আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

এ যেন নদীর জাদুঘর

বাংলাদেশের প্রায় ২০০টি নদ-নদী, হাওর, বিল এবং বঙ্গোপসাগরের পানি সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরটির নদী গ্যালারিতে

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। দেশের প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বয়ে চলা বিশাল এই জলরাশি জীবন ও জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস। 

তবে কালের স্রোতে নদীর স্রোতও একসময় থেমে যায়। বাংলার বুক থেকে তাই হারিয়েও গেছে বহু নদ-নদী। জাদুঘরের চার দেওয়ালের মাঝে নদীকে সংরক্ষণ করা না গেলেও তার কিয়দংশ সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।

ঠাকুরগাঁওয়ের “লোকায়ন জীবন বৈচিত্র জাদুঘরটিতে” ২০০৬ সালের যাত্রা শুরু করলেও এর “নদী গ্যালারির” প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৬। ইউএসডিও ও স্থানীয় মানুষের সহায়তায় গড়ে উঠেছে জাদুঘরটি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদ-উজ-জামান।

বাংলাদেশের প্রায় ২০০টি নদ-নদী, হাওর, বিল এবং বঙ্গোপসাগরের পানি সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরে। একই সাথে রয়েছে নদীর পলি, বালি ও নদীর সাথে সম্পর্কিত নানা বস্তু। বাংলাদেশের প্রতিটি নদ-নদীর নামের তালিকা, জলজ, মৎস্য সম্পর্ক অজানা অনেক তথ্য ও বস্তুও সংরক্ষির রয়েছে লোকায়ন জাদুঘরের নদী গ্যালারিতে।

বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের কয়েকটি দেশের নদী ও সাগরের পানি সংরক্ষিত রয়েছে নদী গ্যালারিতে। সম্প্রতি হারিয়ে যাওয়া অনেক নদীর পানিও রয়ে গেছে এই সংরক্ষণে।

আর যারা দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করেছে এসব নাম না জানা কিংবা বর্তমানে হারিয়ে যাওয়া নদীর পানি, তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিটি সংরক্ষণের সাথে।

নদী গ্যালারিতে সংরক্ষিত কয়েকশত নদীর মধ্যে নাম না জানা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী হচ্ছে– ফুলকুমার, কালো, সুগন্ধা, সোনাভরী, ধানসিঁড়ি, পুনর্ভরা, চাওয়াই, দুধকুমর, নীলকমল, ধরনী, হলহলিয়া, কালজানি, জালশিরা, আখিরা, ঘাঘট, লেংগা, মরাসতি, সাতপোয়া, দশআনি, জারখালী, বহুলী, হুড়া সাগর, সন্ধ্যা, হালতি, ধলাই, আত্রাই, ঢেপা, ছাতনাই, তালমা, ভেরগাঁ, মহানন্দা, তিস্তা, জিঞ্জিরাম, হাইল হাওর, চলনবিল, মর্মর সাগর, নীল সাগর, কীর্তনখোলা, আড়য়াল খাঁ, শিববাড়িয়া, রূপসা, সুখ সাগর, রাঙামাটি, আন্ধারমানিক, রনচন্ডী ইত্যাদি।

দেশের বাইরের সংরিক্ষত পানির মধ্যে রয়েছে– লন্ডনের টেমস নদী, জার্মানির দানইয়ুব, আন্দামান সাগর, আরব সাগর ও উত্তর সাগরের পানি। 

এছাড়া রয়েছে “সাত সাগর” তথা আর্কটিক, উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত সাগর ও দক্ষিণ মহাসাগরের বালি।

নদী গ্যালারি ছাড়াও লোকায়ন জাদুঘরে রয়েছে তৃণমূল লোকজ গ্যালারি, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গ্যালারি এবং মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি। শিশুদের জন্য আছে শিশুস্বর্গ। প্রায় ৭০ রকমের ফল এবং ১২০ রকমের ঔষধি গাছ।

এ ছাড়া প্রতিবছর জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় নবান্ন, পৌষমেলা, পিঠা, ফল, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণসহ নানা উৎসবের।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com