আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হৃদ্‌বান্ধব তেল

সুস্থ হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য সঠিক তেল নির্বাচন করা জরুরি। শুধু তাই নয়, তেলের ব্যবহারও কমাতে হবে। স্বাস্থ্যকর রান্নার তেলে পলি–আনস্যাচুরেডেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো–আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মূলত এই উপাদানগুলোর উপস্থিতি–অনুপস্থিতির হারের ওপরই নির্ভর করে তেল কতটা স্বাস্থ্যকর। একই সঙ্গে কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় রান্না করা হচ্ছে, তার ওপরও তেলের পুষ্টিগুণ অটুট থাকা না–থাকা নির্ভর করে।

রান্নায় যত ডিগ্রি তাপমাত্রায় তেলের গুণ নষ্ট হওয়া শুরু হয়, সেটিই স্মোকিং পয়েন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলের স্মোকিং পয়েন্ট ৩৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অর্থাৎ এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় তেলটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তবে রাইসব্রান তেলের স্মোকিং পয়েন্ট ৪৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এবার জেনে নেওয়া যাক, কোন তেলের গুণ কেমন।বিজ্ঞাপন

হৃদ্‌স্বাস্থ্যর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল। এটি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে–এর উৎস।

অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল: হৃদ্‌স্বাস্থ্যর জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত তেল। এটি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে–এর উৎস। এতে ওলিওকাহাল এবং ওলিওরোপিনের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ধমনির কার্যকারিতা ও শরীরের প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে অলিভ অয়েলের স্মোকিং পয়েন্ট কম হওয়ায় এটি উচ্চতাপে রান্না করা উচিত নয়।

তিলের তেল: তিলের তেল ভিটামিন ই–এর একটি ভালো উৎস। এতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন কে রয়েছে।

রাইসব্রান তেল: হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে এ তেলের জুড়ি নেই। এই তেলে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ওরাইজ্যানল ও ভিটামিন ই টকোট্রিনয়েল পাওয়া যায়, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।

সরিষার তেল: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সরিষার তেল ওমেগা–৩ এবং ওমেগা–৬ ফ্যাটি অ্যাসিড–সমৃদ্ধ, যা হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

সানফ্লাওয়ার তেল: প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরা সানফ্লাওয়ার তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।বিজ্ঞাপন

মাছের তেল: মাছের তেলে রয়েছে ওমেগা–৩ ও ওমেগা–৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা–৩ রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চর্বিযুক্ত মাছ রাখা জরুরি। মাছের তেলে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন নামক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

এ ছাড়া চীনা বাদামের, নারিকেলের, ফ্লাক্সসিড ও আখরোটের তেল হৃদ্‌বান্ধব। পুষ্টিবিদদের মতে, হৃদ্‌স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক খাদ্য তালিকায় ২০ গ্রাম তেল থাকা উচিত। মাসে তেলের এই পরিমাণ অবশ্যই ৬০০ গ্রাম বা ১ লিটারের কম হতে হবে। অর্থাৎ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে রান্নায় যেমন স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করতে হবে, একইভাবে তেলের পরিমাণও হতে হবে সীমিত।

অনেকে আবার মাংসের চবি৴ খাবারে যোগ করেন। গরু বা খাসির চবি৴ হলো ট্রান্সফ্যাট, যা হৃদ্‌রোগ, কোলেস্টেরল, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে পেতে হলে শাকসবজি অল্প তেলে রান্না করতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com