আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হোয়াইট না ব্রাউন, কোন পাউরুটি বেশি ভালো?

পাউরুটি এমন একটি খাবার, যা আমাদের প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় পাউরুটি খান অনেকেই। এক্ষেত্রে সাদা পাউরুটি খাবেন না-কি ব্রাউন পাউরুটি খাবেন? এর মধ্যে কোনটা বেশি ভালো, সে নিয়ে প্রশ্ন জাগে অনেকের মনেই। চলুন জেনে নেয়া যাক, কোন পাউরুটি আপনার জন্য বেশি উপকারী-

অধিকাংশ পুষ্টিবিদের মতে, হোয়াইট ব্রেডে আশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি। হোয়াইট ব্রেড তৈরিতে সাধারণত ময়দার সঙ্গে চিনি বা চর্বি ব্যবহৃত হয়। গ্লাইসেমিক সূচকের দিক দিয়ে হোয়াইট ব্রেড আর সহজ শর্করার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। স্থুলতার সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিস থাকলে এই পাউরুটি নিয়মিত না খাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন।

ব্রাউন ব্রেড তুলনামূরক বেশি পুষ্টিকর। এটি শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হোয়াইট ব্রেডের তুলনায় ব্রাউন ব্রেডে অনেক কম ক্যালরি থাকে। তাই ব্রাউন ব্রেড খেলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।

ব্রাউন ব্রেড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ব্রাউন ব্রেড হজম করতে কষ্ট হয় না। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি খেলে নানা ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

হোল গ্রেন দিয়ে তৈরি হওয়ার করণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে ব্রাউন ব্রেড। প্রতিদিন ব্রাউন ব্রেড খেলে প্রায় ৪০ শতাংশ ওজন হ্রাস পায়। ব্রাউন ব্রেড রক্তচাপ কমায়। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে।

সব ভালো গুণ কি তবে ব্রাউন ব্রেডেরই? হোয়াইট ব্রেডের কি কোনো গুণই নেই? হোয়াইট ব্রেড পাকস্থলীতে উপকারি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। পাকস্থলীতে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবাইয়োম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। মাইক্রোবাইয়োমের ঘাটতি হলে ভাইরাস, ইনফেকশন ও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। হোয়াইট ব্রেড বা সাদা পাউরুটি শরীরে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাসের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ব্রাউন ব্রেডে ভিটামিন ও মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও খুব পুষ্টিকর। খেতে সুস্বাদু হলেও রিফাইন বা পরিশোধিত হোয়াইট ব্রেডের পুষ্টিগুণ কম। পরিশোধনের ফলে দেহের জন্য উপকারী কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। আঁশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি।

ব্রাউন ব্রেড অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী। কারণ, এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ব্রাউন ব্রেড ওজন কমাতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। বাদামি যেকোনো খাবারই অন্যান্য সাদা খাবারের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী।

অনেকের শরীরে হোয়াইট ব্রেড বেশি তাড়াতাড়ি পরিপাক হয়, কারও শরীরে ব্রাউন ব্রেড পরিপাক হয় সহজে। তাই যদি হোয়াইট ব্রেড খেয়ে কোনো সমস্যা না হয়, আপনি স্বাস্থ্যের চিন্তা না করেই তা খেতে পারেন। বেশি বয়সী ও শিশুদের হোয়াইট ব্রেড আর মধ্যবয়সীদের ব্রাউন ব্রেড খাওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com