কলকাতা: মোঘল আমলে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার ছিল বিরিয়ানি। তবে বিরিয়ানির জন্ম কীভাবে বা মেন্যুর স্রষ্টা কে, তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে।
কারণ বৈদিক যুগেও ঘি, সুগন্ধি মশলা, চাল ও মহিষের মাংস মিশ্রিত খাবারের কথা বর্ণিত আছে। তখন এ খাবার খাওয়া হতো ক্ষত্রিয় বংশে। এছাড়া যে নারী এক যোদ্ধার সমান পুত্র-সন্তানের ইচ্ছা প্রকাশ করতেন, তাদের নিয়মিত পরিবেশন করা হতো এ খাবার। আবার অনেকের মতে মোঘল আমলে নবাব, সম্রাটদের শিকারের সময় বা রণক্ষেত্রে সহজপাচ্যে শক্তিযুক্ত যে খাবার পরিবেশনা করা হতো, তাই বিরিয়ানি। তবে জন্মসময় নিয়ে নানামত থাকলেও ‘বিরিয়ানি’ নাম ও তার প্রসার এবং পরিচিতি কিন্তু মোঘল আমলেই। কারণ বিরিয়ানি হলো উর্দু শব্দ। যা ফরাসি ভাষা থেকে এসেছে।
এদিকে বিরিয়ানি জন্ম নিয়ে বিতর্ক যাই থাক না কেনো, কলকতার এক সমীক্ষা বলছে বেশির ভাগ বাঙালির খাবারের মধ্যে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিরিয়ানি। আর তা দিল্লি, লখনৌ হয়ে প্রবেশ করেছিল কলকাতায়। বছর কুড়ি আগেও এ শহরে বিরিয়ানি এত সহজলভ্য ছিল না। একমাত্র মিলত আভিজাত শ্রেণির কোনো অনুষ্ঠানে। আর এখনতো গ্রাম, শহরতলি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতার অলিতে গলিতে। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে লাল কাপড়ে মোড়া হাঁড়ি ভর্তি বিরিয়ানি। নতুন চাকরি পাওয়া থেকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট, বিয়ে বাড়ি কিংবা জন্মদিনের পার্টি, নতুন প্রেমপ্রস্তাব অথবা প্রথম ডেটিং, শিশু থেকে প্রৌঢ় শহরের সবার পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিরিয়ানি।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভর করে বিরিয়ানির রং এবং স্বাদ। সব রাজ্যের বিরিয়ানির স্বাদ এবং রং এক নয়। কলকাতার বিরিয়ানি বলতে যা বোঝায়, তা কিন্তু লখনৌর আদলে। অর্থাৎ কলকাতায় যে বিরিয়ানি মেলে তার সঙ্গে স্বাদ এবং রঙের মিল আছে লখনৌর সঙ্গে। তবে ভারতে কলকাতা বাদে বিরিয়ানিতে আর কোথাও আলুর ব্যবহার হয় না।
কলকাতায় মূলত তিন ধরনের বিরিয়ানি চল বেশি। চিকেন বা মাটন বিরিয়ানি, ডিম বিরিয়ানি এবং আলু বিরিয়ানি। তবে জায়গা বিশেষে মেলে বিফ বিরিয়ানি। মাত্র এক জায়গায় মেলে মহিষের মাংসের বিরিয়ানি। এছাড়া গাজর, বিনসের মত সবজি দিয়ে মেলে নিরামিষ বিরিয়ানি। কলকাতায় এত রকমের বিরিয়ানি মিললেও তিনটি বিষয় একবারে কমন। এক, ভাতের রং হতে হবে হালকা হলদেটে। দুই, বিরিয়ানির প্লেটে থাকতে হবে এক টুকরো আলু এবং তিন, বিরিয়ানির হাঁড়ি মোড়া থাকতে হবে লাল কাপড়ে।
বিরিয়ানির রং হলদেটে কেন? মনস্তত্ববিদরা বলেন, মানুষের ভাষার মতো রঙেরও ভাষা আছে। হলুদ হচ্ছে এমন একটি রং, যা দূর থেকেই সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। এমনকি কম আলোতেও হলুদ রংকে স্পষ্ট বোঝা যায়। ফলে জাফরান মিশ্রিত বিরিয়ানি যেমন খাবাবের স্বাদ বাড়ায়, তেমনি হলুদ রঙের জন্য বিরিয়ানির প্রতি মানুষ বেশি আকৃষ্ট হয়। সম্ভবত সে কারণেই নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের রাজত্বে, আওয়াধের বিরিয়ানির রং ছিল হলুদ।
বিরিয়ানিতে আলু: কলকাতার বিরিয়ানি বলতে যা বোঝায়, তার স্বাদ এবং আলুর আগমন ঘটে নবাব ওয়াজিদ আলির হাত ধরেই। আওয়াধের শেষ নবাব ছিলেন ওয়াজিদ আলি শাহ। তিনি ছিলেন একজন সঙ্গীত এবং কবিতাপ্রেমী। ইংরেজদের অত্যাচারে খোয়া যায় রাজপাট। তবে ভারতের মধ্যে নবারের সবচেয়ে পছন্দের স্থান ছিল কলকাতা। আর তাই দু’বছর ইংরেজরা তাকে কারারুদ্ধ করে রাখার পর ১৮৫৬ সালে তারই ইচ্ছানুযায়ী ইংরেজরা নবাবকে পাঠিয়ে দেন কলকাতায়।
ওয়াজিদ আলি স্থান হিসেবে বেছে নেন কলকাতার মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলটাকে। সেই সময় নবাবের সঙ্গে স্বেচ্ছায় কলকাতায় চলে আসেন তার কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীতশিল্পী, রাঁধুনিসহ সাধারণ মানুষ। জীবনের শেষ ৩০টা বছর কাটিয়েছিলেন কলকাতাতেই। মেটিয়াবুরুজ গড়ে তোলেন অনেকটা আওয়াধের আদলে। সৌখিন নবাবের গান, বাজনা ছাড়া শখ ছিল ঘুড়ি ওড়ানো, কবুতরবাজি এবং লোক খাওয়ানো। এ নবাবই জনক ছিলেন কলকাতার চিড়িয়াখানার।
নবাব ওয়াজিদ আলি যখন কলকাতায় আসেন, তখন তার অর্থ স্বচ্ছলতা তেমন ছিল না। যাও ছিল তাও কম নয়। কিন্তু কথায় বলে, বসে খেলে রাজার ধনও শেষ হয়-এমনই অবস্থা হয়েছিল নবাবের। ফলে বেশিদিন মাংস সহযোগে বিরিয়ানি খাওয়াতে পারেননি কলকাতাবাসীকে। তাই বিরিয়ানিতে মাংসের পরিবর্তে যোগ হয় আলু। সে সময় আলু আজকের মত এত সহজলভ্য ছিল না। পর্তুগিজদের হাত ধরে কলকাতায় আসা আলুর দাম ছিল বেশি। সে যুগে আলু মানেই ছিল এলিট লেবেলের সবজি। কিন্তু মাংসের তুলনায় খরচ কম পড়ত। সে যাই হোক, কিছুটা খরচ বাঁচাতে এবং সেই সঙ্গে বিরিয়ানির পরিমাণ বাড়াতে আলুর ব্যবহার শুরু হয়। ওয়াজিদ আলি শাহের সেই বিরিয়ানির ধারা এখনও বয়ে নিয়ে চলছে শহর কলকাতা।
বিরিয়ানির হাঁড়িতে মোড়া লাল কাপড়? দূর থেকেই সংকেত মেলে শহর কোন দোকানে আছে বিরিয়ানি। বলা হয়, লাল-হলুদ-সবুজ ট্রাফিক সিগন্যালের মত ওটা বিরিয়ানি লাভারসদের সিগন্যাল। অপরদিকে, লাল রং হলো ভালবাসার প্রতীক। কারণ হৃদয়ের রং লাল। প্রকৃত ভালোবাসা এ হৃদয় থেকেই আসে।
ইতিহাস বলছে, সম্রাট হুমায়ুন ছিলেন পারস্য সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। রাজপাঠ হারিয়ে সম্রাট হুমায়ুন ইরানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন তাকে পারস্য সম্রাট লালগালিচা বা রেড কার্পেটে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এছাড়া ইরানের খাদ্য পরিবেশনার রীতি অনুযায়ী, রুপার পাত্রে খাবার আনা হয় লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে। যা পরে মোগল আমলেও চালু হয়েছিল। খাদ্য পরিবেশনে রঙের এ প্রথা লখনৌয়ের নবাবরাও অনুসরণ করেছিলেন। ফলে অভিজাত্য, বনেদিয়ানা প্রকাশের অন্যতম ধারা হিসেবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে লাল কাপড়ে মোড়া খাবার। আজ বিরিয়ানি সহজলভ্য হলেও, এক সময় কিন্তু ছিল আভিজাত্যেরই প্রতীক। তাই ব্যবহৃত হয় লাল কাপড়।
সবশেষে বলা যায়, হালকা হলদেটে ঘিয়ে মাখানো লম্বা লম্বা সুগন্ধি চাল। তাতে একফালি নরম আলু, সঙ্গে মুক্তোর মত চেয়ে থাকা চকচকে সেদ্ধ ডিম, আর মোলায়েম কয়েক টুকরো মাংস। এ কম্বিনেশন কলকাতা বিরিয়ানি ছাড়া আর কোথাও নেই। সামনে গিয়ে হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই বিরিয়ানির সুবাসে ভরে ওঠে চারপাশ৷ যা কলকাতায় চলে আসছে দশকের পর দশক ধরে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন