প্রতি বছরই ফ্যাশন বদলায়। তবে ২০২০-এর মতো এতটা বদলায়নি কখনই। বৈশ্বিক ফ্যাশন পরিমণ্ডল পার করছে অভূতপূর্ব ক্রান্তিকাল। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্যাশন খাত। কোভিড যেন ওলটপালট করে দিয়েছে ফ্যাশন দুনিয়াকে।
বিশ্বের নামীদামী সব ব্র্যান্ড বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর্থিক মন্দার কারণে বিলাসী পণ্যে বেচাকেনা কমেছে। এই সংকটে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাইও করছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু ব্র্যান্ডের শাখা।
নিউ নরমালকেই মেনে নিয়েছেন ফ্যাশনপ্রেমীরা। মাস্ক, পিপিই, গ্লাভসকে নিত্যদিনের সঙ্গী করে নিয়েছেন। বড় ব্র্যান্ডগুলোর অনেকগুলোই মানুষের চাহিদার কথা ভেবে মাস্ক, পিপিই তৈরি করেছে। ফিচারটি সাজানো হয়েছে কোভিডে বদলে যাওয়া ফ্যাশন নিয়ে।
বাহারি মাস্ক: নিরাপদ থাকতে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে গিয়েছে মাস্ক। আর মাস্ক যেহেতু পরতেই হয়, তাই এটাকে ফ্যাশনের একটি অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছেন তরুণরা। প্রথমে সার্জিক্যাল, এন নাইন্টিফাইভ ব্যবহার করলেও ধীরে ধীরে নানা ডিজাইন ও রঙ এর মাস্ক পরতে দেখা যায় ফ্যাশনপ্রেমীদের। নারীদের কেউ কেউ সিল্কের মাস্ক এবং অ্যানিম্যাল প্রিন্টের মাস্ক বেছে নিয়েছেন। পার্টির জন্য পাওয়া যায় এমব্রয়ডারি করা মাস্ক। বিয়ে বাড়িতে নতুন বউ পরছেন ব্রাইডাল মাস্ক। পুরুষদের অনেকেই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কালো, নীল, সবুজ কিংবা ছাই রঙের মাস্ক পরছেন।
কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন জিনসের মাস্ক কিংবা ব্যান্ডানা মাস্ক। আবার অনেকেই প্রিয় তারকার ছবি ছাপানো মাস্ক পরেছেন। মাস্কের স্টাইলে যোগ হয়েছে বাহারি ডিজাইনের মাস্ক চেইন। এছাড়াও চেহারা ঢেকে থাকার দুঃখ ভুলতে নিজের ছবি মাস্কে ছাপিয়ে নিয়েছেন কেউ কেউ।
পিপিই: করোনাকালে কিছুদিন খুব চলেছে পিপিই। নানা রঙ এর পিপিই বেছে নিয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতনরা। তবে পরবর্তীতে পিপিই পরার প্রচলন অনেকটাই কমে গেছে।
লিপস্টিকের মার্কেটে ধ্বস: পুরো বিশ্বেই এবছর লিপস্টিকের চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। ফ্যাশন সচেতন নারীদের সবচেয়ে প্রিয় এই প্রোডাক্টটি এবছর সাজঘরে পড়ে থেকেছে অবহেলায়। মাস্কের নিচে লিপস্টিক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়নি। আবার লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহার করলেও ছড়িয়ে যাওয়ার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। তবে স্মাজপ্রুফ ন্যুড শেডের লিপস্টিক বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ।
স্পোর্টসওয়্যার: করোনাকালে বাড়িতে বসেই নিজেকে ফিট রাখতে অনেকেই যোগ ব্যায়াম করেছেন। কেউ কেউ বাড়ির ছাদে ব্যায়াম করেছেন। অনেকে আবার বাড়িতেই ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি কিনেছেন। বছর জুড়েই ছিল স্পোর্টসওয়্যারের চাহিদা।
স্যান্ডেল নয় জুতা: এবছর সুরক্ষিত থাকতে পা ঢেকে রাখতে জুতা বেছে নিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। স্পোর্টস শু, লোফার, স্নিকার ছিল পুরুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। আর নারীরা হাই হিলের বদলে বেছে নিয়েছেন ব্যালেট, লোফার, ওয়েজ, বুট, স্নিকার জুতা।
আনুষঙ্গিক: বাহারি ডিজাইনের গগলস, ফেস শিল্ড, গ্লভস, হেয়ার ক্যাপ ছিল এবছরের ফ্যাশনে। এছাড়াও স্যানিটাইজার রাখার জন্য নানা ডিজাইনের বোতল খুঁজে নিয়েছেন সৌখিনরা।
ফটোশুট, ফ্যাশন শোতেও মাস্ক: এবছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে মডেলরা র্যাম্পে হেটেছেন বাহারি ডিজাইনের মাস্ক পরে। বিশ্বের অন্যান্য যায়গাতেও একই চিত্র। চীন-ড্যানডং ফ্যাশন উইকে নানা ধরনের পিপিই প্রদর্শন করা হয়েছে। বিশ্বের বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অনেকগুলোই মডেলদের ফটোশুট করিয়েছে মাস্ক পরিয়ে। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বড় তারকারাও মাস্ক পরে উপস্থিত হয়েছেন বড় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মাস্ক পরা ছবি।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন