২০২০ সালে করোনার দাপটে কাবু হয়েছে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। মৃত্যু-শোক আর রোগ-যন্ত্রণা ছাড়াও চাকরি বা কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সামনে আসছে নতুন বছর। ২০২১ সাল কেমন কাটবে? এমন জিজ্ঞাসা এখন সবার মনে। এ ব্যাপারে রাশিফল কী বলে? আসুন জেনে নেই ২০২১ সালের ভবিষ্যদ্বাণী-
মেষ: ২০২১ শুরু থেকেই ইতিবাচক। খুবই সৌভাগ্য নিয়ে বছর শুরু করতে চলেছেন। সবার সঙ্গে ভালো সময় কাটবে। তবে কাজের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। আর্থিক দিকে প্রবল উন্নতি রয়েছে। প্রেমভাগ্যও ভালো।
বৃষ: ভাগ্যের জোরে বহু সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন। নতুন সৃজনশীল কাজ সুখবর দেবে। ভালো পারফরমেন্স আসবে। ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সুখবর পাবেন। সেপ্টেম্বর থেকে দারুণ সময় কাটবে। প্রেম ও দাম্পত্য সুখে কাটবে। পরিবার থেকে আশা অনুযায়ী পাবেন।
মিথুন: অনেক পুরোনো সংঘাত কাটিয়ে সুসময়ের দিকে যাবেন। আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালো সময়। যারা বিয়ে করতে চাইছেন; তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও সুসময় এনে দেবে।
কর্কট: খানিকটা ব্যাকফুটে গিয়ে শুরু হতে পারে। প্রথমদিকে কিছুটা পরিশ্রম ও লড়াই করতে হবে। কাজের জায়গায় পরিশ্রম দিলে লাভবান হবেন। খরচ প্রবলভাবে বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে বাধা আসবে। দাম্পত্য জীবনে সংঘাত দেখা দেবে। তবে ক্যারিয়ারে স্থায়িত্ব আসবে।
সিংহ: কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর ক্ষেত্রে জেদি হতে পারেন। পরিবারের দিকে নজর দিয়ে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ক্যারিয়ার ও বিবাহিত জীবনের মধ্যে বড় সংঘাত আসবে। তার সমাধান করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে বিলাসিতা বাড়বে।
কন্যা: কোনো বড় সুখবর আসন্ন। নতুন কিছু করে দেখানোর তাগিদে বহুদূর এগিয়ে যাবেন। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। ক্যারিয়ারে উন্নতির সুযোগ আসবে। জীবনের বহুদিক সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে। সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তুলা: জীবনের অন্যতম সফল বছর হবে। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক সাফল্য এনে দেবে। অনেক বেশি সুখি করবে। অনেক কম বাধা-বিপত্তি পার হতে হবে। মায়ের স্বাস্থ্য ও নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কাজে উন্নতি ও বেতন বাড়বে। কাজের প্রশংসা হতে চলেছে। বিবাহিত জীবন সুখে কাটবে।
বৃশ্চিক: মন্দ-ভালো মিশিয়ে কাটবে। যে কাজেই হাত দেবেন; তাতে সাহস জোগাতে হবে। আর্থিক উন্নতি সুখি করবে। প্রেমের সম্পর্ক খুব ভালো হবে। অবিবাহিতরা বড় কোনো সুখবর পেতে পারেন।
ধনু: বড় সারপ্রাইজ পাবেন। সমৃদ্ধি ও সাফল্য আপনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে। প্রতিটি কাজে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে। বহু ক্ষেত্রে উন্নতির রাস্তায় হাঁটবেন। সামাজিক গণ্ডিও বিস্তার করবেন। কাজ ও পরিবারে দারুণ ভারসাম্য থাকবে। স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
মকর: আত্মসমালোচনার পথ ধরবেন। তবে আর্থিক দিক দিয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিবাহিতরা আর্থিক দিকে নজর রাখবেন। কাজের জায়গায় ইগো সংঘাত বাড়তে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ সাল দারুণ।
কুম্ভ: বহু ধরনের অভিজ্ঞতা পাবেন। প্রথমদিকে খানিকটা মুষড়ে পড়তে পারেন। তবে পরের দিকে তা আর থাকবে না। জীবনের বড় ব্যাপ্তি দেখা যেতে পারে। বিয়ে ও প্রেমের ক্ষেত্রে ভালো সময়। অবিবাহিতদের জীবনে নতুন কেউ আসতে পারে।
মীন: মিশ্র অভিজ্ঞতার শিকার হবেন। তবে প্রবল খরচ হবে। যদিও নতুন বন্ধুত্ব আসবে। সামাজিকভাবে উন্নতি দেখা যাবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে। বহু পরিশ্রমের পর মিলবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন