লাহর একত্ববাদ ও ইবাদতে যদি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিজ বংশধর, চাচা, ফুফু ও কন্যার ব্যাপারে এমন ঘোষণা দেন তবে অন্যান্য মুসলমান কিভাবে আল্লাহর নাফরমানি করে প্রিয়নবির শাফায়াত লাভের আশা করতে পারে!

কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা থেকে এ কথা প্রমাণিত যে, শিরক মুক্ত ঈমান ও নেক আমল ছাড়া কোনো আদম সন্তানই পরকালে মুক্তি পাবে না। যারাই প্রিয় নবির অনুসরণ ও অনুকরণ করবে তাদের মুক্তি হবে নিরাপদ ও সহজ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শিরকমুক্ত ঈমান ও নেক আমলে নিজেদের জীবন সাজানো। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমান লাভ ও তার ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদের নিয়োজিত করার তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে হাদিসে ঘোষিত সব ধরনের শাফায়াত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com