আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সঠিক ডায়েটেই থাকুন চনমনে!

আর চিন্তা নেই, ক্লান্তি দূর করে তরতাজা থাকার জন্য রয়েছে সঠিক ডায়েট সমাধান! 

সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরও কাজে কোনও এনার্জি পান না। সারাদিন ক্লান্তির ঠেলায় কাজ করা দায়! এমনকী রাতে ঘুমোলেও তার থেকে নিস্তার নেই। আর চিন্তা নেই, ক্লান্তি দূর করে চনমনে থাকার জন্য রয়েছে সঠিক ডায়েট সমাধান! জেনে নিন কীভাবে শুধু খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমেই এনার্জি বাড়ানো সম্ভব।

সকালের ডায়েট

১. সকালে আমিষ ও শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খান। 

২. খেয়াল রাখবেন যেন তাতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। 

৩. হাই ফ্যাটযুক্ত খাবার যেমন চিড়াভাজা, পরোটা, লুচি বা পুরি ইত্যাদি খাবার হজম হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। আর খাবার হজম হতে যত বেশি সময় লাগে, ততই শরীরে এনার্জির অভাব বাড়তে থাকে। 

৪. হালকা, পুষ্টিকর ও সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৫. টাটকা ফল, দুধ, হোলহুইট রুটি বা পাউরুটি, ডিমের সাদা, সবজির রস ইত্যাদি হলো আদর্শ জলখাবার। 

৬. শরীর চনমনে রাখতে প্রতিদিন কতটা পরিমাণে ফ্যাট গ্রহণ করছেন, সেদিকে নজর রাখুন।

দুপুরের ডায়েট

১. শরীরে এনার্জির ঘাটতি কমাতে প্রথমেই বুঝতে হবে, প্রতিদিন যা যা খাচ্ছেন, তারমধ্যে কতটা শরীরের উপকারে লাগছে বা আদৌ লাগছে কি না। 

২. নির্দিষ্টভাবে লাঞ্চের পরই যদি শরীর বেশি ক্লান্ত লাগে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে যে দুপুরের খাবার নির্বাচন সঠিক হচ্ছে না বলেই এমনটা হচ্ছে। 

৩. দুপুরের খাবারে যত ফ্যাটের পরিমাণ কমবে, ততই ক্লান্তিও কম আসবে। পাশাপাশি তাতে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকাও বাঞ্ছনীয়।

৪. শরীর সতেজ রাখার প্রধান দুই কেমিক্যাল, ডোপামিন ও নর-অ্যাড্রিনালিন তৈরিতে প্রোটিন মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন (ক্লান্তি বাড়ায়) ক্ষরণে বাধা দেয়। 

৫. প্রতিদিন অল্প অল্প করে ৫-৬টা মিল খাওয়ান চেষ্টা করুন।  

৬. মিলে ড্রাই ফ্রুটস, টাটকা ফল, সবজির রস, হোল গ্রেন স্যান্ডউইচ, সালাড, হোল গ্রেন বিস্কিট ইত্যাদি রাখতে পারেন। 

৭. এছাড়া শরীরে এনার্জি বাড়াতে খাবার তার স্বাভাবিক অবস্থায় গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। প্রসেসড ও রিফাইন্ড খাবার থেকে দূরে থাকুন। 

৮. ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের ঘাটতিও ক্লান্তি ডেকে আনতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরমার্শ নিয়ে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্টসও নিতে পারেন।

রাতের ডায়েট

১. রাতের খাবারে যথাসম্ভব হালকা, সহজপাচ্য খাবার খান। 

২. ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ মাছ বা সহজপাচ্য চিকেন খেতে পারেন। 

৩. রাতে রেডমিট পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। 

৪. সাধারণত নৈশভোজের পর যেহেতু আমাদের বিশেষ কোনও কাজ থাকে না তাই পুষ্টিকর, ব্যালেন্সড ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। 

৫. আনপলিশড চাল ও ডাল সিদ্ধ করে হালকা সবজির সঙ্গে খেতে পারেন। 

৬. হালকা টমেটো সুপের সঙ্গে হোল হুইট ব্রেড ও বেকড সবজিও খেতে পারেন। 

৭. এছাড়া সালাদ, অনিয়ন ফ্লেভার্ড রাইসের সঙ্গে হালকা সবজি বা মাংসের ঝোল, সবজি খিচুড়ি, হোল হুইট পাস্তা ও ক্লিয়ার সুপ ইত্যাদিও নির্দ্বিধায় রাতে খেতে পারেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com