সঠিকভাবে যত্ন নিলে এই সমস্যা আর আপনাকে বিব্রত করবে না। চুলও থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও লম্বা!
চুলের অন্যতম প্রধান সমস্যা স্প্লিট এন্ডস বা আগাফাটা চুল। যেভাবেই যত্ন নিন না কেন, ঠিক বারবার ফিরে আসে! আর আগা ফাটা মানেই চুলের সৌন্দর্যের বারোটা! চুল দেখতে শুষ্ক, নির্জীব ও রুক্ষ তো লাগেই, পাশাপাশি চুলের গ্রোথও থেমে যায়। চুল ট্রিম করালে কিছুদিনের সুরাহা পেলেও, কিছুদিন পরই আবার যে কে সেই।
নিশ্চয়ই ভাবছেন, চুল কেটে ফেলাই স্প্লিট এন্ডসের একমাত্র সমাধান? মোটেও নয়। সঠিকভাবে যত্ন নিলে স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা আর আপনাকে বিব্রত করবে না। চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও লম্বা। জেনে নিন কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট
এটি স্প্লিট এন্ডস প্রতিরোধ করার সবথেকে সহজ ও বহুল চর্চিত পদ্ধতি। পুরনো দিনেও চুলে তেলের ব্যবহার ছিল অপরিহার্য। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল গরম করে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। চুলের ডগাতেও তেল লাগাতে ভুলবেন না। সবসময় নিচের দিকে চুল মালিশ করবেন। খুব জোরে ঘষলে চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্তত একঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রাখুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
মধু
নানা প্রাকৃতিক গুণে সমৃদ্ধ মধু স্প্লিট এন্ডস কমাতেও দারুণ কার্যকর। টক দই ও মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ চুলের ডগায় লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।
কলা
ড্যামেজ চুলের সমস্যায় কলা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। কলা এক ধরনের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এটি চুলের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়, ফলে চুল পড়া কমে। কলা চটকে চুলে লাগাতে পারেন। চুলের ডগায় বেশি করে লাগান। একঘণ্টা রেখে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বাড়তি কিছু টিপস
১. প্রতি তিন-চারমাস অন্তর চুল ট্রিম করান। চুল ছোটছোট ভাগে ভাগ করে একটা করে ভাগ নিয়ে ভালভাবে পেঁচান। দেখবেন এতে স্প্লিট এন্ডস বাইরের দিকে বেরিয়ে আছে। এবার কাঁচির সাহায্যে বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা অংশগুলো ধীরেধীরে কেটে ফেলুন। নিচের দিক থেকে উপরের দিকে যান। নিজে চুল ট্রিম করতে অভ্যস্ত না হলে প্রফেশনালের সাহায্য নিন।
২. খুব প্রয়োজন না হলে চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
৩. চুল ধোওয়ার আগে ও চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর কাঠের চিরুনি ব্যবহার করে চুল আঁচড়ে নিন।
৪. প্রতিবার দু’বার করে শ্যাম্পু করবেন।
৫. শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ও সিরাম ব্যবহার করবেন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন