২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস। বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবছর বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত হলো বিশেষ অনুষ্ঠান এসকেএফ নিবেদিত ‘হৃদয়ের সুরক্ষা’র প্রথম পর্ব—হৃদয়ের সুরক্ষা হোক হৃদয় থেকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টা ডা. মহসীন আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. ফাইজা রাহলা। অনুষ্ঠানটি ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং এসকেএফের ফেসবুক পেজ থেকে একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রথমে জানা গেল বিশ্ব হার্ট দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও এর তাৎপর্য। বর্তমান বিশ্বের ১ নম্বর ঘাতক ব্যাধি হলো হৃদ্রোগ। প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৩১ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় এ রোগে। হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর নতুন নতুন থিম নিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য—ইউজ হার্ট টু বিট কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, অর্থাৎ হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ।
বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, ২০২৫ সালের মধ্যে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনা। আর এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হৃদরোগ প্রতিরোধ। শুধু প্রতিকার করেই এ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ, যে পরিমাণ মানুষ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে মারা যাচ্ছে, তার ৮০ শতাংশ হলো নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের জনগণ। হৃদরোগের চিকিৎসা করার মতো ক্ষমতা অনেকের নেই। এ জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন ও সহানুভূতিশীল হতে হবে। শুধু নিজে সচেতন হলে হবে না, আশপাশের মানুষদের সচেতন করতে হবে। নিজের হার্টের যেমন যত্ন নিতে হবে, তেমনি অন্যের হার্টেরও যত্ন নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হৃদরোগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞরা দুঃখের সঙ্গেই জানালেন যে আমাদের দেশে প্রতিবছর হৃদরোগে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, সেটা জানার জন্য সঠিক কোনো তথ্য নেই। এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, এ দেশে মৃত্যুর আগে খুব কমসংখ্যক মানুষ হাসপাতালে যায়। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাক হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাসপাতালে যাওয়ার আগে রোগী মারা যায়। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশেই এটি দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে হৃদরোগে মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি হবে। কারণ, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয় মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ৬০ বছরের পর। আর আমাদের দেশে ২০ বছর বয়সের পর থেকে শুরু হয়। ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ভেতর হৃদরোগের সমস্যা আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া এখানে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু ও নারী রোগী অনেক দেখা যায়।
হৃদরোগ বলতে আমরা অনেকে হার্ট অ্যাটাককে মনে করি। হৃদরোগ শুধু হার্ট অ্যাটাক নয়। হার্টের আরও অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। যেমন প্রেশারজনিত সমস্যা, হার্টের ভাল্বের ত্রুটি, হার্টের ব্লক, ছিদ্র ইত্যাদি।
আমাদের দেশে যুবসমাজ ও শিশু–কিশোরদের ভেতর হৃদরোগে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেছেন অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থাপনাকে। এ দেশে শিশু-কিশোরেরা এখন শারীরিক কাজ, খেলাধুলা অনেক কম করে। তাদের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় পড়াশোনায় আর স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে গেমস খেলে। অন্যদিকে এদের ভেতর ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে অল্প বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সারা দিন লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, নিজের দিকে খেয়াল রাখছে না। ঠিকমতো খাচ্ছে না, ব্যায়াম করছে না। আবার সফল হতে না পারলে খুব সহজে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে। এসব কিছুই কিন্তু সবাইকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটা দিকেই, আর সেটি হলো হৃদরোগ।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হার্ট সুস্থ রাখাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রচারণা। এ জন্য নিজের হার্টের যত্ন নিতে হবে। হৃদ-স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞরা তাই সবার প্রথমে জীবনযাপনের পদ্ধতির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। খুব বেশি নয়, অল্প কিছু দিকে খেয়াল রাখলেই আমরা বিভিন্ন রকমের হৃদরোগ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি। যেমন নিয়ম করে প্রতিদিন ৪০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
ফাস্ট ফুডের ট্রান্সফ্যাট শরীরে চর্বি জমার জন্য দায়ী। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি হৃদরোগের একটি বড় প্রভাবক। কেউ যদি ফাস্টফুড একেবারেই ছাড়তে না পারে, সে ক্ষেত্রে নিজের সুস্থতার খাতিরে অবশ্যই তাকে তার পরিমাণ কমাতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের খাবার থেকে প্রাপ্ত চর্বি পোড়ানোর জন্য হাঁটতে হবে অথবা ব্যায়াম করতেই হবে। এ ছাড়া কমাতে হবে ভাতের ওপর নির্ভরশীলতা।
অনেকেই বলে যে তারা কাজের চাপের জন্য নাকি হাঁটার সময় পায় না। সুস্থ থাকতে হলে যেভাবেই হোক দিনের যেকোনো একটা সময় বেছে নিয়ে হাঁটতেই হবে। একটানা ৪০ মিনিট না পারলেও দিনে চারবার ১০ মিনিট করে হাঁটলেও সেটি শরীরের জন্য যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু হৃদরোগ নয়, অন্য যেকোনো রকমের বড় রোগ থেকে বাঁচতে সুস্থ জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। আর এই যাপনের সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ছোটবেলা থেকে। ছোট থাকতেই যারা সোফায় বসে ‘কাউচ পটেটো’ হয়, বড় হয়ে তাদের ভেতরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। তাই অভিভাবকদের শুধু ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দিকেই নয়, নজর রাখতে হবে স্বাস্থ্যের দিকেও। তাদের শারীরিক কাজ ও খেলাধুলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে, খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিতে হবে। এ জন্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে। পাড়ায় পাড়ায় খেলার মাঠ বানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া হৃদরোগ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রচারণা বাড়াতে হবে। আর এভাবেই আমরা পেতে পারি হৃদরোগবিহীন সুস্থ একটি সমাজ।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন