অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয় এতে যেমন নানা রোগব্যাধি বাসা বাধে তেমনি কাজকর্ম করার ক্ষমতাও কমে যায়। যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকে তারা নানা জটিল রোগে ভোগেন আর ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞরা শরীরচর্চা, যোগ ব্যায়াম সাইকেলিং বা সাঁতার কাটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, শরীর- স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এগুলি অবশ্যই জরুরি। তবে ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিদিন এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যেগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখবে। প্রতিদিন শরীরচর্চা না করতে পারলেও এগুলো অতিরিক্ত ওজন হ্রাসে সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় অন্যান্য সুষম খাবারের পাশাপাশি আপেল সিডার ভিনেগার রাখতে পারেন। এটি একটি ফার্মেন্টেড জুস। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যাসেটিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়:
১. ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার পান করতে পারেন। এটি ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা বজায় রাখে, অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে এবং এক্সিমার মতো রোগকে প্রতিহত করে।
২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে আপেল সিডার ভিনেগার। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৩. টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী। এটি রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. আপেল সিডার ভিনেগার নারীদের রক্ত পরিস্কার করে এবং পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোমকে উন্নত করে তোলে। হরমোনজনিত সমস্যা দূর করতেও এটি বেশ উপকারী।
৫. আপেল সিডার ভিনেগার শরীরের ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। সুতরাং প্রতিদিন এটি পান করুন, তবে ১০ থেকে ৩০ মিলির বেশি নয়৷ এছাড়াও সালাদের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়েও খেতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন