করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবারও বেড়েছে। এ কারণে মানুষ নতুন করে নির্ভরশীল হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেকট্যান্টের ওপর। তাই বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা এখন ব্যাপক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও জীবাণুমুক্ত রাখতে সবাইকে ঘন ঘন এসব রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
যেহেতু হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেকট্যান্ট রাসায়নিক দ্রবণ, ফলে এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকও আছে। এ জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেকট্যান্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি।
মাইক্রোবায়োমের ক্ষতি
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে স্যানিটাইজার অত্যন্ত কার্যকর। তবে শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলে এই রাসায়নিক দ্রবণ। ফলে শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার মাত্রায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর সমাধান হিসেবে ব্যবহার করতে হবে মানসম্মত ও সঠিকভাবে কার্যকর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেকট্যান্ট। এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি সম্পূর্ণ অ্যালকোহলমুক্ত মাল্টিপারপাস ডিজইনফেকট্যান্ট মিযুও।
মিযুও যেভাবে কাজ করে
বাজারে হাজার হাজার অ্যালকোহলযুক্ত ডিজইনফেকট্যান্টের ভিড়ে মিযুও অ্যালকোহলমুক্ত হয়ে কাজ করে। কিন্তু সেটা কীভাবে হয়ে থাকে, তা জেনে নেওয়া যেতে পারে।
মিযুও সম্পূর্ণ জাপানি ফর্মুলায় তৈরি জীবাণু ও দুর্গন্ধনাশক; এতে আছে উইক অ্যাসিড হাইপোক্লোরাস সলিউশন, যার আছে জীবাণুনাশকশক্তি। এটি ত্বক বা অন্য যেকোনো স্থানকে সযত্নে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস মুক্ত রাখতে পারে।
এই অ্যালকোহলমুক্ত জীবাণুনাশক একটি সুপার-অক্সিডাইজড, পিএইচ ব্যালান্সড, পানিনির্ভর দ্রবণ, যাতে পানির সঙ্গে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ও ফুডগ্রেড হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে পিএইচের পরিমাণ ৬ থেকে ৭-এ রাখা হয়। রক্তের শ্বেতকণিকা আমাদের শরীরের ভেতরে এই হাইপোক্লোরাস অ্যাসিড উৎপাদন করে শরীরের ভেতরের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোধ করে। এই হাইপোক্লোরাস অ্যাসিড বিভিন্ন রোগ–জীবাণুর কোষের ভেতরের প্রোটিন ধ্বংস করে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ব্যবহার
পানির মতো নিরাপদ মিযুও ত্বক, কাপড়, চামড়া, কাঠ, স্টেনলেস স্টিল, ক্রোম, গ্লাস, ভিনাইল, চিনামাটির বস্তু, ছেদবিহীন প্লাস্টিক, এনামেল, টাইলসসহ সব ধরনের স্থানে ব্যবহার করা যায়। এতে কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রিজারভেটিভবিহীন, কৃত্রিম গন্ধ ও রংবিহীন, অ্যালকোহলমুক্ত, অদাহ্য, মরিচা ও ব্লিচবিহীন একটি জীবাণুনাশক দ্রবণ।
এ ছাড়া দৈনন্দিন জীবনে জীবাণু ও দুর্গন্ধমুক্ত থাকতে মিযুও ব্যবহার করা যেতে পারে হাত, চুল, মুখ, ত্বক, আসবাবপত্র, বালিশ-কুশন-কম্বল, ঘরদোর ও মেঝে, বাথরুম ও টয়লেট, শেভিং সরঞ্জাম, রান্নাঘরের সিঙ্ক, থালাবাসন, ফ্রিজ, ওভেন, ফলমূল, শাকসবজি, কাঁচা মাছ–মাংস, মোবাইল ফোন, খেলনা, মোজা, জুতা ও জুতার বাক্স, রেস্তোরাঁ, জিমনেশিয়াম, সেলুন ও পারলার, ডাক্তার ও ডেন্টিস্ট চেম্বার, হাসপাতাল, মেডিক্যাল সরঞ্জাম, হোটেল ও রিজোর্ট, বাচ্চাদের পার্ক, সুপারশপ, বিক্রয়কেন্দ্র, শপিং মল, খাবার প্রস্তুত করার জায়গা, শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, পাবলিক টয়লেট, করপোরেট অফিস, কাজের ডেস্ক, শিক্ষাকেন্দ্র, হোস্টেল, এলিভেটর, ব্যাংক, এটিএম মেশিন, অনুষ্ঠান ও মেলা, যানবাহন, উড়োজাহাজ, পোষা পশুপাখি, পোষা প্রাণী বিক্রয়কেন্দ্রে, ডেইরি ফার্ম, কসাইখানা, চিড়িয়াখানাসহ অন্যান্য জায়গায়।
সংরক্ষণ ও কার্যকারিতা
মিযুওর কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন রাখতে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা বাঞ্ছনীয়। শীতল ও শুষ্ক স্থানে এটি রাখা উচিত। তা ছাড়া অন্যান্য কেমিক্যাল বা স্যানিটাইজারের সঙ্গে মিযুও মেশানো যাবে না। এতে এর কর্মক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। মিযুওর বোতল খোলার পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যাবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন