আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় গাজর

উদ্ভিদ স্বাস্থ্য গঠন কিংবা স্বাস্থ্যরক্ষায় সরাসরি ভূমিকা রাখে না। তবে উদ্ভিদের মধ্যে যেসব খাদ্যগুণ রয়েছে তা দেহের রোগ প্রতিরোধক এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনই একটি উদ্ভিদ হলো গাজর। এটি রোগ উপশমকারী কিংবা কোনো ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। তবে গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

গাজর এমন একটি সবজি আছে যা পুষ্টিবিদরা সবসময় খাওয়ার পরামর্শ দেন। গাজর বিটা ক্যারোটিনের একটি ভাল উৎস যা আদপে একটি প্রাকৃতিক রঙ্গক। এই পিগমেন্ট বা রঙ্গক শরীরে ভিটামিন এ তৈরিতে সাহায্য করে। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। প্রতিদিন গাজর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মিটে যায়। আর প্রতিদিন ডায়েটে সবজি হিসেবে খাওয়ার সর্বোত্তম উপায়ও এই গাজর। গাজর স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল বজায় রাখতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো-

আপনি যদি আপনার দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে চান তাহলে গাজরের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। গাজর ভিটামিন এ-এর খুব ভাল একটা প্রাকৃতিক উৎস, যা স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং লাইকোপেন যা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি আর রাতের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে-

আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েটে থাকেন, আপনার ডায়েটে অবশ্যই ফাইবার বেশি এবং ক্যালোরি কম আছে এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে গাজর ফাইবারের অন্যতম সেরা উৎস। ফাইবার হজম হতে সবচেয়ে বেশি সময় নেয়, যার ফলে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে। এর ফলে আপনি অন্যান্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো পেট ভারি করে দেয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকেন।

হজমে সাহায্য করে-

গাজরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার ভাল পরিপাক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাইবার আপনার মলকে ভারি করে যার ফলে এটি পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজে যেতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অবস্থার মোকাবিলা করা খুব সহজ হয়ে যায়।

কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য বাড়ায়-

গাজরের উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ ধমনী এবং রক্তনালীর দেয়াল থেকে অতিরিক্ত এলডিএল কোলেস্টেরল অপসারণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। গাজরে রয়েছে এক ধরনের ক্যালসিয়াম যা সহজেই শরীরে মিশে যায়। এই ক্যালসিয়াম শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমায়-

গাজরে পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম আপনার রক্তনালী এবং ধমনীর টান শিথিল করতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্ত ​​প্রবাহ মসৃণ হয়, যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com