ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে প্রধান সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধই নয়; জ্বর, ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব রোধেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়া কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অবচেতনভাবে আমরা হাত দিয়ে ক্রমাগত চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করে থাকি। হাত অপরিষ্কার থাকলে এমন স্পর্শের মাধ্যমে দেহের ভেতর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। তাই কিছু সময় পরপর সাবান-পানিতে হাত ধুয়ে নিলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কাসহ নানা ধরনের রোগব্যাধি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
করোনাভাইরাস আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে এ চর্চা অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে।
হাত ধোয়ার অভ্যাস
স্বাস্থ্যবিধির নানা বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রাথমিক জ্ঞান বেশ ভালো। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে তা কম। যেমন হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা-বিষয়ক ধারণা সবারই কমবেশি থাকলেও সেটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষণীয়। ২০১৩ সালে ইউনিসেফ পরিচালিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, পানি ও সাবান দিয়ে বাংলাদেশের ৫৯ দশমিক ১ ভাগ মানুষ নিয়মিত হাত ধুয়ে থাকে। আরেক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সারা পৃথিবীর প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুজনেরই হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যেমন পানি ও সাবানের ব্যবস্থা নেই।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভের তথ্য অনুযায়ী ৪০ ভাগ মানুষের খাওয়ার আগে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস আছে, অন্যদিকে শিশুকে খাওয়ানোর আগে হাত ধুয়ে নেন ১৫ ভাগ নারী। ২৩ ভাগ পরিবারেই শৌচাগারের ৩০ ফুটের মধ্যে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা বা তার জন্য প্রয়োজনীয় পানির কোনো উৎস নেই।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা যৌথভাবে চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে তিনটি গবেষণা চালায়। তাতে দেখা গেছে, দেশের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়মিত হাত ধুয়ে থাকে এবং ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।
ব্র্যাক, লাইফবয় ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে গত ৩১ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত হয় ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক অনলাইন জরিপ। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ দিনে ৩ থেকে ৫ বার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়েছে। ৪৪ দশমিক ৯০ শতাংশই বলেছে, প্রয়োজনের সময় সাবান-পানি পাওয়া না যাওয়ায় হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হয়। আর ৩৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বলেছে, নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টি তাদের মনে থাকে না।
সাবান-পানি ছাড়া হাত ধুলে কি জীবাণু মরে?
প্রশ্ন আসতে পারে যে হাত কি সাবান ও পানি দিয়েই ধুতে হবে? বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে বালু, মাটি কিংবা ছাই দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস রয়েছে, সে ক্ষেত্রে কি জীবাণু ধ্বংস হয়? উত্তর হলো, ক্ষারযুক্ত কোনো কিছু ছাড়া হাত ধুলে হাত হয়তো পরিষ্কার দেখাবে, কিন্তু হাতের জীবাণু ধ্বংস হবে না। হাতের তালু, নখ অথবা আঙুলের রেখায় লেগে থাকা অজস্র ক্ষুদ্র জীবাণু রয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী শুধু স্যানিটাইজার হলেই হবে না, এমন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, যাতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহল থাকে। অন্যদিকে সাবানে আছে ক্ষার। ভাইরাসের উপরিভাগ চর্বির আবরণে ঢাকা থাকে। চর্বি যখন ক্ষারের সংস্পর্শে আসে, তখন চর্বি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। সাবানে ক্ষার যত বেশি থাকে, ভাইরাস তত দ্রুত মরে। সে জন্য কাপড় কাচা সাবান এ ক্ষেত্রে শ্রেয়।
হাত ধোয়া দিবস
এ বছরের বিশ্ব হাত দোয়া দিবস উপলক্ষে গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডট অরগ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৩০০ কোটি মানুষ সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার আওতার বাইরে। বিশ্ব ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রায় ৯০ কোটি শিশু স্কুলে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থেকে বঞ্চিত এবং ৪০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে হাত ধোয়ার সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। অথচ বাড়ি, স্কুল কিংবা স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা থাকার কোনো বিকল্প নেই। গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডট অরগ আরও বলছে, ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে ৩০ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সংক্রামক রোগ কমানো সম্ভব।
আর এসবের মধ্যেই আজ ১৫ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সবার জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি’।
হাত ধোয়ার নিয়মাবলি
পাঁচটি প্রধান ধাপে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতের পিঠ, তালু ও আঙুলে পরিমাণমতো সাবান ঘষে নিতে হবে। তারপর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষে নিতে হবে। হাতে কোনো আংটি বা অন্যান্য গয়না থাকলে তার ওপর-নিচ ভালো করে ঘষে নিতে হবে। দুই হাত একে অপরের সঙ্গে ভালো করে ঘষতে হবে এবং এরপর পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়া শেষ হলে তা শুকনা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে।
কখন হাত ধুতে হবে?
হাত কখন ধোয়া দরকার, সেটাও কিন্তু জানা জরুরি। সারা দিনের যেকোনো সময়েই হাত ধোয়া যায়। কিন্তু বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কারণ, ওই সময় হাতই সবচেয়ে বেশি বাইরের বস্তুর সংস্পর্শে আসে। এ ছাড়া পয়োনিষ্কাশন শেষে, ভাইরাসকালীন কারও সঙ্গে হাত মেলানোর পর, খাবার তৈরির আগে-পরে, খাওয়ার আগে, অসুস্থ কারও সেবার পর, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে, নাক বা সর্দি পরিষ্কারের পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া আবশ্যক।
বাধা যেখানে
পাঁচ বছর ধরে উপকূলীয় এলাকায় বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে এই অঞ্চলে হাত ধোয়ার অন্যতম বড় বাধা হলো প্রয়োজনীয় পরিষ্কার পানির অভাব। খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির যেখানে তীব্র অভাব; সেখানে হাত ধোয়ার জন্য পানি ‘খরচ করা’ জনগণের কাছে রীতিমতো বিলাসিতা। শুধু উপকূলীয় অঞ্চল নয়, পাহাড়, চর ও হাওর এলাকায় হাত ধোয়ার জন্য নিরাপদ পানির অভাব লক্ষণীয়। আবার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, বাস-রেল বা বিমানবন্দর, বাজার, বড় দোকান, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাত ধোয়ার স্থান ও সেসব স্থানে প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব।
জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাবও রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ হাত ধোয়ার ধাপ ও নিয়মাবলি সম্পর্কে জানলেও সেটা মানার ক্ষেত্রে আলসেমি রয়েছে। এ ছাড়া নিয়ম মেনে সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধোয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের সামর্থ্যের বিষয়টিও অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এককভাবে স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুফল পাওয়া মুশকিল, বরং স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়নের অন্যান্য কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে ভালো ফল আসে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
হাত ধোয়া হোক জীবনাচারের অংশ
করোনাভাইরাস আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটি কোনো বিচ্ছিন্ন চর্চা নয়; বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এ চর্চা অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে। নিয়ম মেনে হাত না ধোয়ার কারণে যেসব সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ধাকে, সেসব বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালাই শুধু নয়, তা বাস্তবায়নের দিকে নজর দিতে হবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন